ঈদের আগে আগে নতুন পোশাক এসেছে ফ্যাশন হাউসগুলোয়!
Posted by
informatic.top
on
১১:২০:০০ PM
in
LifeStyle
|
আবারও নতুন পোশাক। তবে সেটা রমজানের ঈদের মতো খুব বড় পরিসরে না। যেহেতু এই ঈদে পোশাক
কেনাকাটায় মানুষের ঝোঁক কম থাকে, তাই স্বল্প পরিমাণে নতুন পোশাক তোলে
দোকানগুলো। অনেক দোকানে আবার মূল্যছাড়ের ছড়াছড়ি।
ড্রেসিডেলের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার মায়া রহমান বলেন, ‘এবারও নতুন পোশাক
থাকছে ছেলে ও মেয়েদের জন্য। বেশ কিছু কামিজ, পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক, শাড়ি ও
পাঞ্জাবিতে নতুন নকশা করা হয়েছে ঈদের কথা ভেবেই। এখনো যেহেতু বাইরে
ভ্যাপসা গরম তাই সুতি কাপড় বেছে নেওয়া হয়েছে।’
ঈদুল আজহায় সাধারণত বিকেল
পর্যন্ত পশু কোরবানি, মাংসের ভাগ-বাঁটোয়ারা আর রান্না নিয়েই থাকে
ব্যস্ততা। তবে সকালে ঈদগাহে যাওয়া বা দুপুরে মেহমান এলে তো আর পুরোনো
পোশাক পরে থাকলে চলে না। কিছুটা পরিপাটি দেখানো চাই। আর সে জন্যই একটা
নতুন পাঞ্জাবি, শার্ট, কামিজ বা শাড়ি কিনতেই পারেন। বাজারে সুতি কাপড়ের
হালকা ও ভারী দুই ধরনের নকশা করা পোশাকই মিলবে। মেনজ ক্লাবের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মাহমুদুল হেলাল জানান, ছেলেদের পোশাকে নানা ধরনের ওয়াশের কাপড়
হলো চলতি ধারা। যার মধ্যে অ্যাসিড ওয়াশ, ডিপ ডাইং, কুল ডাইং, টাওয়েল ওয়াশ
বা সিলিকন ওয়াশ বেশি দেখা যাচ্ছে। পাঞ্জাবি, শার্ট বা টি-শার্ট সব ধরনের
পোশাকেই এই ওয়াশ চলছে। এ ছাড়া নানা ধরনের প্রিন্ট দেখা যাচ্ছে ছেলেদের
শার্টে। রয়েছে ছোট-বড় চেকের নকশা।মেয়েদের কামিজে নিচের দিকের কাটেই থাকছে বেশি বৈচিত্র্য। ‘দুই দিকে ঝুল
বাড়ানোর ধারাটা এই ঈদেও সমান জনপ্রিয় থাকবে’ বলে জানালেন ডিজাইনার লিপি
খন্দকার। এ ছাড়া স্কার্টের সঙ্গে হালকা কাজের কামিজ বা ফতুয়া পরলেও ঈদের
দিন ভালো দেখাবে। মেয়েদের ঈদের পোশাক কামিজ প্লেইন হলে পালাজ্জো দিয়ে
পরলে ভালো দেখাবে। তবে ঝুলে নকশা করে কাটা বিভিন্ন প্যাটার্নের হলে সেটার
সঙ্গে মানাবে লেগিংস।
মেয়েদের পোশাকে কামিজে জ্যাকেট ছাড়াও কয়েক ধাপে
করা নকশার চল দেখা যাচ্ছে। ফ্যাশন হাউস সেইলরের এবার পোশাকের থিম মরক্কো।
সেখানকার নানা ধরনের স্থাপত্যশৈলী ও নকশাকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে ছেলে ও
মেয়েদের পোশাক। সেইলরের জ্যেষ্ঠ ফ্যাশন ডিজাইনার সাদিয়া আফরোজ বলেন,
‘কেউ কেউ ঈদের পরেই বিয়ের মতো বিশেষ আয়োজন করেন। তাই ভারী কাজের কিছু
পোশাকও ডিজাইন করতে হয়। এ ছাড়া ঈদের দিন সন্ধ্যার দাওয়াতে গেলেও একটু ভারী
সাজ ভালো দেখাবে।’
ফলে কারচুপি, অ্যামব্রয়ডারি বা লেইসের ব্যবহারে
পোশাকে আনা হচ্ছে জমকালো ভাব। শাড়ির ক্ষেত্রেও একই। আঁচল বা পাড়ই নয়,
শাড়ির জমিনেও থাকছে নানা ধরনের কাজ বা প্রিন্ট। তবে সব ধরনের পোশাকেই
হালকা রং বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডিজাইনাররা।
দরদাম
মেয়েদের
কামিজ ৬০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, শাড়ি ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া
শুধু স্কার্ট কিনতে চাইলে দাম শুরু হবে ৫০০ টাকা থেকে। নানা ধরনের টপ মিলবে
৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। পালাজ্জো বা লেগিংস কিনতে চাইলে ২৫০ থেকে
১ হাজার টাকায় পাবেন।
ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ৩
হাজার টাকা, শার্ট ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা আর টি-শার্ট ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০
টাকা। এ ছাড়া ছেলেদের প্যান্ট ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা আর পায়জামা ৩০০ থেকে ১
হাজার ৫০০ টাকা।
যেখানে কিনবেন
রাজধানীর
নিউমার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, দেশী দশ, রাপা প্লাজা,
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, পিংক সিটি,
পুলিশ প্লাজা, হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে পাওয়া যাবে এগুলো। এ
ছাড়া মনমতো পোশাক পাবেন আড়ং, মায়াসির, সেইলর, ড্রেসিডেল, বিশ্বরঙ, লা
রিভ, যাত্রাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন