LATEST UPDATE

বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬

লাল শাক নাকি কচু শাক?



লালশাক

ছোট-বড় সবার খুব প্রিয় লালশাক। লালশাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। ফলে যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত লালশাক খেলে রক্তস্বল্পতা পূরণ হয়। লালশাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লালশাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
লালশাকের আরও উপকারিতা:
ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লালশাক যথেষ্ট উপকারী। এ ছাড়া এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।
আঁশজাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।
দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।
শিশুদের অপুষ্টি দূর করে।
শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ হয়।
এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কচুশাক

কচুশাকে ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি-ও। তাই মুখ ও ত্বকের রোগ প্রতিরোধেও কচুশাক সমান ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, তাই হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
কচুশাকের আরও উপকারিতা:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যা দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠনে ভূমিকা রাখে। এর বিভিন্ন ভিটামিন কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য আঁশ, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে, পরিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আয়রন ও ফোলেট রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে অক্সিজেন সংবহনও পর্যাপ্ত থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। দাঁত ও হাড় গঠনে ও ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাতকানা, ছানিসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে কচুশাক অতুলনীয়।

বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে এক কন্যাশিশুর বিয়ে! বাংলাদেশের অবস্থান ১১১


 মেয়েদের বেড়ে ওঠার, বিকশিত হওয়ার সুযোগ বিচার করে সেইভ দ্য চিলড্রেন বিশ্বের ১৪৪ দেশের যে সারণী প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১ নাম্বারে।
এই তালিকায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়া সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
সেইভ দ্য চিলড্রেন মেয়ে শিশুদের সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাল্যবিয়েকে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ড একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে বয়স ১৫ পূর্ণ করার আগেই।
সোমবার প্রকাশিত এই 'গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স' অনুযায়ী, কন্যা শিশুদের জন্য বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে কঠিন দেশ নাইজার। আর মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে সুইডেন।
সেইভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের সংগ্রহ করা গত এক বছরের তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে তারা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। কোন দেশের কী অবস্থা তা বুঝতে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচটি সূচক।
এই পাঁচ সূচক হলো- বাল্যবিয়ে, কিশোরী বয়সে মাতৃত্ব, প্রসূতিমৃত্যুর হার, পার্লামেন্টে নারীর প্রতিনিধিত্ব এবং নিম্ন মাধ্যমিকে ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার।
সেইভ দ্য চিলড্রেনের সিইও ক্যারোলিন মাইলস জানান, বাল্যবিয়ের মধ্য দিয়ে একটি মেয়ের জীবনে অনেকগুলো ক্ষতির সূচনা হয়। জোর করে বিয়ে দেয়া মানে, তার স্কুলজীবনের ইতি। অনেক ক্ষেত্রে সে পারিবারিক সহিংসতা, নির্যাতন এমনকি ধর্ষণেরও শিকার হয়। শরীর ও মন তৈরি হওয়ার আগেই তাকে সন্তান ধারণ করতে হয়। তার এবং তার সন্তানের স্বাস্থে?্যর জন?্য এর ফল হয় মারাত্মক।
তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগেই আমি বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। সেখানে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই এক তৃতীয়াংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশেই এটাকে সামাজিক সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দেখা হয়, সরকারি নীতির অংশ হিসেবে নয়; এটা আমাকে দারুণ পীড়িত করে।'
গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স
শীর্ষে যারা: ১. সুইডেন, ২. ফিনল?্যান্ড, ৩. নরওয়ে, ৪. নেদারল?্যান্ডস, ৫. বেলজিয়াম, ৬. ডেনমার্ক, ৭. সস্নোভেনিয়া, ৮. পর্তুগাল, ৯. সুইজারল?্যান্ড, ১০. ইটালি।
তলানিতে যারা: ১৩৫. আইভরি কোস্ট, ১৩৬. নাইজেরিয়া, ১৩৭. গিনি, ১৩৮. মালাওয়ি, ১৩৯. সিয়েরা লিয়ন, ১৪০. সোমালিয়া, ১৪১. মালি, ১৪২. সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ১৪৩. শাদ, ১৪৪. নাইজার।
সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকা দেশগুলোর প্রায় সবই ইউরোপীয় রাষ্ট্র। আর সবার পেছনে পড়ে থাকা দেশগুলো সাব সাহারান আফ্রিকার। সূচকে যুক্তরাজে?্যর অবস্থান ১৫ ও যুক্তরাষ্ট্র ৩২ নাম্বারে।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধে?্য মেয়ে শিশুদের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো মালদ্বীপে। সূচকে দেশটি রয়েছে ৫০তম অবস্থানে। এছাড়া শ্রীলংকা তালিকার ৬০, ভুটান ৮০, নেপাল ৮৫, পাকিস্তান ৮৮, ভারত ৯০ এবং আফগানিস্তান ১২১তম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারে বাল?্যবিয়ের হার ৭৬ শতাংশ। আর প্রতি পাঁচজন কিশোরীর মধে?্য গড়ে একজন ওই বয়সেই মা হয়।
ব্র্যাকের এক গবেষণার তথ?্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার ৬৫ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ এবং পৃথিবীতে চতুর্থ। বাংলাদেশে প্রতি তিনটি বিয়ের দুটিতেই কনের বয়স থাকে ১৮ বছরের নিচে। বাল্যবিয়ের ৮০ শতাংশই ঘটে দরিদ্র পরিবারে।
মেয়েদের বিয়ের নূ্যনতম বয়স ১৮ বছর থেকে কমানো যায় কিনা- তা নিয়ে ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে আলোচনা হলে বিভিন্ন মহল থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
তারপরও গতবছর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে, যাতে 'বিশেষ পরিস্থিতিতে' মেয়েদের বিয়ের নূ্যনতম বয়স ১৬ বছর করার প্রস্তাব করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সে সময় 'বিশেষ পরিস্থিতির' ব্যাখ্যায় বলেন, 'মেয়ে প্রেমঘটিত কারণে ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেলে বা মেয়ে ছেলের বাড়িতে চলে যাওয়ার পর নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জানালে বা বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে- এরকম পরিস্থিতিতে ১৬ বছর করা যায় কিনা, তা সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।'
এ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার আগে চলতি বছর এপ্রিলে মাতৃমৃত্যু রোধ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ক্ষমতাসীন দলের দুই সংসদ সদস্যও বিয়ের বয়স কমানোর প্রস্তাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে বলেন, কোনো ধরনের শর্ত রেখেও মেয়েদের বিয়ের নূ্যনতম বয়স ১৮ এর নিচে আনা উচিত হবে না।
  সূত্রঃ যায় যায় দিন
 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates