LATEST UPDATE

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মুস্তাফিজের জন্মদিন আজ

 
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বেশিদিন হয়নি। তবে এরই মধ্যে নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বে। সবাই এখন তাকে ‘কাটার মাস্টার’ নামেই জানে। তিনি হলেন বাংলাদেশের বিস্ময়বালক মুস্তাফিজুর রহমান। আজ ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এ তরুণ পেস সেনসশনের ২১তম জন্মদিন।

১৯৯৫ সালের এই দিনটিতে সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন মুস্তাফিজ। ক্রিকেটে নিজের অভিষেক দুই ম্যাচেই নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তার এ কৃতিত্ব তিনি লাভ করেন।

অভিষেকের এক বছরের মধ্যেই সুযোগ পান বিদেশি লিগে খেলার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০১৬ সালের আসরে প্রথমবারের মত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। আর এবারই দলটি প্রথমবারের মত আইপিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে। এছাড়াও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের শিরোপাও জয় করেছেন।

মুস্তাফিজ ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্টেও সাসেক্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে এরপরই তিনি ইনজুরিতে পড়েন। ফলে যেতে হয়েছে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়েও। এখন তার অস্ত্রোপচার পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বেশিদিন হয়নি। তবে এরই মধ্যে নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বে। সবাই এখন তাকে ‘কাটার মাস্টার’ নামেই জানে। তিনি হলেন বাংলাদেশের বিস্ময়বালক মুস্তাফিজুর রহমান। আজ ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এ তরুণ পেস সেনসশনের ২১তম জন্মদিন।
১৯৯৫ সালের এই দিনটিতে সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন মুস্তাফিজ। ক্রিকেটে নিজের অভিষেক দুই ম্যাচেই নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তার এ কৃতিত্ব তিনি লাভ করেন।
অভিষেকের এক বছরের মধ্যেই সুযোগ পান বিদেশি লিগে খেলার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০১৬ সালের আসরে প্রথমবারের মত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। আর এবারই দলটি প্রথমবারের মত আইপিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে। এছাড়াও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের শিরোপাও জয় করেছেন।
মুস্তাফিজ ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্টেও সাসেক্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে এরপরই তিনি ইনজুরিতে পড়েন। ফলে যেতে হয়েছে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়েও। এখন তার অস্ত্রোপচার পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।
- See more at: http://bangla.thereport24.com/article/167372/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9C#sthash.eYhk0ts6.dpuf
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বেশিদিন হয়নি। তবে এরই মধ্যে নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বে। সবাই এখন তাকে ‘কাটার মাস্টার’ নামেই জানে। তিনি হলেন বাংলাদেশের বিস্ময়বালক মুস্তাফিজুর রহমান। আজ ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এ তরুণ পেস সেনসশনের ২১তম জন্মদিন।
১৯৯৫ সালের এই দিনটিতে সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন মুস্তাফিজ। ক্রিকেটে নিজের অভিষেক দুই ম্যাচেই নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তার এ কৃতিত্ব তিনি লাভ করেন।
অভিষেকের এক বছরের মধ্যেই সুযোগ পান বিদেশি লিগে খেলার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০১৬ সালের আসরে প্রথমবারের মত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। আর এবারই দলটি প্রথমবারের মত আইপিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে। এছাড়াও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের শিরোপাও জয় করেছেন।
মুস্তাফিজ ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্টেও সাসেক্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে এরপরই তিনি ইনজুরিতে পড়েন। ফলে যেতে হয়েছে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়েও। এখন তার অস্ত্রোপচার পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।
- See more at: http://bangla.thereport24.com/article/167372/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9C#sthash.eYhk0ts6.dpuf

ঈদের আগে আগে নতুন পোশাক এসেছে ফ্যাশন হাউসগুলোয়!



আবারও নতুন পোশাক। তবে সেটা রমজানের ঈদের মতো খুব বড় পরিসরে না। যেহেতু এই ঈদে পোশাক কেনাকাটায় মানুষের ঝোঁক কম থাকে, তাই স্বল্প পরিমাণে নতুন পোশাক তোলে দোকানগুলো। অনেক দোকানে আবার মূল্যছাড়ের ছড়াছড়ি।

ড্রেসিডেলের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার মায়া রহমান বলেন, ‘এবারও নতুন পোশাক থাকছে ছেলে ও মেয়েদের জন্য। বেশ কিছু কামিজ, পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক, শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে নতুন নকশা করা হয়েছে ঈদের কথা ভেবেই। এখনো যেহেতু বাইরে ভ্যাপসা গরম তাই সুতি কাপড় বেছে নেওয়া হয়েছে।’


ঈদুল আজহায় সাধারণত বিকেল পর্যন্ত পশু কোরবানি, মাংসের ভাগ-বাঁটোয়ারা আর রান্না নিয়েই থাকে ব্যস্ততা। তবে সকালে ঈদগাহে যাওয়া বা দুপুরে মেহমান এলে তো আর পুরোনো পোশাক পরে থাকলে চলে না। কিছুটা পরিপাটি দেখানো চাই। আর সে জন্যই একটা নতুন পাঞ্জাবি, শার্ট, কামিজ বা শাড়ি কিনতেই পারেন। বাজারে সুতি কাপড়ের হালকা ও ভারী দুই ধরনের নকশা করা পোশাকই মিলবে। মেনজ ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হেলাল জানান, ছেলেদের পোশাকে নানা ধরনের ওয়াশের কাপড় হলো চলতি ধারা। যার মধ্যে অ্যাসিড ওয়াশ, ডিপ ডাইং, কুল ডাইং, টাওয়েল ওয়াশ বা সিলিকন ওয়াশ বেশি দেখা যাচ্ছে। পাঞ্জাবি, শার্ট বা টি-শার্ট সব ধরনের পোশাকেই এই ওয়াশ চলছে। এ ছাড়া নানা ধরনের প্রিন্ট দেখা যাচ্ছে ছেলেদের শার্টে। রয়েছে ছোট-বড় চেকের নকশা।মেয়েদের কামিজে নিচের দিকের কাটেই থাকছে বেশি বৈচিত্র্য। ‘দুই দিকে ঝুল বাড়ানোর ধারাটা এই ঈদেও সমান জনপ্রিয় থাকবে’ বলে জানালেন ডিজাইনার লিপি খন্দকার। এ ছাড়া স্কার্টের সঙ্গে হালকা কাজের কামিজ বা ফতুয়া পরলেও ঈদের দিন ভালো দেখাবে। মেয়েদের ঈদের পোশাক কামিজ প্লেইন হলে পালাজ্জো দিয়ে পরলে ভালো দেখাবে। তবে ঝুলে নকশা করে কাটা বিভিন্ন প্যাটার্নের হলে সেটার সঙ্গে মানাবে লেগিংস।


মেয়েদের পোশাকে কামিজে জ্যাকেট ছাড়াও কয়েক ধাপে করা নকশার চল দেখা যাচ্ছে। ফ্যাশন হাউস সেইলরের এবার পোশাকের থিম মরক্কো। সেখানকার নানা ধরনের স্থাপত্যশৈলী ও নকশাকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে ছেলে ও মেয়েদের পোশাক। সেইলরের জ্যেষ্ঠ ফ্যাশন ডিজাইনার সাদিয়া আফরোজ বলেন, ‘কেউ কেউ ঈদের পরেই বিয়ের মতো বিশেষ আয়োজন করেন। তাই ভারী কাজের কিছু পোশাকও ডিজাইন করতে হয়। এ ছাড়া ঈদের দিন সন্ধ্যার দাওয়াতে গেলেও একটু ভারী সাজ ভালো দেখাবে।’


ফলে কারচুপি, অ্যামব্রয়ডারি বা লেইসের ব্যবহারে পোশাকে আনা হচ্ছে জমকালো ভাব। শাড়ির ক্ষেত্রেও একই। আঁচল বা পাড়ই নয়, শাড়ির জমিনেও থাকছে নানা ধরনের কাজ বা প্রিন্ট। তবে সব ধরনের পোশাকেই হালকা রং বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডিজাইনাররা।

দরদাম
মেয়েদের কামিজ ৬০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, শাড়ি ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া শুধু স্কার্ট কিনতে চাইলে দাম শুরু হবে ৫০০ টাকা থেকে। নানা ধরনের টপ মিলবে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। পালাজ্জো বা লেগিংস কিনতে চাইলে ২৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় পাবেন।
ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, শার্ট ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা আর টি-শার্ট ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ছেলেদের প্যান্ট ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা আর পায়জামা ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

যেখানে কিনবেন
রাজধানীর নিউমার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, দেশী দশ, রাপা প্লাজা, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, পিংক সিটি, পুলিশ প্লাজা, হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে পাওয়া যাবে এগুলো। এ ছাড়া মনমতো পোশাক পাবেন আড়ং, মায়াসির, সেইলর, ড্রেসিডেল, বিশ্বরঙ, লা রিভ, যাত্রাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।

বাংলাদেশের বাজারে আসুসের তিনটি নতুন ল্যাপটপ!


গ্লোবাল ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বাজারে আসুসের তিনটি নতুন ল্যাপটপ কম্পিউটার নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো রিপাবলিক অব গেমার (আরওজি) সিরিজের জি ৭০১ ভিও, ভিভোবুক ম্যাক্সএক্স ৪৪১/৫৪১ এবং জেনবুক ফ্লিপইউএক্স ৩৬০। জি ৭০১ ভিও ল্যাপটপে ডেস্কটপ মানের গ্রাফিকস কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এতে আছে ইন্টেল কোর আই-৭ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইটের জিফোর্স জিটিএক্স ৯৮০ ভিডিও কার্ড। আরও থাকছে ৬৪ গিগাবাইট র্যাম, ১ টেরাবাইট এসএসডি প্রভৃতি। জেনবুক ফ্লিপ আল্ট্রাবুকটি ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকানো যায়। ভিভোবুক ম্যাক্স তৈরি করা হয়েছে ব্যাবহারকারীর মাল্টিমিডিয়া এবং দৈনন্দিন কাজের বিষয়টি মাথায় রেখে। এতে আছে ইন্টেলের ষষ্ঠ প্রজন্মের প্রসেসর আর এনভিডিয়া জিফোর্স ৯২০ এমএক্স গ্রাফিকস কার্ড

ফেসবুক স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত রকেট বিস্ফোরণে!



স্পেসএক্স রকেট বিস্ফোরণের সময় ফেসবুকের স্যাটেলাইট ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে মার্ক জাকারবার্গ দুঃখ প্রকাশ করেন। ফেসবুক আশা করেছিল যে নতুন অ্যাকুইলা কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) বর্তমানে যোগাযোগহীন এলাকাগুলোর মানুষের জন্য ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারবে। কিন্তু বিস্ফোরণের সময় পেলোডটি হারিয়ে যায় এবং স্পেসএক্সের ওপর থাকা সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়।
স্যাটেলাইট হারানোর খবর শুনে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা খুবই হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হয়েছিল একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে। এর উদ্দেশ্য ছিল আরও মানুষকে ইন্টারনেট ও ফেসবুকের সঙ্গে সংযুক্ত করা।
মার্ক জাকারবার্গ লিখেছিলেন, ‘আমি এখন আফ্রিকায়, আমি গভীরভাবে হতাশ আমাদের স্যাটেলাইট ধ্বংসের খবরটা শুনে। স্যাটেলাইটটি বহু উদ্যোক্তা এবং এই মহাদেশের প্রত্যেককেই সংযুক্ত রাখত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমরা অ্যাকুইলার মতো অন্য প্রযুক্তি তৈরি করছিলাম মানুষকে যুক্ত রাখতে। আমরা সবাইকে সংযুক্ত রাখার লক্ষ্যে দৃঢ়। আর আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব যত দিন না প্রত্যেকে এই স্যাটেলাইটের সুবিধা উপভোগ করে।’
বিস্ফোরণটিকে মহাকাশ প্রকৌশলীদের অনিয়ম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত এর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ দুর্ঘটনায় কেউই আহত হয়নি কিন্তু প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাকারবার্গ উল্লেখ করেছিলেন যে এই দুর্ঘটনায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই তাঁর এক ফলোয়ার জিজ্ঞেস করেছিলেন, এই জিনিসের ওপর কী ধরনের বিমা করা হয়েছিল?
উত্তরে মার্ক জাকারবার্গ জানান, এ ক্ষেত্রে অর্থটা বিষয় না, বিষয় হচ্ছে মানুষকে সংযুক্ত করতে আরও অনেকটা সময় লেগে যাবে।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

হাজিদের সেবা দেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা



পবিত্র হজের সময় সৌদি আরবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। এ সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের অনেকেই হাজিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও সেবা করেন। তাঁদের একজন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মোহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন। শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে তিনি মক্কার উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিস বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘হাজিদের খেদমত করার সুযোগ পাচ্ছি, এটাই বড় কথা।’
শোয়াইব, আতিকুর রহমান, কাউসার খলিল এবং আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা পবিত্র হজের সময় পড়াশোনার পাশাপাশি হজ মন্ত্রণালয়, হজ মিশন ও আইটি সার্ভিসের মাধ্যমে হাজিদের নানা রকম সহযোগিতা করেন। দোভাষীর কাজও করেন কেউ কেউ। তাঁরা মূলত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন। তবে কেউ কেউ পারিশ্রমিকও পান।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন ও মাসুম বিল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি হাজিদের ইসলামি বইপুস্তক, খেজুর, পোশাক উপহার দেন। আরেক শিক্ষার্থী সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে গবেষণা কেন্দ্র আছে। হাজিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে জরিপ করা হয়, যা ভবিষ্যতে হাজিদের জন্য সহায়ক হয়।’
উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস মক্কার আরাফাত এলাকায়। এখানে ২৮টি বিভাগ রয়েছে। সব বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। পাশাপাশি এমফিল, পিএইচডি ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগও রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের ১১০টি দেশের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এখানকার শিক্ষার্থী সগির উদ্দিন বলেন, ‘মসজিদুল হারামের (কাবা শরিফ) বেশির ভাগ ইমাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আবদুর রহমান সুদাইস, সুরাইম, ফয়সাল গাজাওই, খালেদ গামিদির মতো শিক্ষকদের সান্নিধ্য পাচ্ছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশও চমৎকার।’ তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তি হিসেবে ৮৫০ সৌদি রিয়াল দেওয়া হয়। বিদেশি ছাত্ররা ভালো ফল করলে বছর শেষে বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রদের বছরে তিন মাসের ছুটি ও বিমানের টিকিট দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসাসুবিধা, যাতায়াত ভাড়ার সুবিধাও দেওয়া হয়। বাংলাদেশি ছাত্ররা ভালো ফল করছেন। ৩৭ জন বাংলাদেশি ছাত্র মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।



সূত্রঃ প্রথম আলো

অ্যামি জ্যাকসন ঐশ্বরিয়ার জায়গায়!



২০১০ সালে রোবট সিনেমায় ভারতের মহাতারকা রজনীকান্তের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এবার সেই রোবট-এর সিক্যুয়েল তৈরি হচ্ছে। এই ছবিতেও থাকছেন রজনীকান্ত, কিন্তু থাকছেন না ঐশ্বরিয়া। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর জায়গা নিয়েছেন সাবেক ‘মিস টিন ওয়ার্ল্ড’ অ্যামি জ্যাকসন। ছবির নতুন কিস্তির নাম রাখা হয়েছে রোবট ২.০।

২৪ বছর বয়সী অ্যামির ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি। নতুন এই ছবির বাজেট প্রায় ৩৫০ কোটি রুপি। শনিবার থেকে ভারতের চেন্নাইয়ে রোবট ২.০-এর শুটিং শুরু করেছেন অ্যামি। এস শংকর পরিচালিত এই ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করবেন অক্ষয় কুমার। সংগীত পরিচালনায় আছেন এ আর রহমান। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছর। বলিউড বাবল।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সব ফলাফল জেনে নিন!



ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলা মানেই যেন ম্যাচের মেলা। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি দল অংশ নেয় এই অঞ্চল থেকে। বাছাইপর্বেও সর্বোচ্চ ৫৪টি দল খেলছে। গতকাল হয়ে যাওয়া বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর​ ফলাফল দেখে নিন এক নজরে। প্রথমে থাকা দলটি স্বাগতিক।
গ্রুপ জি
স্পেন ৮ (কস্তা ১০, ৬৬, সের্গি রবার্তো ৫৫, সিলভা ৫৯, ৯০‍+১, ভিতোলো ৬০, মোরাতা ৮২, ৮৩): লিকটেনস্টেইন ০
ইসরায়েল ১ (বেন-হাইম): ৩ ইতালি (পেল্লে ১৪, কান্দ্রেভা ৩১-পেনাল্টি, ইম্মোবিল ৮৩)
গ্রুপ ডি
ওয়েলস ৪ (ভোকস ৩৮, অ্যালেন ৪৪, বেল ৫০, ৯০‍+৫): ০ মালদোভা
জর্জিয়া ১: ২ অস্ট্রিয়া
সার্বিয়া ২: ২ আয়ারল্যান্ড
গ্রুপ আই
ক্রোয়েশিয়া ১ (রাকিতিচ ৪৪-পেনাল্টি): ১ তুরস্ক (কালহানোগ্লু ৪৫‍+৩)
ইউক্রেন ১: ১ আইসল্যান্ড
ফিনল্যান্ড ১: ১ কসোভো
আজকের ম্যাচ:
গ্রুপ এ
সুইডেন-হল্যান্ড
বুলগেরিয়া-লুক্সেমবার্গ
বেলারুশ-ফ্রান্স
গ্রুপ বি
সুইজারল্যান্ড-পর্তুগাল
ফারো আইল্যান্ড-হাঙ্গেরি
অ্যান্ডোরা-লাটভিয়া
গ্রুপ এইচ
সাইপ্রাস-বেলজিয়াম
বসনিয়া-এস্তোনিয়া
জিব্রাল্টার-গ্রিস

মন ও মস্তিককে প্রশান্ত করতে করুন মেডিটেশন





মেডিটেশন হচ্ছে মনের ব্যায়াম। নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন বাড়ায় মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা। মনের জট যায় খুলে। সৃষ্টি হয় আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। হতাশা ও নেতিবাচকতা দূর হয়। প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘটে অন্তর্জাগৃতি। মেডিটেশন হলো সচেতনভাবে দেহ মন এবং মস্তিষ্ককে শিথিল করার আধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং সহজ প্রক্রিয়া। মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে শিথিল এবং মন ও মস্তিককে প্রশান্ত করতে পারি। ফলে টেনশন অস্থিরতা মুক্ত হয়ে আমরা সচেতনভাবে দেহ-মনে সুখানুভূতি তৈরি এবং সবসময় তা উপভোগ করতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজ করতে পারি আনন্দ নিয়ে, পেতে পারি সহজ সাফল্য। অর্থাৎ শারীরিক মানসিক বৈষয়িক প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশান্তিতে থাকার জন্যে, মেডিটেশন হচ্ছে দেহমনে সে অবস্থা সৃষ্টির একটি সহজ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। একজন গৃহিণী হিসেবে আপনি মেডিটেশন করে পাবেন সুখী পারিবারিক জীবন যাপনের আনন্দ। একজন পেশাজীবী হয়ে সবসময় মাথা ঠান্ডা রেখে আপনি নিতে পারবেন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আর একজন সফল মানুষ হওয়ার জন্যে মেডিটেশনে মনছবি চর্চা করে আপনি আপনার জীবনের যেকোনো চাওয়াকে পরিণত করতে পারেন স্বতঃস্ফূর্ত পাওয়ায়। আর উপাসনায় একাগ্রতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মিক আধ্যাত্মিকভাবে আপনি অগ্রসর হতে পারেন ধ্যানের পথ ধরে। এভাবে একটি প্রশান্ত মন, সুস্থ জীবন ও কর্মব্যস্ত সুখী জীবন যাপনের জন্যেই আপনার প্রয়োজন মেডিটেশন করা। আমরা জানি পৃথিবীর সব বড় বড় বিপ্লবের সূচনা হয়েছে মৌনতার মাঝে মনের ধ্যানাবস্থায়।দুনিয়ায় মানুষের তৈরি দৃশ্যমান সবকিছুই প্রথম বাস্তবতা লাভ করেছে মনে। তবে এ বিষয়টি আমরা অতোটা গুরুত্ব দিয়ে মানিনা।
আমাদের যান্ত্রিক জীবনে একটু শান্তি মতো নিশ্বাস নেওয়ারও সময় নেই। জীবনের সফলতার এই দৌঁড়ে কখনও কখনও হাপিয়ে উঠি। আবার বিভিন্ন কারণে মন অস্থির থাকে।চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত নিলে অনেক সময় ভুল হয়। জীবনে যে কোনো বিষয়ে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন দূরদর্শীতা, ধৈর্য। আর এটা আমরা পেতে পারি মেডিটেশনের মাধ্যমে। মেডিটেশন আমাদের ক্লান্তি, অবসাদ এবং খেয়ালী মনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। মেডিটেশন করলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, হতাশা, পিরিয়ডের আগের ব্যথা, অস্বস্তি, মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকর। মেডিটেশন আমাদের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সাহায্য করে।

পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি বাড়ল।

১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি

পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি বাড়ল। ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে ১২-১৪ সেপ্টেম্বরের সরকারি ছুটির সঙ্গে যোগ হলো ১১ সেপ্টেম্বরের ছুটিও। তার আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সব মিলিয়ে ঈদের ছুটি হবে মোট ছয়​ দিনের।
আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
এর আগে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ছুটি ঘোষণা করা হলেও ওই দিনের অফিস করতে হবে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার।
এদিকে ঈদের ছয় দিনের ছুটির সঙ্গে কেউ ১৫​ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ছুটি নিলে পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তার ছুটি দাঁড়াবে মোট নয় দিন।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে।

 

সরকারি কর্মীদের জন্য যোগাযোগ অ্যাপ ‘আলাপন’ চালু



গোপনীয়তা রক্ষা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও ফাইল আদান-প্রদানে দেশীয় ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ‘আলাপন’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারি সেবার মান বাড়াতে সরকার এই অ্যাপ চালু করছে সরকার।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে এই অ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অ্যাপটি উদ্বোধনের সময় জানানো হয়, এখন থেকে এই অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই সরকারের নানা নির্দেশনা প্রত্যন্ত এলাকার কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। কথা বলার পাশাপাশি আলাপন অ্যাপে বার্তা আদান-প্রদানসহ ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং এবং নথি আদান–প্রদানের সুযোগও পাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের অবস্থানও জানা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-২–এর (ইনফো-সরকার) উদ্যোগ আলাপন অ্যাপ বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশি বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমস।
চলতি বছরের গত জুনে এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাপ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছিলেন, ‘আলাপন’ নামে বাংলাদেশের নিজস্ব একটি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও ভিওআইপি অ্যাপ চালু করা হবে। দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুব সহজেই এই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের দাপ্তরিক কাজগুলো করতে পারবেন। ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একটি অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ।
আর এরই ধারাবাহিকতায় দেশীয় মেসেজিং অ্যাপ ‘আলাপন’ উদ্বোধন। শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যই উন্মুক্ত এই অ্যাপটি মোবাইল ফোনের অ্যাপ স্টোরে ‘Alapon’ লিখে সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে।
সরকারি কর্মকর্তারা নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও পে-স্কেলে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে বিনা মূল্যে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আলাপন অ্যাপের অ্যাডভান্সড সার্চ অপশনে গিয়ে যেকোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন যেকোনো কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরও সংগ্রহ করা যাবে।
এ ধরনের অন্যান্য অ্যাপের চেয়ে আলাপনে কম ব্যান্ডউইটথ, কম চার্জ ও কম স্পেসের প্রয়োজন হবে। আলাপন অ্যাপ ব্যবহারে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া অন্য কোনো খরচ না হওয়ায় সরকারের অর্থও সাশ্রয় হবে এতে।



সূত্রঃ প্রথম আলো

কিভাবে মানসিক চাপ কমাবেন? – How to Reduce Mental Pressure

ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ অনেক ক্ষেত্রে বেশ ঝামেলা তৈরি করে। কোনো কিছুতেই মানসিক চাপ কমতে চায় না। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, মানসিক চাপে আছেন এমন ব্যক্তিদের ৫টি পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। এসব পরামর্শ মানসিক চাপ লাঘবে সহায়ক হতে পারে।

 
৫টি পরামর্শ হচ্ছে:
  • ১. মানসিক চাপে আছেন এমন লোকদের সঙ্গে বেশ ভালো আচরণ করতে হবে। এমনকি তাদের সমস্যা শুনতে গিয়ে অতিরিক্ত পরামর্শ দেয়া যাবে না। বরং তাদের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
  • ২. আপনি যদি মনে করেন আপনার আপনজন, পরিবারের সদস্য কেউ ডিপ্রেসড তবে তার জন্য যদি প্রয়োজন হয় তবে সংশ্লিষ্ট একজন চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে সহায়তা করতে পারেন। এমনকি ডাক্তারের অ্যাপয়নমেন্টও করে দিতে পারেন।
  • ৩. মানসিক চাপ কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এমন অনেক তথ্য সম্বলিত সহায়ক লিফলেট পাওয়া যায়। এসব অনলাইনেও পাওয়া যায়। এসবের লিংক সম্বন্ধে জানাতে পারেন।
  • ৪. যদি এমন মনে হয় মানসিক চাপে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিত্সা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তখন তাকে চিকিত্সার জন্য সম্মত করতে চেষ্টা করতে পারেন।
  • ৫. মনে রাখতে হবে প্রবল মানসিক চাপে আছেন এমন অনেককে সামলানোর কাজটি বেশ সহজ নয়। তাই এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাইলে সব কিছু অত্যন্ত কৌশলে করতে হবে। যাতে মানসিক চাপে আছেন উক্ত ব্যক্তি যেন মনে করে আপনি তাকে অযথা জ্ঞান দিচ্ছেন।

দড়িলাফ ব্যায়ামের যে যে উপকার



শরীরের চাহিদা অনুযায়ী রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক রাখতে কয়েকটি ব্যায়াম খুব উপকারী। এসব ব্যায়ামের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাঁতার। আর তারপরেই আছে দড়িলাফ বা স্কিপিং (Skipping)। এই ব্যায়ামের সুবিধা হলো, ঘরেই চর্চা করা যায় এবং যেকোনো সময়। তেমন কোনো প্রস্তুতি লাগে না, দরকার কেবল একটি দড়ি।


দড়িলাফ ব্যায়ামের যে যে উপকার
১০০ বার দড়িলাফ দিলে ২০০ ক্যালরি শক্তি পোড়ে। যত দ্রুত এই লাফ দিতে পারবেন, ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণও তত বেশি হবে। এভাবে নিয়মিত দড়িলাফের অভ্যাস গড়ে তুললে ওজন তো কমবেই, পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণও। রক্তের ক্ষতিকর চর্বি কমাতেও সাহায্য করে দড়িলাফ। দড়িলাফ দিলে রক্তের উপকারী চর্বি বাড়ে প্রচুর পরিমাণে। এই চর্বি হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোজই দড়িলাফ দিতে পারেন, চাইলে দুবেলাও। জোড় পায়ে দড়িলাফ দেওয়া ভালো, আবার এক পা এক পা করেও দিতে পারেন। যেভাবে সুবিধা মনে হয়, সেটিই চর্চা করুন। সব বয়সী ব্যক্তিই দড়িলাফ দিতে পারেন, যদি কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হন। দড়িলাফ দেওয়ার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন:
  •  যাঁরা হাঁটুব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা দড়িলাফ দেবেন না
  • মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের প্রথম তিন দিন দড়িলাফ না দেওয়াই ভালো।
  • গর্ভবতী নারীরা দড়ি লাফ দেবেন না। কারণ, এতে তাঁদের গর্ভপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সন্তান প্রসবের তিন মাস পর্যন্ত অবশ্যই দড়িলাফ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • যাঁরা খালি পায়ে মেঝেতে হেঁটে অভ্যস্ত নন, কেডস পরে দড়িলাফ দেওয়াই তাঁদের জন্য ভালো।
চেয়ারম্যান
ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

চোখ ও ত্বক আজীবন সুস্থ রাখতে চান?



যত দিন বাঁচবেন, সুস্থ চোখ নিয়ে বাঁচবেন বলে ভাবছেন? কিংবা ত্বকের কমনীয়তা কী করে বাড়ানো যায়, সে উপায় খুঁজছেন? চিকিৎসক বা বিউটিশিয়ানের কাছে না ছুটে আজ থেকে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া রাখুন খাদ্যতালিকায়। আপনার চোখ ও ত্বকের যত্নের ভার অনায়াসেই ছেড়ে দিতে পারেন পুষ্টিকর এই সবজির ওপর।
ঘন্ট কিংবা ভাজি, যেভাবেই খান না কেন, মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টি উপাদান অক্ষুণ্ন থাকে। পশ্চিমারা এই সবজি দিয়ে মজাদার পাই তৈরি করে। পামকিন পাই বিশ্বজুড়েই সমাদৃত। এই সবজির খোসা থেকে বিচি—সবটাই ভক্ষণযোগ্য। এক কথায় এই সবজির ফেলনা নয় কিছুই।

রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ বলা যেতে পারে মিষ্টি কুমড়াকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখলে কেবল চোখ ও ত্বক সুস্থ থাকে না, এড়ানো যায় অনেক অসুখ-বিসুখ।
মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই–এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লোহা ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানেও সমৃদ্ধ এই সবজি।
চোখের যত্নে: রান্না করার পর মিষ্টি কুমড়ার বিটাক্যারোটিন ভিটামিন এ–তে পরিণত হয়। আর ভিটামিন এ চোখের ছানি পড়া ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত এ সবজি রাখলে দৃষ্টিশক্তি আরও প্রখর হয়।
ত্বকের যত্নে: ত্বকের সুরক্ষায় মিষ্টি কুমড়ার ভূমিকা অসামান্য। চোখের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার বিটাক্যারোটিন ত্বককে আরও মসৃণ ও কমনীয় করে তোলে। মিষ্টি কুমড়ায় ফ্যাটি–অ্যাসিড থাকায় ত্বকে সহজে বলিরেখা বা ভাঁজ পড়ে না। আর ভিটামিন সি থাকায় ত্বক হয় লাবণ্যময়। এতে আলফা-ক্যারোটিন জাতীয় উপাদান শরীরকে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
দাঁত ও হাড়ের যত্নে: মিষ্টি কুমড়ার শাঁসালো অংশে এবং এর বীজ বা দানায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি হাড় ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অভ্যাস দাঁত ও হাড়কে করবে আরও মজবুত।
ক্যানসার প্রতিরোধে: অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি ঠেকায়। হৃৎপিণ্ডের ধমনির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা দেয়। ফলে মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদ্রোগও প্রতিরোধ করা যায়।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধে: মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি: মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই।
ওজন কমাতে: মিষ্টি কুমড়ায় কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই এবং এতে ক্যালরির মাত্রাটাও সামান্য। এতে রয়েছে পুষ্টিকর আঁশ। তাই এই সবজি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে ও ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
লেখক: প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

৫টি খাবার খান ওজন কমানোর জন্য



ওজন কমানোর জন্য খান ৫টি খাবার যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ওজন কমানোর বিষয়টা বেশ গোলমেলে। সকলের জন্য সব পদ্ধতি কাজ করে না, সবাই একই পদ্ধতিতে ওজন কমাতে পারেন না। কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরের চর্বি কাটাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পেটের মেদ কমাতে উপকারী এইসব খাবার সম্পর্কে জানা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।
কারো এক রকম ডায়েটে কাজ দিলে অন্য কারোই আবার সেটায় ওজন বাড়ে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও তাই। তাছাড়া লিঙ্গ ও বয়স ভেদেও ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে আছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। তবে রয়েছে এমন কিছু উপায়, যেটা অবলম্বন করলে যে কারো ওজন কমতে বাধ্য।


Weight Loss করার জন্য খান ৫টি খাবার

(1) Grape (আঙুর)
ওজন কমাতে আঙুর ম্যাজিকের মতো কাজ করে | এর মধ্যে থাকা phyto chemicals শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমায় | ক্যালোরিও কমে | ফ্যাট জমতে দেয় না | meal-এর আগে অল্প আঙুর বা সারা দিনে তিনবার grape juice খেলে ওজন কমবেই কমবে |
(2) Cinnamon (দারচিনি)
Quarter teaspoon of cinnaamon-এর অনেক benefit | রোজ খেলে Blood Sugar, Cholesterol, Triglyceride-এর level কম করে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে | ব্রেকফাস্টেও সামান্য পরিমাণে খেতে পারেন |
(3) Chilli peppers (লাল লঙ্কা)
খুব ভালো weight-loss boost | ব্রেকাফাস্টে Spicy Egg-white Omelette বা Scrambled Egg-এ red chilli মিশিয়ে খান | লঙ্কায় থাকা capsaicin আপনার appetiteকে suppress করবে |
(4) Fennel Tea (মৌরির চা)
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে Potassium, Magnesium ও Calcium | এছাড়া Vitamin B ও C | Fennel Tea খিদে কমায় ও metabolism boost করে, যা সত্যিই ওজন কমাতে সাহায্য করে |
(5) Salad
রোজ main meal খাওয়ার আগে low calorie salad খেলে ওজন কমানো কেউ আটকাতে পারবে না | তবে salad-এ veg item-এর সঙ্গে কখনই fatty dressing নেবেন না | বরং সামান্য Olive Oil ও Balsamic Vinegar স্যালাডে মিশিয়ে খান |

Top tips to lose weight

Eat regularly:
খিদে পেলেই খান তবে ভাজাভুজি নয় | Good snacks হলো Vegetable Sticks and Low Fat Chips, Scones, Sandwiches, Toast, Smoothies and Low Fat or Diet Yogurt.
Take a walk at lunch time:
কাজটা সামান্য কিন্তু benefit অনেক | অফিসে বা বাড়িতে যেখানেই থাকুন lunch-এর আগে সামান্য হেঁটে নিন বা exercise করুন|
Go shopping with a list:
List করে food shopping করুন | সময় ও শরীর দুই-ই বাঁচবে | অযথা Chocolate counter-এর সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন না | এতে tempted হবেন্| result হবে weight gain | এর থেকে ভালো ভরা-পেটে shopping করা |
Don’t be conned by marketing:
অনেক Packed Food-এর উপর লেখা থাকে ‘low fat’ | এর মানে কিন্তু Low Calorie নয় | Dessert Food-এ low fat থাকলেও অনেক সময় sugar amount বাড়িয়ে দেয় | তাই কী খাচ্ছেন তা আগে জেনে নিন |
Get Support:
যদি long term-এ ওজন কমাতে চান তবে আপনার surrounding support খুব জরুরি | আপনার diet, lifestyle যদি আরও এক family member মেনে চলে তবে আপনার পক্ষে এসব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, কারণ আপনিও যা করছেন তাতে morale support হবে |
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা ৭ ধরনের খাদ্যোপাদানকে ‘ম্যাজিক ফুড’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে, Weight Loss করার জন্য ৫টি খাবার খেলে ওজন অবশ্যই কমবে।


সূত্রঃ হেলথ বাংলা

কাজু বাদামের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন



বেশিরভাগ মানুষই কাজু বাদাম খেতে পছন্দ করে। আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেলে সমৃদ্ধ কাজু বাদাম। কাজু বাদাম ব্রাজিলে উৎপন্ন হত।
পর্তুগিজরাই এটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয় এবং ১৬শ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশে নিয়ে আসে। কিডনি বা শিমের বীচির আকৃতির কাজু বাদামের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। আজ সেই উপকারিতাগুলো সম্পর্কেই জেনে নিই চলুন।

১। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে

কাজু বাদামে ভালো ফ্যাট থাকে এবং এতে কোন কোলেস্টেরল থাকেনা। খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমতে সাহায্য করে কাজু বাদাম। অনেকেই মনে করে থাকে চর্বি গ্রহণ বাদ দেয়াটা শরীরের জন্য ভালো, কিন্তু এই কথাটি আসলে সত্যি নয়।
সুস্থ দেহের জন্য খাদ্যের সকল ধরণের গ্রুপ থেকেই এমনকি ফ্যাট থেকেও পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। ভালো উৎস থেকে তা গ্রহণ করতে হবে যেমন- কাজু বাদাম। তাছাড়া কাজুতে অলেইক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য অনেক উপকারি।

২। শক্তিশালী হতে সাহায্য করে

কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ যা শক্ত হাড়ের জন্য, মাংসপেশী ও স্নায়ুর সঠিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য।

৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

এই বাদামটিতে সোডিয়াম কম থাকে এবং পটাসিয়াম বেশি থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

কাজু বাদামে সেলেনিয়াম থাকে এবং ভিটামিন ই থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের জারণ প্রতিরোধ করে। যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাজুতে প্রচুর জিংক থাকে বলে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

৫। শরীরের বিভিন্ন কাজের প্রধান ভূমিকা পালন করে

যেহেতু কাজুতে উচ্চমাত্রার কপার থাকে তাই এনজাইমের কাজে, হরমোনের উৎপাদনে এবং মস্তিস্কের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও লাল রক্ত কণিকার উতপাদনেও সাহায্য করে বলে অ্যানেমিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যেহেতু কাজুতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে তাই দৈনিক ৫-১০ টা কাজু বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে এবং  মাইগ্রেনের সমস্যা হয় যাদের তাদের না খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন ধরণের কাজু বাদাম পাওয়া যায় যেমন- লবণাক্ত, সিদ্ধ বা মশলাযুক্ত। হাইপারটেনশনের রোগীদের সল্টেড কাজু না খাওয়া ভালো।

ঘরে বসেই করুন চুলের Protein Treatment!



সুন্দর চুল কে না পছন্দ করে। কিন্তু রোদ আর ধূলাবালির কারণে সেই সুন্দর চুল মলিন হয়ে যায়। তাই চুলের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। পার্লারে চুলের জন্য নানা ধরনের ট্রিটমেন্ট রয়েছে। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে নিয়মিত পার্লারে যাওয়াটাও অনেক সময় কষ্টকর হয়। তবে একটু সময় বের করে নিলেই ঘরে বসেই  চুলের যত্ন নিতে পারেন। এজন্য প্রোটিন ট্রিটমেন্ট – Protein Treatment অনেক বেশি কার্যকর।

চুলের Protein Treatment উপকরণ: ২টা ডিম, ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/২ কাপ টক দই ও ১/২ কাপ মধু।
 
চুলের Protein Treatment পদ্ধতি: ডিম ভেঙে কুসুম বের করুন। একটি বাটিতে ডিমের কুসুম নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মেশান। পরে মধু ও টকদই মিশিয়ে নিন।
 
চুল ভাল কর আঁঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন। এবার পুরো চুলে ভালভারে প্যাকটি লাগান। এবার শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এরপর কন্ডিশনার লাগান। চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে ভিনেগারের সাথে পানি মিশিয়ে শ্যাম্পু করার পর চুলে দিতে পারেন।

দ্রুত পেট ও ঊরুর মেদ কমাতে চান?

ডায়েটের পাশাপাশি পেটের মেদ কমানোর জন্য আদার ডিটক্স পান করতে পারেন। ডিটক্স আপনার পেটের মেদ কাটাতে সাহায্য করবে। আদার এই ডিটক্স শুধু পেটের নয়, এটি ঊরুর মেদও কমাতে সাহায্য করে থাকে।
উপকরণ
১. আদার কয়েকটি টুকরো
২. ১-১.৫ লিটার পানি
প্রণালি
১. চুলায় ১-১.৫ লিটার পানি দিন
২. এর পর এতে আদা টুকরো দিয়ে দিন
৩. পানি ফুটে এলে নিম্ন আঁচে ১৫ মিনিট জ্বাল দিন
৪. ঘন হয়ে এলে এটি ছেঁকে আদা ও পানি আলাদা করে নিন
৫. ঠান্ডা হয়ে গেলে পান করুন।
যেভাবে পান করবেন
আদাপানি প্রতিদিন পান করুন। দিনে কমপক্ষে এক লিটার পানি পান করুন। প্রতিদিনকার আদাপানি প্রতিদিন তৈরি করে নিন। এটি আপনার ওজন হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেবে। আদা শরীরের আর কী উপকারে আসে, তা দেওয়া হলো নিচে :
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আদা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওবেসিটি বা স্থূলতার কারণে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলো প্রতিরোধ করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করতে
আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস। British Journal of Nutrition-এর মতে, আদার প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিইনফ্লামেশন সমৃদ্ধ উপাদান
আদার পানি দেহের ইনফ্লামেশন কমিয়ে দিয়ে জয়েন্টের ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। ‘Journal of Medicinal Food’ প্রকাশিত আর্টিকেল থেকে জানা যায়, আদা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানসমৃদ্ধ একটি মসলা, যা বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে থাকে।
প্রতিদিন পান করুন আদাপানি। দেহের মেদ কমানোর পাশাপাশি এটি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তবে সবার জন্যই আদাপানি যে উপকার বয়ে আনবে, তা কিন্তু নয়। এটি নির্ভর করে শরীরের অবস্থার ওপর। শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে আদা অনেকের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণও হতে পারে। তাই এই পানীয় পানের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
শরীরের নানা রোগ উপশমে আদার উপকারিতা অপরিসীম। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও আর্থারাইটি, মাইগ্রেন, কাশি, ডায়ারিয়া, গ্যাস, কনস্টিপেশন, হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিস, হাই-কোলেস্টেরলের মতো বিবিধ রোগ প্রতিরোধে আদার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতেও বাদ সাধে মাটির নিচের এই ফসল। রোগ প্রতিরোধে আদার উপকারিতার কথা মাথায় রেখে, বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতেও আদা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে আদার গুণ জানার পরই যদি কেউ মুড়ি-মুড়কির মতো আদা খেতে শুরু করেন, তাহলেও সমূহ বিপদ। কারণ, আদা যেমন অনেক ক্ষেত্রে শরীরের পরম বন্ধু, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা শরীরের চরম শত্রুও বটে। তাই আদার গুণাগুণ জানার পাশাপাশি, এটা জানাটাও অত্যন্ত জরুরি যে কারা আদার ধার-পাশ দিয়েও যাবেন না, কারা আদা এড়িয়ে চলবেন।
যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা
আদা শরীরে কড়া উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। সে জন্য অন্তঃসত্ত্বারা আদা খেলে, প্রিম্যাচিওর শিশু জন্মের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ জন্য গর্ভবতী নারীদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত প্রেগন্যান্সির শেষ সপ্তাহগুলোতে তো আদা একেবারেই খাবেন না।
যাঁরা ওজন বাড়াতে চান
যাঁরা রোগা হতে চান, তাঁদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী হলেও যাঁরা শীর্ণকায়, ওজন বাড়াতে আগ্রহী তাঁদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আদা খিদে কমায়। এ ছাড়া শরীরের চর্বি গলানোর প্রক্রিয়ায় আদা বিশেষ সহায়ক। সে জন্য যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, আদা তাঁদের কোনো কাজে আসবে না।
ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা ওষুধ খান
আদা ডায়াবেটিসের লেভেল কমাতে কার্যকর হলেও যাঁরা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদের ডায়েট চার্ট থেকে চিরতরে ডিলিট করে দিতে হবে আদাকে। একই কথা প্রযোজ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদেরও অবশ্যই আদাকে এড়িয়ে চলা উচিত।

প্রতিদিন একটি আমলকী খান ৭টি শারীরিক সমস্যা দূর করতে!

আমলকী ফল হিসেবে একটি অনন্য ফল। এছাড়া এটি ভেষজ চিকিৎসায় একটি বিখ্যাত উদ্ভিদ। আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০০০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং দেহের পুনর্যৌবন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলদে সবুজ রঙের এই ফলটির রয়েছে আশ্চর্য ক্ষমতা।
সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ঋতুতে, বিভিন্ন আবহাওয়ায় মানুষ এই ফলটি খেয়ে থাকেন এবং ব্যবহার করে বিশেষ করেন এর টক, ঝাল, মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদের জন্য। জেনে অবাক হবেন যে একটি আমলকীতে প্রায় ২০টি কমলার সমান ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম তাজা আমলকীতে থাকে প্রায় ৪৭০-৬৮০ মিলিগ্রাম খাঁটি ভিটামিন সি। বিজ্ঞানে এই ফলকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি দেহকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে, হাড়কে মজবুত করে, প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং leukocytes বা শ্বেত কনিকা উৎপাদন করে। আমলকীতে শুধু যে ভিটামিন সি-ই থাকে তা নয়। এতে আরো থাকে ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন এবং খনিজ পদার্থ। আমলকী খেলে সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসের মত শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আমলকীর কিছু উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হলো-

যকৃতের বিষাক্ততা দূর করে

গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকী যকৃতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে যক্ষ্মা রোগের ঔষধের নেতিবাচক প্রভাব পরার ফলে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে

যখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের প্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

যকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা, ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবে অগ্নাশয়ের কাজে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী খেলে তা ইন্সুলিনের নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা যায় যে মাত্র ৩ গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো অন্য যেকোনো ডায়াবেটিসের ঔষধের চেয়ে বেশি কার্যকরী।

পেটের ব্যাথা দূর করতে

পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট মোচড়ানো, প্রদাহ সহ বিভিন্ন ধরনের হজমজনিত পেটের সমস্যা আমলকীর দ্বারা দূর করা সম্ভব।

সুন্দর ত্বক, চুল এবং নখের জন্য

আমলকী দেহ কোষের পুনর্গঠনে যার ফলে দেহে পুনর্যৌবন লাভ করে। নিয়মিত আমলকী খেলে এবং ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হচ্ছে এই আমলকী। শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্রিম, চুলের মাস্ক এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছুতেই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ত্বকের সমস্যা দূর করতে

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমলকীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষ ত্বক, ইত্যাদি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ ত্বকের অনেক ধরনের প্রদাহ দূর করতে পারে এই আমলকী।

চুলের সুরক্ষায়

শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে, আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃন এবং উজ্জ্বল।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জিরা পানি

এই গরমে দেহকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে আর্দ্র রাখার জন্য আমাদের সবারই প্রচুর পানি পান করা উচিত। কিন্তু অনেকেই শুধু পানি পান করতে চান না। তাদের জন্য একটি স্বাস্থ্য সম্মত সমাধান হচ্ছে জিরা পানি। স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর এই জিরা পানি। এটি ভারতের গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় পানীয় এবং এটা আমাদের দেশেও বেশ পরিচিত। এই জিরা পানির রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা।
জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা
জিরা পানি পানের ফলে এটি দেহকে ঠাণ্ডা করে এবং দেহের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমিয়ে দেহ সতেজ করে। এটি খুব স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে পেটের দূষিত পদার্থ কমাতে সহায়তা করে। তাই জিরাপানি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা ব্যাখ্যা করতে এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরা হল।
১) ওজন কমাতে জিরাপানি
এর একটি উপকারিতা হচ্ছে ওজন কমাতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার জিরাপানি পানে পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয় যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটা কমে যায়।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
জিরা আয়রনের চমৎকার একটি উৎস। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কাজ পরিচালনা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে আয়রনের পাশাপাশি বেশ ভালো পরিমান ভিটামিন এ ও সি থাকে যা থেকে অ্যান্টি অক্সিডেণ্টের সুবিধা পাওয়া যায়।
৩) রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়
জিরাতে থাকা আয়রন রক্তস্রোতে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এছাড়া জিরা পানি আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার জন্য বেশ উপকারী।
৪) অ্যাসিডিটি কমাতে
এটা অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য ভালো। যেকোনো ভারী খাবার খাওয়ার পর ধীরে ধীরে জিরাপানি খেয়ে নিলে অ্যাসিডিটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
জিরাপানি পানের আর একটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা দিনে দুইবার এই পানীয়টি পান করতে পারেন।
৬) গ্যাসের সমস্যা দূরীকরণে
পেটের গ্যাস কমাতে জিরাপানি সাহায্য করে।যদি গ্যাসের কারণে পেট ফুলে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে জিরাপানি খেতে পারেন যতক্ষণ না পেটের গ্যাস দূর হয়।
৭) বমি বমিভাব দূর করতে
জিরাপানি বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে তাই গর্ভবতী নারীরা এটি পান করতে পারেন ‘মর্নিং সিকনেস’ থেকে মুক্তি পেতে।
৮) পানিশূন্যতা দূরীকরণে জিরাপানি
এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে একটি হচ্ছে গরম কালে এটি দেহকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটিতে স্বাস্থ্যসম্মত মশলা জিরা থাকার কারণে এটি প্রাকৃতিকভাবে দেহের তাপমাত্রা কমায়।
৯) ভালো ঘুমের জন্য
যাদের মাঝে ইন্সমোনিয়া বা ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য জিরাপানি খুব উপকারী। নিয়মিত খেলে ভালো ঘুম হয়।
১০) স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
জিরা মস্তিস্কের শক্তিকে উন্নত করে।তাই অল্প বয়স থেকেই যদি জিরাপানি খাওয়া যায় তাহলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে তীক্ষ্ণ করে।
১১) শরীরের দূষণ দূরীকরণে
জিরাপানি যকৃতের ও পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী। জিরার মাঝে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট দেহের এবং ভেতরের অঙ্গের বিষাক্ততা দূর করে।
১২) গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের বাড়তি পুষ্টির জন্য
জিরাতে থাকা আয়রন গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য খুবই ভালো। এটা গর্ভস্থ ভ্রুণের, বাচ্চার এবং মায়ের আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
১৩) তলপেটের ব্যাথা কমাতে
মাসের বিশেষ দিনগুলোতে তলপেটে ব্যাথা অনুভব করেন অনেক নারীই, তাদের এই ব্যাথা কমাতে অল্প অল্প করে সারাদিন জিরাপানি খেতে পারেন।
১৪) ত্বকের জন্য জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা
যখন দেহ আভ্যন্তরীণভাবে স্বাস্থ্যবান থাকে তা ত্বকের মাঝে প্রতিফলিত হয়।এই জিরা পানি দেহকে আভ্যন্তরীণ ভাবে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করে তাই করে এর ফলে ত্বক এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পরে।
১৫) ত্বকের পুষ্টি যোগাতে
আগেই বলা হয়েছে জিরাপানি হজমক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় বলে এটা ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শুষে নিয়ে স্বাস্থ্যবান ও পুষ্ট থাকতে সাহায্য করে।
১৬) অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে
নিয়মিত জিরা পানি পানে দেহ পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ,সি ও ই পায় যেগুলো এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিএজিং গুনাগুনের জন্য পরিচিত।এটা পান করার ফলে ত্বক পরিপূর্ণ হয় এবং অকাল বুড়ীয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
১৭) ব্রণের চিকিৎসায়
জিরা পানি ব্রণের জন্য প্রাকৃতিক ঔষধের কাজ করে।
১৮) ত্বকের আরামের জন্য
জিরাপানি ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
কীভাবে বানাবেন জিরাপানি?
পানি-১ লিটার
জিরা-দেড় চা চামচ
চুলায় একটি হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে জিরা দিয়ে আরো ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে পানি পোনে ১ লিটার হলে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করতে হবে। এটি চাইলে কুসুম গরম বা বরফ শীতল দুইভাবেই খাওয়া যায়। আরো সুস্বাদু করার জন্য এর সঙ্গে সামান্য চিনি, বিট লবন, গোলমরিচ গুঁড়ো, লেবুর রস, ধনেপাতা/পুদিনাপাতা কুচি ও চাইলে কাঁচা আম যোগ করে ব্লেন্ড করে নেয়া যায়

এই প্রথম একসঙ্গে অমিতাভ-আমির!




একটু অবাকই হবেন তথ্যটা জানলে, বলিউডের কিংবদন্তি অমিতাভ আর আমির খান দুজনে কখনো একসঙ্গে একই ছবিতে কাজ করেননি। বলিউডের এই দুই সেরা অভিনেতাকে কখনো একসঙ্গে কাজ দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপটা এবার মিটতে চলেছে। তাঁদের এক করার কাজটি করছেন যশরাজ ফিল্মসের সিনেমা থাগ।
জানা গেছে, ১৯৩৯ সালে ফিলিপ মিডোস টেইলরের লেখা ‘কনফেশন অব এ থাগ’ উপন্যাস অবলম্বনে এই সিনেমা তৈরি হচ্ছে। আগামী বছরের শুরুতে ছবির শুটিংয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। সিনেমা পরিচালনা করবেন ‘ধুম থ্রি’খ্যাত নির্মাতা বিজয় কৃষ্ণ আচার্য।
একসঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে অমিতাভ বলেন, ‘আমিরের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে অনেক সম্মানিত বোধ করছি। যশ রাজের সঙ্গে আবারও চুক্তিবদ্ধ হলাম। এই ছবির মাধ্যমে ভিক্টরের সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি।’ এ বিষয়ে আমির অবশ্য এখনো কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে হৃতিক রোশনকে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রত্যাখ্যান করে দেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

‘আকিরা’র ১০ কোটি' মাত্র দুই দিনে !

বক্স অফিস দৌড়ে বেশ ভালো অবস্থানে আছে সোনাক্ষী সিনহা অভিনীত ‘আকিরা’। দুই দিনে ছবিটি ১০ কোটি রুপি আয় করেছে। গত শুক্রবার এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায়। দুই দিনে বেশ ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে ছবিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দিনে ছবিটি ৫ কোটি ১৫ লাখ রুপি আয় করেছে আর দ্বিতীয় দিন আয় করেছে ৫ কোটি ৩০ লাখ রুপি। দুই দিনে মোট আয় ১০ কোটি ৪৫ লাখ রুপি। ফক্স স্টার স্টুডিও নিবেদিত ছবিটিতে সোনাক্ষী ও মুরুগাদোস আবার একসঙ্গে কাজ করলেন। তিনি এর আগে সোনাক্ষীকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ‘হলিডে’ ছবিটি। এ ছবিটিও বক্স অফিসে সাফল্য পায়।

‘আকিরা’ ছবিতে সোনাক্ষীর চরিত্রটি মারকুটে এক মেয়ের। তাঁর নাম আকিরা। যোধপুর থেকে বড় ভাইয়ের আদেশে মুম্বাইয়ে পড়ালেখা করতে আসেন তিনি (সোনাক্ষী সিনহা)।

মহানগরীর কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে সহপাঠীদের কাছ থেকে র‍্যাগিংয়ের শিকার হন। এরপর জড়িয়ে যান একটি মামলার সঙ্গে। মামলা থেকে বের হতে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াই চালান আকিরা। ছবিতে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেন খ্যাতিমান পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নারী পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্কণা সেনশর্মা।
হিন্দুস্তান টাইমস

শাহরুখ-অক্ষয়ে যুদ্ধ এবার ..



শাহরুখ খান-অক্ষয় কুমার। দুই তারকার রয়েছে আলাদা ভক্ত গোষ্ঠী। তবে দুজনকেই পছন্দ করেন—এমন ভক্তের সংখ্যাই বেশি। এমন ভক্তরাই সম্ভবত মুশকিলে​ পড়ে যাবেন। কাকে রেখে কার ছবি দেখতে যাবেন এবার? এর আগে শাহরুখের সঙ্গে এ যুদ্ধটা হয়েছিল হৃতিক রোশনের।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নীরজ পান্ডের পরিচালনায় অক্ষয় অভিনীত ছবি ‘ক্র্যাক’ যে দিন মুক্তি পাচ্ছে, সেই একই সময় মুক্তি পেতে চলেছে ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় শাহরুখের পরবর্তী ছবি ‘দ্য রিং’। আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাবে ‘ক্র্যাক’। সেদিনই মুক্তি পাবে শাহরুখ-আনুশকা অভিনীত ‘দ্য রিং’ ছবিটি। এই মুহূর্তে প্রাগে চলছে সেই ছবির শুটিংয়ের কাজও।
প্রসঙ্গত, এবছর ১২ অগাস্ট একই দিনে মুক্তি পায় অক্ষয় অভিনীত ‘রুস্তম’ এবং হৃতিক অভিনীত ‘মহেঞ্জো দারো’। যদিও বক্স অফিসে ‘রুস্তম’-এর কাছে দাঁড়াতেই পারেনি হৃত্বিকের ছবি। এবার দেখার পালা শাহরুখ, না অক্ষয়—কে ঝড় তুলবেন ভারতের স্বাধীনতা দিবসে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া

প্রাচীর মাত্র ৫ মিনিটের উপস্থিতি ‘রক অন ২’-তে



‘রক অন’-ছবির মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় একই সঙ্গে অভিষেক হয়েছিল ফারহান আখতার ও প্রাচী দেশাইয়ের। এরপর বলিউডের আঙিনায় ফারহান তরতর করে এগিয়ে গেলেও বেশিদূর এগো​তে পারেননি প্রাচী। এমনকি তাঁর প্রথম ছবির সিক্যুয়েল ‘রক অন ২’-তেও তাঁর চরিত্রের উপস্থিতি নাকি মাত্র পাঁচ মিনিটের। ছবির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
আজই ‘রক অন ২’ এর টিজার মুক্তি পেয়েছে। প্রথম ছবিটি যেখানে শেষ হয়েছে তারপর থেকেই এই সিক্যুয়েলের গল্প শুরু হবে বলে জানা গেছে। সেই সূত্রটি আরও জানায়, এই ছবির কাহিনীতে ফারহান ও প্রাচীর দাম্পত্য জীবনের কিছু টানাপোড়েন দেখানো হয়েছে। একারণে একসঙ্গে তাঁদের খুব বেশি দেখা যাবে না। হাতে গোনা কয়েকটি দৃশ্যে দেখা যাবে প্রাচীকে। সব মিলিয়ে হিসাব করলে এই ছবিতে তাঁর উপস্থিতি ৫ মিনিটের বেশি হবে না।
‘রক অন ২-তে আরও অভিনয় করেছেন অর্জুন রামপাল, শ্রদ্ধা কাপুর, পূরব কোহলি। এটি মুক্তি পাবে নভেম্বরের ১১ তারিখে। বলিউড বাবল।

প্রচণ্ড গরমে পোশাকই এয়ার কন্ডিশনের মতো শরীর শীতল রাখতে সক্ষম হবে।



প্রচণ্ড গরমে পোশাকই এয়ার কন্ডিশনের মতো শরীর শীতল রাখতে সক্ষম হবে। মার্কিন গবেষকেরা পোশাকের জন্য এমন উপাদান তৈরি করেছেন। ওই উপাদান পোশাকের মধ্যে বুনে দিলে শরীর শীতল থাকবে। বাড়তি কোনো এয়ার কন্ডিশন প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না। গবেষকেরা প্লাস্টিক থেকে তৈরি এই উপাদানকে ‘সাশ্রয়ী’ টেক্সটাইল বলছেন।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ। গবেষকেরা বলছেন, উষ্ণ অঞ্চলে যারা বাস করেন তাঁদের জন্য এই পোশাক কাজে লাগানো যাবে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ইয়ি চুই বলেন, ‘যদি পুরো ভবনকে ঠান্ডা করার পরিবর্তে শুধু ব্যক্তিকে ঠান্ডা করা যায় তবে শক্তি সাশ্রয় হয়।’
গবেষকেরা শীতল পোশাক তৈরি করতে ন্যানোপ্রযুক্তি, ফোটোনিকস ও রসায়ন একসঙ্গে করেছেন। এই টেক্সটাইল আরও উন্নত করতে কাজ করছেন গবেষকেরা।
তথ্যসূত্র: এএফপি।

টিভি–টানেল




প্রথমে মনে হয় সমুদ্রের নিচে বিশাল এক টানেল। সাদা সাদা সব জেলিফিশ আর বিশাল তিমি সাঁতরে বেড়াচ্ছে এপার থেকে ওপারে। তারপরই মনে হয়, শত শত পাপড়ি ঝরিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে দুটি বিশাল গোলাপ। কিছুক্ষণ বাদেই মনে হয়, না, এটা আসলে শত রঙের সমাহার, তাতে আবার আলোকবিন্দুর মতো খুদে খুদে তারা। মূল ঘটনা এর কোনোটিই না। জার্মানির বার্লিনে চলছে ইলেকট্রনিক পণ্যের প্রদর্শনী আইফা ২০১৬। সেখানে এলজি তাদের নতুন প্রযুক্তির টিভি প্রচারণায় এক টানেল তৈরি করেছে। সে টানেলের দেয়ালে প্রতিটি ৫৫ ইঞ্চির ২১৬টি বাঁকানো পর্দার এলজি ওএলইডি টিভি জুড়ে দিয়েছে। মনে হয়, পুরো টানেলে বিশাল এক পর্দা চারদিক থেকে ঘিরে আছে।
বড়জোর দুই মিনিটের ভিডিও বারবার চালানোয় (লুপ) মনে হয় একটানা সারা দিন চলতে থাকে। এই ভিডিওতে জলজ প্রাণী, মহাকাশ ও নর্দান লাইটস দেখানো হয়েছে। এলজি জানিয়েছে, এর মধ্যে নর্দান লাইটসের ছবি ধারণ করা হয়েছে ১৪টি এইটকে ক্যামেরায়। ভিডিওটি ইউটিউবে দেখা যাবে http://goo.gl/uXfY3h ঠিকানায়।
ছবি: ম্যাশেবল

সূত্রঃ প্রথম আলো

হজযাত্রীদের জন্য প্রযুক্তি


হজ পালন করতে গিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন হজযাত্রীরা। হজে আসার আগে থেকেই শুরু হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।  বাংলাদেশে প্রাক্-নিবন্ধন করতে হয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, ছবি, পাসপোর্ট নম্বর, মুঠোফোন নম্বরও (যেখানে খুদে বার্তা যাবে) ফি দিয়ে প্রাক্‌-নিবন্ধন করতে হয়েছে। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইনে ভিসার আবেদন করা হয়েছে। ম্যানিনজাইটিস টিকা কবে কোথায় দিতে হবে, তা-ও জানানো হয়েছে খুদে বার্তায়। বিমানের ফ্লাইট তথ্য, হজ ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে কবে, তা-ও খুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়েছে। জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আঙুলের ছাপ, ছবি তোলা ইত্যাদি কাজ হয়েছে। হজযাত্রীদের নাম, মোয়াল্লেম নম্বর বারকোডসহ তথ্য দেওয়া হচ্ছে হাতের কবজিতে পরার বেল্ট।
প্রথম আলো থেকে প্রকাশিত হজগাইড বিতরণ করা হয়েছে হজযাত্রীদের মধ্যে। এই গাইডটি ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনেও পাওয়া যাচ্ছে। কিউআর বা বারকোড রিডার ব্যবহার করে হজগাইড পাওয়া যাবে স্মার্টফোনেই। ওয়েবে পেতে ক্লিক করতে হবে http://service.prothom-alo.com/palo/hajjguide.pdf এই ঠিকানায়।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্মার্টফোনে হজযাত্রী www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটে হজের তথ্য পাবেন। হজ, ওমরাহ, মিনা লোকেটর, পিলগ্রিম গাইড, হজ নেভিগেটর নামে একাধিক হজের অ্যাপও পাওয়া যায়। গুগল প্লেস্টোর বা অ্যাপল স্টোর থেকে নামানো যায় এসব অ্যাপ। এই অ্যাপগুলোতে হজে করণীয়, নিয়মকানুন, মিনার মানচিত্র, আরাফাতের মানচিত্র, মক্কা-মদিনার মানচিত্র, দোয়া-দরুদসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে। জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুগল ম্যাপস থেকে মক্কা-মদিনা, মিনা, আরাফাতের রাস্তার নির্দেশনাও পাওয়া যাবে। মিনায় জামারা (শয়তানকে পাথর মারার স্থান) থেকে হজযাত্রীর তাঁবুর অবস্থান, তাঁবু থেকে মসজিদুল হারামে যাওয়া-আসার পথ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ভিড় এড়াতে হেঁটে সুড়ঙ্গ (টানেল) পথ দিয়ে মসজিদুল হারামে পৌঁছাতে গুগল ম্যাপের সহায়তা (https://goo.gl/WPBR25) নেওয়া যাবে।
 

মুঠোফোনে হজ পিলগ্রিম গাইড
বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশে মক্কা যান। ভাষার ভিন্নতা, নতুন দেশ, নতুন পরিস্থিতি বিবিধ কারণে তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। হজযাত্রীরা যাবেন পবিত্র মক্কা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায়। এ ছাড়া মদিনায় মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় করবেন। মক্কা বা মদিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে একাধিকবার বাসা থেকে বেরোতে হবে। রাস্তা নতুন হওয়ায় অনেকেই পথ হারিয়ে ফেলেন। হাজিদের মুঠোফোনে হজের দরকারি সব তথ্য পাওয়া সহজ করতে বিজনেস অটোমেশন মুঠোফোনের জন্য পিলগ্রিম গাইড সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এটি ব্যবহার করতে চাইলে দরকার অ্যানড্রয়েডসংবলিত মুঠোফোন আর সংশ্লিষ্ট দেশের (সৌদি আরবের) ইন্টারনেটসহ সিম। যেকোনো মুঠোফোনে অ্যানড্রয়েড ব্যবহার করা যাবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে অথবা হজের ওয়েবসাইট (www. hajj. gov. bd) থেকে পিলগ্রিম গাইড সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।
বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশিদুল হাসান জানালেন, এ সফটওয়্যারটি ইনস্টল হলে সেটিংস থেকে হাজি তাঁর প্রাক্‌-নিবন্ধন নম্বর (১০ সংখ্যার নম্বর), মোবাইল নম্বর লিখে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করতে পারবেন। এটি একবারই করতে হয়। এতে মক্কা-মদিনার সময়, হজে করণীয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র অনুসন্ধান, পথনির্দেশক (ডিরেকশন), হজ সংবাদ (নিউজ), প্রযোজনীয় তথ্য (ইনফরমেশন), হাজি প্রোফাইল, ঐতিহাসিক স্থান-মেন্যু রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করে একবার আপডেট করে নিলে বিভিন্ন তথ্য মুঠোফোনে চলে আসবে।
সময়সূচি এবং আবহাওয়া মেন্যুতে মক্কা-মদিনার নামাজের সময়সূচি, আবহাওয়া ও সময় দেখা যাবে।
হজের মেন্যুতে করণীয় বিষয়ের মধ্যে একনজরে হজ, ওমরাহ, ইহরাম, অজিফা আরবি, বাংলা, ইংরেজি ভাষায় বর্ণনা করা আছে। কোরআন শরিফের ১১৪টি সুরা বাংলা, ইংরেজি ভাষায় দেখা ও শোনার ব্যবস্থা আছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র অনুসন্ধান মেন্যুতে মক্কা, মদিনার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থান দেখা যাবে।
পথনির্দেশক মেন্যুতে আপনার গন্তব্যস্থান শুরু হবে কোথা থেকে আর শেষ কোথায় হবে, এটা ঠিক করে নিলে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে নির্দেশনা পাবেন। ধরা যাক আপনার মক্কার বাসা শুরুর স্থান নির্বাচন করলেন আর যেতে চান কাবা শরিফে, এরপর তা গুগল ম্যাপে গাড়িতে অথবা হাঁটা রাস্তার নির্দেশনা দেবে। এখন আপনি যদি হারিয়ে যান, তবে নির্দেশনা ধরে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। একইভাবে মদিনা, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফার অবস্থানকে ‘সেভ’ করে নিলে নির্দেশনা পাওয়া যাবে। ঐতিহাসিক স্থান মেন্যুতে জাবালে রহমত, হেরা গুহা, জান্নাতুল মুআলা, জান্নাতুল বাকি সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ মেন্যুতে রয়েছে হজ কার্যালয় ঢাকা, হজ আইটি ডেস্ক মক্কা, মদিনা, জেদ্দা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের টেলিফোন নম্বর। নামাজের সময় মেন্যুতে পাওয়া যাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়। প্রোফাইল মেন্যুতে পাওয়া যাবে নাম, পিলগ্রিম আইডি,  গাইড, ফোন, এজেন্সি ফোন, দেশে ফেরার তারিখ ইত্যাদি। এক কথায় হাতের মুঠোতেই থাকছে সব তথ্য।


সূত্রঃ প্রথম আলো

আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং - শীর্ষস্থান ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া,

শীর্ষস্থান ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া, নবমে পাকিস্তান

শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৪-১ এ জয় লাভ করেছে পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। এরই সাথে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছে তারা।

অজিদের সাথে সাথে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে ইংল্যান্ড দলও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জয়ের পর ১০৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছে ইয়ন মরগানের দল।
র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া তাদের পয়েন্ট ১২৪-এ নিয়ে গেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের তুলনায় অস্ট্রেলিয়া এখন ১১ পয়েন্ট পেছনে আছে। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অজিদের বিপক্ষে সদ্যই সিরিজে পরাজিত হওয়া শ্রীলঙ্কা।
এদিকে ইংল্যান্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে জয়ী হয়ে এক পয়েন্ট সংগ্রহ করায় তাদের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭। দশমিকের কম পয়েন্ট এগিয়ে থেকে প্রোটিয়াদের উপরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।


তবে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বেশ অবনতি হয়েছে পাকিস্তানের। ২০০১ সালে বর্তমান র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পরে এই প্রথম পাকিস্তান নিজেদের সবচেয়ে কম পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের মাত্র একটিতে জয় পাওয়া পাকিস্তানের বর্তমান সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। অষ্টম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৮।
এই অবস্থায় ২০১৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিয়ে পাকিস্তানের সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বকাপে খেলার জন্য স্বাগতিক ইংল্যান্ড বাদে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ সাতে থাকা দলগুলোই কেবল সরাসরি অংশ নিতে পারবে।
বাকি দুটি দলকে বাছাইপর্বে বাঁধা পেরিয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিতে হবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে ১০টি দল অংশ নিবে।
আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং :
১ অস্ট্রেলিয়া -১২৪
২ নিউজিল্যান্ড- ১১৩
৩ ভারত- ১১০
৪ দক্ষিণ আফ্রিকা- ১১০
৫ ইংল্যান্ড- ১০৯
৬ শ্রীলংকা- ১০১
৭ বাংলাদেশ- ৯৮
৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৯৪
৯ পাকিস্তান- ৮৬
১০ আফগানিস্তান- ৪৯
১১ জিম্বাবুয়ে- ৪৬
১২ আয়ারল্যান্ড- ৪৩



আজ চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে ঢাকা ত্যাগ করছেন তাসকিন-সানি




গত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস তারকা তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানি। 
এরপর থেকেই বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর মিশনে রয়েছেন এই দুই বোলার। ইতিমধ্যেই অবশ্য নিজেদের বোলিং অ্যাকশন অনেকটা শুধরে ফেলেছেন তারা। এবার শুধু চূড়ান্ত পরীক্ষার পালা।
সোমবার বাংলাদেশ সময় ১১ টা ৫০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে চূড়ান্ত বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন তাসকিন এবং সানি।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন এই দুই বোলার। এর আগে ভারতের চেন্নাইয়ে আইসিসির পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাসকিন-সানি। কিন্তু সেই পরীক্ষায় উৎরাতে পারেননি তারা।
তবে অস্ট্রেলিয়ায় চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী তাসকিন এবং সানি।এই পরীক্ষায় উৎরাতে পারলেই আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তারা।
আগামী বৃহস্পতিবার ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের গবেষণাগারে পরীক্ষা হবে তাদের। জানা গেছে ৮ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা নেয়া হবে তাসকিনের।
অপরদিকে সানির পরীক্ষা নেয়া হবে দুপুর ২টায়। তবে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সানিকে নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।
কারণ বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছেন এই স্পিনার। এই জ্বর নিয়েই আজ রাতে তাসকিনের সাথে বোলিং পরীক্ষার জন্য উড়াল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে উড়াল দিবেন তিনি।
নিজের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সানি দেশের একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,
‘জ্বর একটু কমেছে। তবে পুরোপুরি নয়। এখনো পরীক্ষার দুই দিন বাকি।দেখা যাক কী হয়।’
তাসকিন এবং সানির পরীক্ষার ফলাফল জানতে হলে ক্রিকেট প্রেমীদের অপেক্ষা করতে হবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ। এই পরীক্ষার আগে আত্মবিশ্বাসী মনে হলো সানিকে। বললেন,
‘আগের চেয়ে আমার বোলিং অ্যাকশনে অনেক উন্নতি হয়েছে।  স্থানীয় কোচরা দেখে তেমনটাই রায় দিয়েছেন। এখন ওখানে পরীক্ষার রেজাল্টের পর পরই বুঝতে পারবো, অ্যাকশন কেমন হলো। তবে সবমিলিয়ে আমার মনে হয়, অ্যাকশনের ভালোই উন্নতি হয়েছে।’
তবে সানির থেকে তাসকিনের আত্মবিশ্বাস একটু বেশি। তার বক্তব্য,
‘গত কয়েক মাস ধরে যেভানে অনুশীলন করেছি, তাতে করে আমি আত্মবিশ্বাসী আমার অ্যাকশনের পরিবর্তন হয়েছে। স্থানীয় কোচরাও আমাকে দেখে আশার কথাই বলেছেন। আমার বিশ্বাস এবার ভালো খবর আসবে।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমি যে কোনও ধরনের বল করতেই প্রস্তুত। সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।’
উল্লেখ্য অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে তাসকিন-সানির সাথে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও। পরীক্ষা শেষে ১১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাদের।


সূত্রঃ ক্রিকফেনজি

হাথুরুর থেকে ওয়ালশের বেতন অনেক কম!

শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পা রেখেছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা এবং কিংবদন্তী পেসার কোর্টনি ওয়ালশ।




বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাশরাফি, রুবেলদের ফাস্ট বোলিংয়ের নানা মন্ত্র, কৌশল শেখাবেন ওয়ালশ।
তবে এই কোচিং করাতে এসে কত টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে নিবেন তিনি এটাই অনেকের কৌতূহলের বিষয়।অনেকেই মনে করছেন জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেতে যাচ্ছেন ওয়ালশ।
তবে অবাক করা বিষয় হলো ওয়ালশের পারিশ্রমিক তার নাম, খ্যাতি, যশ ও তারকা ইমেজের তুলনায় বেশ কম। জানা গেছে হেড কোচ হাতুরুসিংহের বেতন ক্যারিবিয়ান এই তারকার থেকে অনেক বেশি।
ওয়ালশের বেতন মূলত ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে ৪৫ দিনের খণ্ডকালীন ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত সাবেক লঙ্কান টেস্ট ক্রিকেটার সামারাবীরার বেতনের সমান।


বিসিবির সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি কর্ম দিবসে সামারাবীরা পাবেন ৫০০ মার্কিন ডলার। ভালমতো হিসেব করে দেখা গেছে ওয়ালশও একই পরিমাণ অর্থ পাবেন। সেক্ষেত্রে ওয়ালশের মাসিক বেতন হাথুরুসিংহের ৬৫ ভাগ।
বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ বর্তমানে হাথুরুসিংহের মাসিক বেতন প্রায় ২৮ হাজার ডলার। সেখানে ওয়ালশের বেতন হবে ১৫ হাজার ডলার প্রায়।
অবশ্য ওয়ালশের সঠিক মাসিক বেতনের পরিমাণ না জানালেও বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ওয়ালশ বছরে ২০০ কর্ম দিবস কাটাবেন এবং এই কয়দিনে বিসিবি থেকে তিনি ১ লক্ষ ডলার পাবেন।

টেস্ট ক্রিকেটে টানা ১৭ বছর খেলেছেন ওয়ালশ। একজন পেস বোলার হিসেবে এত দীর্ঘ সময় খেলার নজির ক্রিকেট বিশ্বে খুব একটা বেশি নেই।
দীর্ঘ ১৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫১৯ শিকার করা এই ক্যারিবিয়ানই এবার মাশরাফিদের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন।
নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শৃঙ্খলাবোধ, কঠোর পরিশ্রম, সাধনা ও মনোসংযোগের অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন ওয়ালশ। এবার বাংলাদেশ দলেও সেই একই পন্থায় সাফল্য অর্জন করতে চান তিনি।

মেসির ছেলে ফুটবল পছন্দ করে না

বাপকা বেটা হতেই হবে এ রকম কোনো কথা নেই। লিওনেল মেসির ছেলে যে ফুটবলারই হবে, সেটাও তো দিব্যি দিয়ে বলা যায় না। সেই সিদ্ধান্ত তো সে বড় হয়েই নেবে। তবু যদি সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের ছেলের মধ্যেও আগামীর তারকার স্বপ্ন দেখে থাকেন, মেসি নিজেই আপনাকে জানাচ্ছে দুঃসংবাদ। তাঁর তিন বছরের শিশুপুত্রর থিয়াগোর নাকি ফুটবলের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ নেই!
বাবার হাত ধরে বেশ কয়েক বারই মাঠে গেছে থিয়াগো। মায়ের সঙ্গে তো গ্যালারিতে তাকে অনেক বার দেখা গেছে। কিন্তু আর্জেন্টাইন টিভি চ্যানেল টেলেফেকে মেসি জানাচ্ছেন, ফুটবল খুব একটা টানে না বড় ছেলেকে, ‘আমি ওকে খুব বেশি বল কিনে দেইনি, অন্যদের সঙ্গে খেলতেও খুব একটা জোরাজুরি করিনি। আসলে সে ফুটবল অতটা ভালোবাসে না।’
তবে বার্সার খেলোয়াড়দের শিশুসন্তানদের জন্য খুব শিগগির ক্লাব কর্তৃপক্ষ একটা উদ্যোগ শুরু করেছে। ছেলের ফুটবলপ্রীতি জাগিয়ে তুলতে এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন মেসি, ‘এই উদ্যোগটা তো ভালোই মনে হচ্ছে, দেখা যাক কী হয়।’
বড় হলে আগ্রহের জায়গাটা বদলে যেতেও পারে। অবশ্য বিখ্যাত বাবার সন্তানরা খুব কমই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পেরেছে। পেলের ছেলেও যেমন খুব একটা নাম করতে পারেননি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার ছেলেও নয়। তবে কেউ পারেনি জন্য কেউ পারবে না, তাও তো নয়।
এখনো সময় আছে। থিয়াগোর আগ্রহ বদলাতেও পারে। আর তা ছাড়া মেসির তো আরও একটা পুত্র সন্তান আছে। মাতেও অবশ্য এখনো ঠিকমতো হাঁটাই শেখেনি।


সূত্রঃ প্রথম আলো 

এশিয়ার সেরা আটে বাংলাদেশের মেয়েরা!


৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি ম্যাচ, তার ওপর প্রাণ ওষ্ঠাগত গরম। এর সঙ্গে হাঁটাই যায় না এমন ভারী মাঠ তো আছেই। মাঠের খেলাই বলে দিচ্ছিল কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে খেলছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের কিশোরীদের কাছে কোনো বাধাই যে বাধা নয়, সেটা খুব ভালো মতোই বুঝতে পারল সংযুক্ত আরব আমিরাত। চীনা তাইপেকে হারিয়ে আগের ম্যাচেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। আজ আমিরাতকে ৪-০ গোলে হারিয়ে জয়োৎসব করল বাংলাদেশের মেয়েরা। আজও জোড়া গোল করেছে আলাদা করে নজর কাড়া কৃষ্ণা। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ২৬ গোল করল বাংলাদেশের মেয়েরা।

ম্যাচের শুরুতেই অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ঘড়িতে তখনো তিন মিনিটই হয়নি। আগের ম্যাচগুলোর মতো এ ম্যাচেও মাঠের আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের মেয়েদেরই। কৃষ্ণা, সানজিদা, মারিয়া, মৌসুমীরা একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেছে আমিরাতের গোল সীমানায়। শুরুতেই গোল, মনে হচ্ছিল এবারও গোলবন্যাতেই ভাসবে প্রতিপক্ষ।

তবে তা চারটির বেশি হলো না। বৃষ্টির কারণে মাঠ এত ভারী হয়ে না গেলে গোলের সংখ্যা আরও বাড়ত। বাংলাদেশ একটি পেনাল্টিও মিস করেছে। আরেকটি শট ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে গেছে বাইরে।

সানজিদা, কৃষ্ণারা যতবারই বল নিয়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়েছে, ততবারই আমিরাতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা যতটা না সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তার চেয়েও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারী মাঠ। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কৃষ্ণা একটি পেনাল্টি আদায় করে নিলেও তা থেকে গোল করতে পারেনি আগের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে দুই গোল করা শামসুন্নাহার।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আবারও গোল করেন কৃষ্ণা। ৫৫ মিনিটে দারুণ এক থ্রু থেকে আনুচিংয়ের সুযোগসন্ধানী গোল বাংলাদেশকে এগিয়ে দেয় ৩-০ গোলে। ৮৬ মিনিটে মনিকার দারুণ এক ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন বদলি খেলোয়াড় তহুরা। ম্যাচের বাকি সময়টা আক্রমণেই ছিল বাংলাদেশ। এই সময় আরও দু–একটি গোল পেয়ে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।

আমিরাতকে হারিয়েই জয়োৎসবের লক্ষ্য ছিল দলের। সেটা খুব ভালোমতোই হলো ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ড্যারেন ব্রাভোর সেই বিখ্যাত ‌‌‘চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন’ গানটির সঙ্গে।

উৎসব মেয়েদেরই মানায়। তারা যে এখন কেবল নিজেদের গ্রুপের চ্যাম্পিয়নই নয়, অনূর্ধ্ব–১৬ পর্যায়ে এশিয়ায় মেয়েদের শীর্ষ আটটি দলের একটি। এখন পরের ধাপে যাওয়ার পালা। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে নিয়েই যাবে বাংলাদেশের মেয়েরা। শুধু এখন তাদের প্রয়োজন ঠিকঠাক যত্নের।

সূত্রঃ প্রথম আলো

ভক্তদের ধাক্কায় মাটিতে নেইমার


নেইমার এই মুহূর্তে যা করছেন, তাতে তো তাঁকে মাথায় তুলেই নাচার কথা। অলিম্পিকের পর ইকুয়েডরের গেরোও খুলে দিয়েছেন। অথচ ভক্তরা কিনা তাঁকে একেবারে ভূপাতিত করল!
ভালো করলে ভক্তরা তাঁদের আকাশে তুলে দেন। আবার খারাপ করলেই নামিয়ে আনেন মাটিতে।

 না, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। নেইমারের কোনো ক্ষতি করতে নয়, ভালোবেসেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কজন। মানাউসে চলছে ব্রাজিল দলের অনুশীলন, কলম্বিয়ার সঙ্গে এখানেই আগামী পরশু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। কাল অনুশীলনেই হঠাৎ করে মাঠ ঢুকে পড়েন কয়েকজন ভক্ত। নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে একেবারে নেইমারকে গিয়েই জড়িয়ে ধরলেন দুজন। ওই অবস্থাতেই তিনজনই মাটিতে পড়ে যান। সঙ্গে এসে যোগ দেন আরও এক-দুজন। এঁদের কেউ কেউ নেইমারকে রক্ষা করার চেষ্টাই করছিলেন।
কিন্তু সব মিলিয়ে একেবারে গিট্টু লেগে যাওয়া অবস্থা। ভক্তের মধুর অত্যাচারে নেইমারের তখন হাঁসফাঁস উঠে গেছে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা একরকম উদ্ধারই করে তাঁকে। নেইমার হাসি দিয়েই পরিস্থিতি সামলেছেন। তবে একটু যেন বিব্রত। ভক্তরা জেল-জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ঢোকেন, এ নতুন নয়। তবে একেবারে ধরে মাটিয়ে শুইয়ে ফেলা, এ অবশ্যই নতুন!
কদিন আগেই আর্জেন্টিনার সঙ্গে উরুগুয়ের ম্যাচেই মেসির জন্য একজন মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। তিনি নিরাপদ দূরত্বে থেকে শুধু মেসির বুট ছুঁয়েছেন। মেসিও ভালোবেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। তবে নেইমারের ভক্তদের খ্যাপা ভঙ্গিতে মাঠে ঢোকা দেখেই বোঝা গেছে, এরা শুধু বুট ছুঁয়ে শান্ত হবে না। ভাগ্য ভালো, কোনো বিপদ ঘটেনি।

সূত্রঃ প্রথম আলো

সরকারি ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর থেকে








পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি বাড়ল। ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে ১২-১৪ সেপ্টেম্বরের সরকারি ছুটির সঙ্গে যোগ হলো ১১ সেপ্টেম্বরের ছুটিও। তার আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সব মিলিয়ে ঈদের ছুটি হবে মোট ছয়​ দিনের।
আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
এর আগে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ছুটি ঘোষণা করা হলেও ওই দিনের অফিস করতে হবে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার।
এদিকে ঈদের ছয় দিনের ছুটির সঙ্গে কেউ ১৫​ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ছুটি নিলে পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তার ছুটি দাঁড়াবে মোট নয় দিন।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে

অনলাইনে নিজের মত করে পোর্টফোলিও তৈরি করুন!! (Start your free online portfolio website today)

 অনলাইনে মনের মত করে পোর্টফোলিও তৈরি করুন আর নিজের দক্ষতাকে ছড়িয়ে দিন।

Everything you need to create a professional website

Make your own portfolio in your web browser


Build with free imagination

Portfolios for creatives

 With Portfoliobox you are not forced to use a standard theme. You can use any style for any page and create a truly unique website that reflects you and your work. More than 400 000 websites have been created with Portfoliobox - All of them unique!


তাহলে এখনি তৈরি করে নিন পছন্দের পোর্টফোলিও টি।
শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন...
 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates