মেডিটেশন হচ্ছে মনের ব্যায়াম। নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন বাড়ায় মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা। মনের জট যায় খুলে। সৃষ্টি হয় আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। হতাশা ও নেতিবাচকতা দূর হয়। প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘটে অন্তর্জাগৃতি। মেডিটেশন হলো সচেতনভাবে দেহ মন এবং মস্তিষ্ককে শিথিল করার আধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং সহজ প্রক্রিয়া। মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে শিথিল এবং মন ও মস্তিককে প্রশান্ত করতে পারি। ফলে টেনশন অস্থিরতা মুক্ত হয়ে আমরা সচেতনভাবে দেহ-মনে সুখানুভূতি তৈরি এবং সবসময় তা উপভোগ করতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজ করতে পারি আনন্দ নিয়ে, পেতে পারি সহজ সাফল্য। অর্থাৎ শারীরিক মানসিক বৈষয়িক প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশান্তিতে থাকার জন্যে, মেডিটেশন হচ্ছে দেহমনে সে অবস্থা সৃষ্টির একটি সহজ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। একজন গৃহিণী হিসেবে আপনি মেডিটেশন করে পাবেন সুখী পারিবারিক জীবন যাপনের আনন্দ। একজন পেশাজীবী হয়ে সবসময় মাথা ঠান্ডা রেখে আপনি নিতে পারবেন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আর একজন সফল মানুষ হওয়ার জন্যে মেডিটেশনে মনছবি চর্চা করে আপনি আপনার জীবনের যেকোনো চাওয়াকে পরিণত করতে পারেন স্বতঃস্ফূর্ত পাওয়ায়। আর উপাসনায় একাগ্রতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মিক আধ্যাত্মিকভাবে আপনি অগ্রসর হতে পারেন ধ্যানের পথ ধরে। এভাবে একটি প্রশান্ত মন, সুস্থ জীবন ও কর্মব্যস্ত সুখী জীবন যাপনের জন্যেই আপনার প্রয়োজন মেডিটেশন করা। আমরা জানি পৃথিবীর সব বড় বড় বিপ্লবের সূচনা হয়েছে মৌনতার মাঝে মনের ধ্যানাবস্থায়।দুনিয়ায় মানুষের তৈরি দৃশ্যমান সবকিছুই প্রথম বাস্তবতা লাভ করেছে মনে। তবে এ বিষয়টি আমরা অতোটা গুরুত্ব দিয়ে মানিনা।
আমাদের যান্ত্রিক জীবনে একটু শান্তি মতো নিশ্বাস নেওয়ারও সময় নেই। জীবনের সফলতার এই দৌঁড়ে কখনও কখনও হাপিয়ে উঠি। আবার বিভিন্ন কারণে মন অস্থির থাকে।চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত নিলে অনেক সময় ভুল হয়। জীবনে যে কোনো বিষয়ে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন দূরদর্শীতা, ধৈর্য। আর এটা আমরা পেতে পারি মেডিটেশনের মাধ্যমে। মেডিটেশন আমাদের ক্লান্তি, অবসাদ এবং খেয়ালী মনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। মেডিটেশন করলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, হতাশা, পিরিয়ডের আগের ব্যথা, অস্বস্তি, মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকর। মেডিটেশন আমাদের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সাহায্য করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন