LATEST UPDATE

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঈদে ঘুরে আসুন তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াতের স্বপ্নের নক্ষত্রবাড়িতে!


এবার ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন থাকছে তারকা দম্পতি তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াতের স্বপ্নের নক্ষত্রবাড়িতে। কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে ওঠে অনেকেই খোঁজেন প্রশান্তির ছোঁয়া। একেবারে নিরিবিলি, মনোরম ও স্নিগ্ধ পরিবেশে ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দু-দণ্ড প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন  নক্ষত্রবাড়ি।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট এন্ড কনফারেন্স সেন্টার এর সহকারি বিক্রয় –বিপণন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আল সুমন বলেন, ঈদে অতিথিদের স্বাগত জানাতে নক্ষত্রবাড়ি প্রস্তুত।
সুমন বলেন, আধুনিক স্থাপত্যশিল্প আর নয়নাভিরাম প্রকৃতির মাঝে অতিথিদের সময়কে উপভোগ্য করে তুলতে চমৎকার সব ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। রয়েছে রেস্তোরাঁ, ওয়াটার বাংলো, সুইমিং পুল, জুস বার ,বিলিয়ার্ড ও  বোটিং এর ব্যবস্থা।
এছাড়া অতিথিদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভাড়া: পানির ওপর কটেজগুলো ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা। বিল্ডিং কটেজের ভাড়া কাপলবেড ৮ হাজার ২২২ টাকা এবং টু-ইন বেড ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা। এছাডা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকতে চাইলে ব্যয় করতে হবে মাত্র ২ হাজার পাঁচশত টাকা। যেখানে সকালের নাস্তা , দুপুরের বুফে লাঞ্চ ও বিকেলের নাস্তা থাকছে।
যোগাযোগ: ০১৫৫১ ২২২২১১, ০১৭৭২২২৪২৮১-৮৪।
 

ঈদ স্পেশাল রেসিপি!

বন্ধুরা, ঈদের নানা কাজ গোছাতে এখনো হয়তো ব্যস্ত অনেকে। এরই মধ্যে ভাবতে হচ্ছে ঈদের বিশেষ রান্না নিয়ে। আপনার ভাবনা কমাতে মজার কয়েকটি আইটেমের সহজ রেসিপি দিয়েছেন সৃষ্টি ফুড ক্রিয়েশনের কর্ণধার-দেশের স্বনামধন্য রন্ধনশিল্পী তাসনিয়া রহমান সৃষ্টি।

লায়ালি লুবনান  
উপকরণ-লাচ্ছা সেমাই ১/৪কাপ, সুজি ১/৪কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১টিন, ডিম ১টি, পানি ২কাপ, গোলাপ জল ১চা চামচ, মধু ৩টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ৩টেবিল চামচ, কাজু বাদাম কুচি ৩টেবিল চামচ, চেরি ৪/৫টি, বাটার ক্রিম(ডিমের সাদা ১টি, আইসিং সুগার পোনে ১কাপ, বাটার ২০০গ্রাম,বরফ ১কিউব,কর্নফ্লাওয়ার ১টেবিল চামচ, এসেন্স ১ফোটা সব দিয়ে ক্রিম বানানো) ও লবণ ১চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালী-একটি পাত্রে ডিম কনডেন্স মিল্ক ও পানি মিশিয়ে সেমাই ও সুজি দিয়ে মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ঘন হযে আসলে গোলাপ জল দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে একটু ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এবার বাটার ক্রিম দিয়ে ওপরে বাদাম ও চেরি ছিটিয়ে মধু দিয়ে সেট করে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।









দম বিরিয়ানি
উপকরণ
মাংস মাখাতে -গরু অথবা খাসির মাংশ ১কেজি,টকদই ১/২কাপ,কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ২চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২টেবিল চামচ,অদা বাটা ১টেবিল চামচ,রসুন বাটা ১টেবিল চামচ,জিরা বাটা ১চা চামচ,গরম মশলা বাটা ১চা চামচ,পোস্তদানা বাটা ১চা চামচ,ঘি ২টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমত।
বাসমতি চাল ১/২কেজি,বড় এলাচ ১টি,ছোট এলাচ ৩টি,দারচিনি টুকরা,তেজপাতা ২টি, কিশমিশ ১টেবিল চামচ, কাজুবাদাম ১০/১২টি, কাচামরিচ ৬/৭টি, জাফরান ভেজানো দুধ ১কাপ, জাফরান ১চিমটি, গোলাপজল ১টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/৪কাপ,ঘি ৩টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমত।
প্রস্তুত প্রণালী-মাংস মাখানোর সমস্ত উপকরণ একসাথে মেখে ২/৩ঘন্টা রেখে দিন। চাল ১৫মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। হাড়িতে পরিমাণমত পানি বসিয়ে তাতে লবণ ও আস্ত গরম মশলা দিয়ে পানি ফুটিয়ে তাতে চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার যেই পাত্রে বিরিয়ানি দমে বসাবেন সেই পাত্রে মেখে রাখা মাংস বিছিয়ে বেরেস্তা, বাদাম, কিশমিশ, আধাসেদ্ধ চাল, জাফরান, বাদাম, গোলাপজল, কাঁচা মরিচ ও জাফরান ভেজানো দুধ দিয়ে ফয়েল পেপার অথবা ময়দার রুটি বানিয়ে হাড়ির মুখ চারপাশ দিয়ে মুরে বন্ধ করে দিন,যাতে করে কোনো ভাপ বের হতে না পারে। এবার গরম লোহার তাওয়ার ওপর হাড়ি বসিয়ে মৃদু আচে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। এবার ফয়েল পেপার খুলে পছন্দমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

খাসির চাপ
উপকরণ-খাসির মাংস ৫০০গ্রাম, একটু বড় পিস করে কেটে হালকা করে ছেঁচে নিন। পেঁয়াজ বাটা ২টেবিল চামচ, আদা বাটা ১টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১টেবিল,গরম মশলা গুড়া ১চা চামচ, জয়ফল, জৈয়ত্রী বাটা ১/৪চা চামচ, জিরা গুড়া ১চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২চা চামচ,মরিচ গুঁড়া ১চা চামচ, গোলমরিচ বাটা ১চা চামচ, কাচামরিচ ৩/৪টি, ধনেপাতা কুচি ২টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৫টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমত।
প্রস্তুত প্রণালী-মাংসের সাথে সমস্ত উপকরণ মেখে ২/৩ঘন্টা মেখে রাখুন। এবার কড়াইতে চাপ ঢেলে কষিয়ে পরিমাণমত পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে চাপ ভাজা ভাজা করে কাচামরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে পছন্দমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

এবার ঈদের ছুটিতে টেকনাফ ঘুরে আসতে পারেন!


কক্সবাজার কিংবা সেন্ট মার্টিনে সারা বছরই পর্যটকদের ঢল থাকে। তবে এমন অনেকে আছেন, যারা কক্সবাজার গিয়েও টেকনাফ না বেড়িয়েই চলে আসেন। অথচ নাফ নদী, জলিলের দিয়া, নেটং পাহাড়, কুদুম গুহা আর সাদা বালুর নিরিবিলি সৈকতের হাতছানি এড়ানো ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সত্যি কঠিন। এবার ঈদের ছুটিতে তাই টেকনাফ ঘুরে আসতেই পারেন।
সমুদ্রসৈকত টেকনাফ: পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শেষ সীমানা হচ্ছে টেকনাফ। এবার সৈকতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে সেন্ট্রাল রিসোর্ট হোটেলে চাইলে রাত যাপন করা যায়। হোটেল লবি থেকে দেখা যাবে সাগরসৈকত। টেকনাফ পুরোনো বাসস্টেশন থেকে রিকশা, অটোরিকশা ও চাঁদের গাড়িযোগে (জিপ) সমুদ্রসৈকতে যাওয়া যায়। জিরো পয়েন্ট থেকে চার কিলোমিটার দূরে টেকনাফ সমুদ্রসৈকত। সেখানে গিয়ে দেখতে পাবেন সারিবদ্ধ লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক, জেলেদের মাছ ধরার অপরূপ দৃশ্য। টেকনাফ সৈকত পাড় থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার উত্তরে শীলখালী নামের স্থানে গেলে দেখতে পাবেন বিশাল আকৃতির সব পাথর। টেকনাফ থেকে নয় কিলোমিটার দক্ষিণ শাহপরীর দ্বীপের ঘোলাপাড়ায় ডোবাচরও দেখে আসা যায়। শীত মৌসুমে এখানে বিপুলসংখ্যক অতিথি পাখির সমাগম ঘটে।

 মথিনের কূপ:
টেকনাফ বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পুলিশ কোয়ার্টার প্রাঙ্গণে অবস্থিত ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্টাচার্যের সঙ্গে টেকনাফের জমিদার ওয়ানথিনের একমাত্র কন্যা মাথিনের নিবিড় প্রেমের সাক্ষী এই কূপ। এই কূপ থেকেই পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে ধীরাজের সঙ্গে দেখা হয় মাথিনের।
নেটং পাহাড়: শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে নেটং পাহাড়ে গিয়ে বন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এই পাহাড়ে হাতি, হরিণ, বানর, ভুতুম প্যাঁচা, পাহাড়ি মুরগি, ময়ূর, মেছো বাঘসহ কয়েক প্রজাতির পশুপাখির বসবাস। নেটং পাহাড়ে যাওয়ার পথে পড়বে পাহাড়ের গা বেয়ে নামা ঝিরি-ঝরনা। পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে দেখা যায় পাহাড় সারি আর নাফ নদীর অপরূপ দৃশ্য। এই পাহাড়ের খুব কাছেই রয়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তৈরি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বাংকার ও ব্রিটিশ স্থাপনা টি অ্যান্ড টি ভবন। এখানে সরু পাহাড়ি পথ ধরে হেঁটে প্রাচীন বৌদ্ধমন্দিরও দেখে আসতে পারেন। নেটং পাহাড়ের প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মোছনী নামক স্থানে প্রান্তিক লেক ও ন্যাচারাল পার্ক অবস্থিত। হাতে সময় থাকলে একই যাত্রায় প্রান্তিক লেক ও ন্যাচারাল পার্ক ঘুরে আসতে পারেন। পার্কের পাশেই একটি নিরিবিলি হ্রদের তীরে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে চলে আসতে পারেন। তবে এ জায়গায় দল বেঁধে যাওয়াই ভালো। পার্কে প্রবেশ ফি ১০ টাকা।


নাফ নদী ও জলিলের দিয়া:
যেকোনো এক বিকেলে বেরিয়ে পড়ুন নাফ নদীতে সময় কাটাতে। এ সময় নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগবে। নাফ নদীর মাঝখানে টেকনাফ স্থলবন্দরের পূর্ব পাশে জলিলের দিয়ার অবস্থান। যুগ যুগ ধরে টেকনাফের কিছু লোক ওই দ্বীপে চিংড়ি ও লবণের চাষাবাদ করে আসছিল। বর্তমানে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষ পর্যটন এলাকা। টেকনাফ সদর থেকে নাফ নদীর দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। অনেকে শহরের দিকে না গিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত পর্যটন হোটেল নেটং, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলো ও বন বিভাগের বাংলোয় রাতযাপন করেন।


কুদুম গুহা:
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ আসার পথে হোয়াইক্যং। হোয়াংক্যংয়ের পাহাড়ে কুদুম গুহার অবস্থান। হোয়াইক্যং স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে শামলাপুর যাওয়ার পথেই পড়বে এটি। সেখানে যেতে হলে সহযোগিতা নিতে পারেন হোয়াইক্যং বন বিভাগের বন প্রহরীদের। যেতে হবে হেঁটে। সময় লাগবে প্রায় এক ঘণ্টা।
কীভাবে যাবেন টেকনাফ: চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন, বহদ্দারহাট ও সিনেমা প্যালেস থেকে সকাল ছয়টা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত সৌদিয়া, এস আলম বাস চলাচল করে। কক্সবাজার এসে লিংক রোড ও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত টেকনাফের বাস চলাচল করে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ আসতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা।

আজ পবিত্র হজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফার ময়দান!

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্’- লাখো কণ্ঠের এই ধ্বনিতে আজ মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফার ময়দান। বিঘোষিত হবে আল্লাহতায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা। কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দু’টুকরো ইহরামের কাপড় পড়ে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়বে সৌদি আরবে অবস্থানরত হজপালনকারীরা। আল্লাহতায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহে বিরাজ করবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্য।
হজের সব আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড ইমাম হাজিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জোহরের নামাজের আগেই হজের খুতবা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করবে। হজের খুতবা শোনা হজের অন্যতম বিধান।
১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবুদল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ হজের খুতবা দিয়ে আসছিলেন। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখনও ঠিক হয়নি কে হজের খুতবা প্রদান করবেন।
গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম মুফতি সালিহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজের স্থালাভিষিক্ত হতে পারেন। অনেকে অবশ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার শায়খ সালিহ আল আশ শায়খ ও দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি চেয়ারম্যান গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের নামও বলছেন।
আরাফার ময়দানে অবস্থান প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুর রহমান বিন ইয়ামার আদ-দায়লি (রা.) হতে বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাই তো হজ।’ ইমাম শাওকানি (রহ.) এ কথার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফাতে অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট দিনে উক্ত ময়দানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য অর্জন করল তার হজ হয়ে গেল।’


এএফপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। অস্ত্রসজ্জিত যান নিয়ে রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। আকাশে চক্কর দিচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়াসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবেলায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে হাজার হাজার কর্মী। প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতালগুলো।
আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে দুপুরে হজের খুতবা দেওয়া হবে। এখানে খুতবার পর এক আজানে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের কসরের (দুই রাকাত করে) নামাজ আদায় করবেন হজযাত্রীরা।
এরপর হাজিরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। মুজদালিফাতেও খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। সেখান থেকে জামারায় শয়তানকে মারার জন্য পাথর (কংকর) সংগ্রহ করে নেবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন।
মিনায় হাজিরা পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও ইহরাম ছাড়ার কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হাজিরা মিনায় গিয়ে ১০ জিলহজে কোরবানি করবেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটাবেন। এরপর মক্কায় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এই তাওয়াফের নাম তওয়াফে জিয়ারাহ। এর আগে সৌদি আরব গিয়েই হজযাত্রীরা প্রথমে একবার অবশ্যই পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফ করেন।
বিদায়ী তওয়াফ সেরে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করে প্রতিদিন তিন শয়তানকে পাথর মারবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ পালন। জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

এবার ঈদের ছুটিতে জুমঘরে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন!

এবার ঈদের ছুটিতে যারা পাহাড়ে, বিশেষ করে বান্দরবানে আসবেন, তাঁরা শহরের বাইরে গিয়ে জুমঘরে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন। সেখানে দেখতে পাবেন সবুজ পাহাড়ে সোনালি ধানে ভরে ওঠা জুমখেত। তার পাশেই পেয়ে যাবেন ছায়াচ্ছন্ন জুমঘর। সেখানে জিরোতে জিরোতে পাকা ধানের ম–ম গন্ধে অন্য রকম আবেশ তৈরি হবে। শুনতে পাবেন জুমিয়াদের ফসল কাটার রেং গীত (হুই-উ-উ ধ্বনিযুক্ত জুমচাষিদের ফসল কাটার গান)।
জুমঘরে বসে পাহাড়ের অপূর্ব নিসর্গশোভা দেখতে দেখতে জুমিয়া জীবন ও জুম সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে। বান্দরবানে ভ্রমণকারীরা চিম্বুক পাহাড়, নীলগিরি, রুমার বগা লেক, কেওক্রাডং, তাজিংডং পাহাড়ে ও রাইনক্ষ্যং পুকুর, থানচির তিন্দু, রেমাক্রি, ডিম পাহাড়ে বেড়াতে গেলে এমন জুমঘরের দেখা মিলবে। ওই এলাকাগুলোতেই মূলত জুমচাষি পাহাড়িরা বসবাস করেন। প্রতিটি জুমখেতে ছোট-বড় একটি জুমঘর থাকে। ওই জুমঘরকে কেন্দ্র করে জুম চাষের ধান ও অন্যান্য ফসলের বীজ বপন, খেতের পরিচর্যা, ফসল আহরণসহ সবকিছু করা হয়। এখন জুমখেতের ধান পেকেছে। জুম চাষের এ ভরা মৌসুমে জুমঘরও জমজমাট হয়ে উঠেছে।
চিম্বুক পাহাড়ের জুমচাষি রেংরাং¤ম্রো বলেন, জুমিয়াদের এখন ব্যস্ততার সময় এবং একই সঙ্গে আনন্দেরও। নারী-পুরুষ সবাই মিলে সকাল থেকে ধান কাটেন। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার জন্য অথবা বিকেলে জুমঘরে আসেন। জুমচাষ গবেষক জিরকুং সাহু বম বলেন, বান্দরবানের ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠী সবাই জুমচাষি ছিল। এ জন্য ভাদ্র-আশ্বিনের জুমখেত ও জুমঘর যাওয়ার জন্য গ্রাম-শহর সব পাহাড়িকে আন্দোলিত করে। বমেরা জুমঘরকে টলাম, মারমারা বহ্কচাং, চাকমারা মৌনোঘর বলে থাকে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা চথুইপ্রু মারমা বলেন, জুমঘর পাহাড়ে জুমিয়া ও জুম সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক। জুমঘর ছাড়া জুম সংস্কৃতি বোঝা সম্ভব নয়। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে জুমের ধান পাকলে জুমঘরেরও আনন্দ উল্লাস বয়ে যায়। জুমিয়ারা সবাই আনন্দ-উল্লাসে ধান কাটে। নবান্ন উৎসব পালন করে। কোনো কোনো জুমচাষি কয়েক মাসের জন্য পরিবার নিয়ে জুমঘরে থাকেন। এ জন্য জুমঘরে কয়েক ঘণ্টা জুমিয়াদের সঙ্গে কাটাতে পারলে জুম সংস্কৃতি সহজে জানা ও বোঝা সম্ভব হবে।

সেরা উদ্ভাবকের তালিকায় বাংলাদেশি তরুণ!


বিশ্বখ্যাত কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) জার্নাল টেকনোলজি রিভিউ ঘোষিত ২০১৬ সালে ৩৫ বছরের কম বয়সী সেরা ৩৫ জন উদ্ভাবকের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাঙালি তরুণ এহসান হক। এর আগে এই সম্মাননা যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ, ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, আইম্যাক ও আইপ্যাডের ডিজাইনার জোনাথন আইভ, লিনাক্সের জনক লিনাস টরভাস, ইয়াহুর সহপ্রতিষ্ঠাতা জেরি ইয়াং, টুইটারের জ্যাক ডরসে প্রমুখ। বলা যায় এমআইটির এই তালিকার অনেকেই পরবর্তী সময়ে বিশ্বকে বদলে দেওয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বাঙালি এহসান হকের কাজ হলো মানুষের কথা ও শারীরিক ভাষার গাণিতিক মডেল বের করে সেটাকে কাজে লাগানো। এর মাধ্যমে তৈরি হবে এমন যন্ত্র, যা অটিজম বা ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের আলাপচারিতায়, চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতিতে, এমনকি বিতার্কিক বা বক্তাদের তাঁদের বক্তৃতার ভুলগুলো সংশোধন করতে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে বানানো হয়েছে একটি বিশেষ চশমা, যা বক্তৃতা দেওয়ার সময় বক্তাকে আরও সাবলীল হতে সাহায্য করে।
মানুষে মানুষে কথোপকথন বা আলাপচারিতা অনেকটা দ্বৈত নাচের মতো। আমরা একে অন্যের কথাবার্তা, আকার-ইঙ্গিত, ভাবভঙ্গি বুঝে কথার পিঠে কথা বলে আলাপচারিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। যদিও আলাপচারিতার এই ‘মুদ্রা’ বা কৌশল কোথাও লেখা নেই, কেউ জানে না, কিন্তু সবাই (মানুষ) বোঝে।
আর এহসানের কাজ হলো আলাপচারিতার এই কৌশলগুলোকে কম্পিউটারের কাছে বোধগম্য করে তোলা। তাতে লাভ?
‘লাভ তো অনেক কিছু।’ টেলিফোনে প্রথম আলোকে এহসান বলেন, ‘যেমন ধরুন যাদের অটিজম বা এসপারগার সিনড্রম আছে, তাদের অনেকেই মানুষের সঙ্গে সহজভাবে কথা বলতে পারে না, বুঝতে পারে না অন্যের আবেগ | কথা বলা শুরু করলে কখন থামবে বুঝতে পারে না, তাদের কথায় অন্য কেউ বিরক্ত হচ্ছে নাকি আনন্দিত হচ্ছে, সেটাও বুঝতে পারে না। কারণ আলাপচারিতার শারীরিক ভাষাটা তাদের কাছে বোধগম্য নয়। এখন যদি এমন হতো যে সেই মানুষটির সঙ্গে আছে এমন যন্ত্র, যা বলে দেবে শ্রোতার মনোভাব। মানে শ্রোতার হাসি আসলেই আনন্দের না কাষ্ঠ হাসি। তাহলে এ ধরনের মানুষের যোগাযোগ সক্ষমতা অনেক বেড়ে যেত।’
এহসানের বানানো মাক (MACH-My Automated Conversation coacH) ও লিসা (LISSA-Live Interactive Social Skills Assistant) প্রোগ্রাম তাৎক্ষণিকভাবে বলে দিতে পারে একজন মানুষ কথার মধ্যে কতবার ‘এ্যা, আহহহ’ ইত্যাদি বলেছে। কথা বলার সময় তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি স্বাভাবিক না আরোপিত। তার শব্দ প্রক্ষেপণ কী যথাযথ?
এমআইটি মিডিয়া ল্যাবে কাজ করার সময় এহসান প্রথমে বানান মাক, যা এমআইটির শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। পরে সেটিকে বিকশিত করে ভিন্নভাবে সক্ষম কিংবা অটিস্টিক ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য তৈরি করেছেন লিসা।
মানুষের মুখাবয়ব পর্যালোচনা করে মানুষের অভিব্যক্তি নির্ণয় করার কাজটি কেমন করে হয়, সেটি ব্যাখ্যা করে এহসান বললেন, ‘মূল কথাটি সোজা, উদাহরণের মাধ্যমে শিক্ষা। যেমন মানুষের মুখটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বলের মতো গোলাকার। কিন্তু তারপরও একটা অস্পষ্ট ছবিতে একজন মানুষের মুখ আর ফুটবল পাশাপাশি রাখলে আমরা খুব সহজেই বলে দিতে পারি কোনটা ফুটবল এবং কোনটা মানুষের মুখ। মানুষের পক্ষে এই কাজটা খুব সহজেই করে ফেলা সম্ভব, কারণ আমরা ছোটবেলা থেকে মানুষের মুখ দেখে অভ্যস্ত। ঠিক তেমনিভাবে মেশিনকে অনেকগুলো মানুষের মুখের ছবি উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হলে আধুনিক গাণিতিক পরিভাষা ব্যবহার করে মেশিনের পক্ষেও মানুষের চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব। তবে কাজটি মোটেই সোজা নয়।’
সহজ নয় বলেই তো কাজটি করার জন্য এমআইটির টিআর৩৫-এ নির্বাচিত হয়েছেন এহসান হক। ব্যবসায়ী বাবা এনামুল হক ও মা প্রয়াত সৈয়দা লুৎফে সাবার তিন সন্তানের একজন এহসান হক! পড়াশোনা ঢাকার উদয়ন স্কুল এবং পরে ঢাকা কলেজে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। ইউনিভার্সিটি অব মেমফিস থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর | ২০০৮ সাল থেকে এমআইটির বিখ্যাত মিডিয়া ল্যাবে কাজ করেন—মানুষের মুখাবয়ব ও কণ্ঠ বিশ্লেষণ করে যন্ত্রকে মানুষের আবেগ শনাক্ত করতে সাহায্য করা নিয়ে। ২০০৯ সালে ওয়াল্ট ডিজনির গবেষণাগারে প্রথম স্বয়ংক্রিয় রোবট—যা দেখতে, শুনতে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম—তৈরিতে সাহায্য করেছেন। ২০১০ সালে আইবিএম ওয়াটসন গবেষণাগারে তৈরি করেন বুদ্ধিমান বিজ্ঞাপন যন্ত্র, যা পথে চলতে থাকা মানুষের গতিবিধি, লিঙ্গ, বয়স, পরনের কাপড়ের রং ও ধরন বুঝে মানানসই বিজ্ঞাপন প্রচার করে! এরপর ২০১৩ সালে তৈরি করেন ‘মুড মিটার’, যা মানুষের চেহারা দেখে বলে দেয় রাগ না খুশি। ২০১৩ সালে এমআইটি থেকে পিএইচডি করার পর যোগ দেন ইউনিভার্সিটি অব রসেস্টারে। এখন সেখানে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।
স্ত্রী নাফিসা আলম এবং দুই ছেলে ওয়ালি (৫) ও আরিককে (৫ মাস) নিয়ে এহসানের সংসার।
নিজের কাজের বিষয়ে এহসান বলেন, ‘যারা অন্যরকম তাদের আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারি না দেখে আমরা ওদের বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী বলে ডাকি। চেষ্টা করি ওদেরকে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী “স্বাভাবিকে” পরিবর্তন করতে। আমার ধারণা পরিবর্তন দরকার আমাদের, আমাদের মনোভাবের। দরকার নতুন পাঠ্যক্রম, নতুন প্রযুক্তির, যাতে বিশেষভাবে সক্ষম জনগোষ্ঠী আমাদের সকলের মতো সম্মানজনক ও পরিণত জীবনের নিশ্চয়তা পায়।’


সূত্রঃ প্রথম আলো

তিন সড়ক-মহাসড়কে তীব্র যানজট!


ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে আজ রোববারও তীব্র যানজট দেখা গেছে। যানজটের কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের ভোগড়া থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। একই সময় ভোগড়া বাইপাস থেকে বোর্ডবাজার পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট ছিল। কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা যায়।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ ভোরের দিকে যানজট কিছুটা কম ছিল। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় একটি বাস ও প্রাইভেটকারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট বাড়ে। সকাল আটটার দিকে এই মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজট পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মির্জাপুর এলাকায় টাঙ্গাইলগামী যানবাহন থমকে থাকতে দেখা গেছে।
রংপুরগামী কাভার্ডভ্যানচালক মো. রানা বলেন, চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর ২০ মিনিটের পথ। কিন্তু এটুকু আসতে তাঁর দেড় ঘণ্টা লেগেছে। মির্জাপুরে এসে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে বসে থাকতে হয়েছে।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সরকার বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট নিরসনে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম বলেন, সকাল থেকেই ভোগড়া বাইপাস থেকে বোর্ডবাজার পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সকাল আটটার পর হঠাৎ যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে যানজট তীব্র হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

প্রয়োজনের সময় মরগান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ !

৩০তম জন্মদিনটা তাহলে এউইন মরগানের কাছে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এক দিন হতে যাচ্ছে? হয়তো তা-ই। গতকাল জন্মদিনেই নেওয়া একটা সিদ্ধান্তই যে বদলে দিতে পারে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ক্যারিয়ার।
যদিও মরগান যে বাংলাদেশ সফরে আসতে চান না, সেটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল গত বুধবারই। ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমকেই দিয়েছিলেন সেই আভাস। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফও প্রায় নিশ্চিত করেই লিখে দিয়েছে, ‘মরগান বাংলাদেশে যাচ্ছেন না, তাঁর বদলে নেতৃত্ব দেবেন জস বাটলার।’ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস খেলোয়াড়দের সময় দিয়েছিলেন গতকাল পর্যন্ত। সেই হিসাবে কালই মরগানেরও সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার কথা স্ট্রাউসকে। শেষ পর্যন্ত যদি মরগান আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন, সেটি তাঁর ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই অনুমান ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের।
কাকতালীয়ভাবে এই বাংলাদেশ সফর দিয়েই ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের আলোয় আসা। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুই দলের মধ্যেই সর্বোচ্চ রান (একটা সেঞ্চুরিসহ ৮৯.৫০ গড়ে ১৭৯) ছিল তাঁর। সেই মরগান পরে ইংল্যান্ড দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছেন, সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বদলে যাওয়া তাঁরই নেতৃত্বে। আরেকটা বাংলাদেশ সফর কি বাঁক বদলে দেবে তাঁর ক্যারিয়ারের? স্ট্রাউস তো আগেই বলে রেখেছেন, বাংলাদেশ সফরে টেস্ট-ওয়ানডে দুই সংস্করণেই নিয়মিত অধিনায়ককে পেতে চান তাঁরা। হুমকি দিয়ে রেখেছেন, কোনো ক্রিকেটার সফরে না গেলে ভবিষ্যতে দলে জায়গা নিয়ে তাঁকে অনিশ্চয়তায় পড়তে হতে পারে। তাহলে সফর থেকে সরে দাঁড়ানোটা মরগানের জন্য তো বড় ঝুঁকিরই হবে!
১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফরের জন্য ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল ঘোষণা করার কথা। ঘোষণার আগে মরগানকে নিয়ে শেষ কথাটা বলা যাচ্ছে না। তবে যেহেতু ব্যাপারটা অনেকটাই অনুমিত হয়ে গেছে, তাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে মরগানের সমালোচনা। ডেইলি মেইল শিরোনাম করেছে, ‘ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর থেকে সরে দাঁড়িয়ে মরগান দেশের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা করছেন, ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজের ক্যারিয়ার।’
সাবেক অধিনায়ক, ধারাভাষ্যকার ও কলামিস্ট নাসের হুসেইন গার্ডিয়ানকে বলেছেন, মরগান সফরে না গেলে দলে তাঁর কর্তৃত্ব হারাতে পারেন। সাবেক ইংলিশ পেসার ও ক্রিকেট সাংবাদিক ডেরেক প্রিঙ্গল টুইট করেছেন, ‘ভারত সফরে বোমা হামলার স্মৃতির কথা বলে মরগান ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিল। কিন্তু সে তো ভারতে যাওয়া বন্ধ করেনি।’
ডেইলি মেইলই সবচেয়ে কড়া সমালোচনা করেছে মরগানের। প্রয়োজনের সময় মরগান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন দাবি করে পত্রিকাটি প্রশ্ন তুলেছে, ‘তরুণ সতীর্থদের যখন তাদের অধিনায়ককে সবচেয়ে বেশি দরকার, অনিশ্চয়তার মধ্যে তারা যখন চাইছিল অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিমানে উঠবেন, সেই সময় মরগান এ কাজটা কীভাবে করে? অথচ এই মরগান যখন টানা ২১ ম্যাচ ফিফটি ছাড়া ছিল, তখনো নির্বাচকেরা তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন।’
শুধু এটুকুই নয়, ডেইলি মেইল-এর দৃষ্টিতে ইংল্যান্ডের প্রতি মরগানের আনুগত্যও প্রশ্নবিদ্ধ, ‘দলে সে সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন ও আবেগহীন চরিত্র। ইংল্যান্ডের আইরিশ অধিনায়ক যিনি বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের ম্যাচের আগে দেশের জাতীয় সংগীত গাইতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি তাঁর মিডলসেক্স সতীর্থদের সঙ্গেও হৃদ্যতা নেই। আশ্রিত দেশের হয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তিনি নিজের দেশকে বাদ দিতেও দ্বিধা করেননি।’
বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তটিকে এ পর্যন্ত মরগানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বলছে ডেইলি মেইল, ‘এটা এমন একটা সিদ্ধান্ত, যেটা তাঁকে তাড়া করে ফিরতে পারে।’ সূত্র: ডেইলি মেইল, টেলিগ্রাফ।

শুধু বরফ পরিষ্কার না করে পুরো ফ্রিজ ছকচকে করে নিতে পারেন!


যে কোনো উৎসবের আগে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করা দরকার পরে। জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের বাইরের ময়লা ও ভেতরের গন্ধ দূর করতে রয়েছে নানান উপায়।

নতুন দেখাতে: ব্যবহারের কারণে সব আসবাবেই পুরানো ভাব আসে। ফ্রিজ থেকে পুরানো ভাব দূর করতে এক টুকরা মসলিন কাপড়ে অলিভ অয়েল কিংবা বেবি অয়েল নিয়ে ফ্রিজের গায়ে মাখাতে হবে। পাঁচ মিনিট রেখে আলতোভাবে তেল মুছে ফেলতে হবে।
বাজে গন্ধ: মাছ, মাংস ও অন্যান্য গন্ধ দূর করতে প্রতি সপ্তাহে একবার বেইকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। স্পঞ্জ বা কাপড়ে বেইকিং সোডা নিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ মুছতে হবে।
সুন্দর গন্ধের জন্য: ভেতরে যাতে দুর্গন্ধ না হয় এজন্য তুলার বলে ভ্যানিলা এসেন্সে ডুবিয়ে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিতে পারেন।
ভালো মতো পরিষ্কার: ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে লবণ-গরম পানির মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এক লিটার গরম পানিতে পাঁচ টেবিল-চামচ লবণ মিশিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে।
পঁচা খাবারের গন্ধ: পঁচা ফল ও সবজির গন্ধ দূর করতে ফ্রিজের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করতে পারেন টমেটোর জুস দিয়ে। পরে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
দাগ দূর: ফ্রিজের ভেতরে ও বাইরের দাগ দূর করার জন্য এক টুকরা কাপড় ক্লাব সোডায় ডুবিয়ে দাগ লেগে থাকা অংশটি মুছে নিতে হবে।
ময়লা থেকে বাঁচাতে: ফ্রিজের ভেতরের তাকগুলোকে নোংরা হওয়া থেকে বাঁচাতে পুরানো টেবিল ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফ্রিজ পরিষ্কার করাও সহজ হবে। বাজারে ফ্রিজ ম্যাটও পাওয়া যায়।
টাটকা রাখতে: ফ্রিজের ট্রেগুলো ফল-সবজি রাখার কারণে যাতে নষ্ট না হয় এজন্য ট্রেগুলোতে বাবল র‌্যাপ বিছিয়ে দিতে পারেন।
ছত্রাক থেকে রক্ষা: ফ্রিজের গায়ের কালো ছাপ এবং কোনায় জমে থাকা ময়লা দূর করতে সমপরিমাণ হোয়াইট ভিনিগার ও পানির মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
নিচের অংশ ভালো রাখতে: ফ্রিজের নিচের অংশ পরিষ্কার করতে ‘মপ' ব্যবহার করতে পারেন। পুরানো পায়জামা, লেগিংস ইত্যাদি কেটে হ্যাঙারে জুড়ে দিয়ে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এমন ‘মপ’।

কোরবানির মাংস কীভাবে সংরক্ষণ করবেন সেই বিষয়ে কিছু টিপস জেনে নিন-


ঈদুল আজহা আর কয়েক দিন পরেই। এই ঈদে পশু কোরবানি দেওয়া হয়, তাই মাংস কোথায়, কীভাবে সংরক্ষণ করবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হয়৷ আগে থেকে কাজ এগিয়ে রাখলে ঈদের দিন ঝামেলা অনেকটাই কমে যায়৷ কোরবানির মাংস কীভাবে সংরক্ষণ করবেন সেই বিষয়ে কিছু টিপস দিয়েছেন রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা আখতার৷
* ঈদের কয়েক দিন আগেই আপনার ডিপ ফ্রিজের বরফ পরিষ্কার করে নিন৷ এতে কোরবানির দিন ঝামেলায় পড়তে হবে না৷
* সাধারণত ঈদের দিন সবার আগে আসে কলিজা। সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা রান্না করবেন না, তাঁরা ভালো করে কলিজা জ্বাল দিন৷ এবার পছন্দমতো কেটে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন৷ এভাবে অনেক দিন ভালো থাকবে।
* মাংস সংরক্ষণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব তা ফ্রিজে রাখুন। এদিকে মাংস কাটার স্থান, বঁটি-ছুরি পরিষ্কার করে মুছে নিন।
* মাংসের বাড়তি চর্বি কেটে নিন।
* কাবাব, স্টেক এবং সাধারণ রান্নার মাংস আলাদা করে রাখুন৷ এতে করে রান্নার সুবিধা হবে।
* মাংসের কিমা তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যায়। বড় করে কাটা টুকরোগুলো ছয় মাস ভালো থাকে। এর চেয়ে বেশি দিন না রাখা ভালো।
* কাটা মাংসগুলো টিস্যু পেপার বা কাগজ দিয়ে যতটুকু সম্ভব শুকিয়ে নিয়ে বায়ুরোধী পলিথিন ব্যাগে ভরে নিন।
* ব্যাকটেরিয়া ৪০ ডিগ্রি থেকে ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে জন্মায়। তাই ফ্রিজের তাপমাত্রা অবশ্যই এর নিচে রাখতে হবে।
* রান্না করা মাংস তিন দিন নরমাল ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়। এর থেকে বেশি দিন রাখলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই নষ্ট হবে।
* অনেকে কোরবানির মাংস শুঁটকি করে রাখেন। এ ক্ষেত্রে মাংস পাতলা করে কেটে লবণ মেখে তারে ঢুকিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। মাংস কাটার সময়ে লক্ষ রাখতে হবে যেন টুকরাগুলো থেঁতলে না যায়। এতে মাংস দ্রুত পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* হাড়ছাড়া মাংসের বড় টুকরা অনেক দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।
* মাংস ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে নরমাল পলিথিন ব্যবহার না করে জিপার ব্যাগ বা ভালো প্লাস্টিকের বয়াম ব্যবহার করতে হবে।
* এ ছাড়া অল্প পানি ও লবণ দিয়ে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখলে তা অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।
* গ্রন্থনা: ফাবিহা ফাইজা হক


সূত্রঃ প্রথম আলো

এবারের ঈদের কেনাকাটায় যেসব ফ্যাশন হাউসে ছাড় দেওয়া হচ্ছে-

ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে চলছে মূল্যছাড়। ছাড় দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের পোশাক ও ফ্যাশন অনুষঙ্গে। তবে ছাড় নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ, ছাড়ের পণ্যে দাম বাড়িয়ে তারপর ছাড় দেওয়া হয়। কতটুকু সত্য সেটা?
ফ্যাশন ব্র্যান্ড ওটুর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জাফর ইকবাল বলেন, ‘এমন ঘটনা কোনো ব্র্যান্ডের দোকানে হওয়ার কথা নয়। কারণ, যেসব দোকানে বারকোড দিয়ে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, সেখানে আবার দাম বাড়িয়ে নতুন দাম সেট করা বেশ কষ্টকর। এ ছাড়া ব্র্যান্ডের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে মূল্যছাড়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া তো বোকামি।


ইনফিনিটি

২০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড়ে ইনফিনিটির আউটলেট থেকে কিনতে পারেন ছেলে, মেয়ে ও শিশুদের পোশাক। তবে বসুন্ধরা সিটির ইনফিনিটির আউটলেট এখন বন্ধ আছে। ইনফিনিটির পরিচালক মুনিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সম্প্রতি বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগার কারণে আউটলেটটি সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। তাই সেখানে গেলে ক্রেতারা কোনো পোশাক পাবেন না।’ রিচম্যান
ছেলেদের পোশাকের জনপ্রিয় ব্যান্ড রিচম্যানের বিভিন্ন শাখায় নির্দিষ্ট পোশাকে ২০ থেকে ৬০ শতাংশ মূল্যছাড়ে কেনাকাটা করা যাবে। আছে ছেলেদের ফরমাল শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ফরমাল ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ইত্যাদি।
আড়ং
ঈদ উপলক্ষে ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ং ক্রেতাদের জন্য বেশ কয়েক ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। কেনাকাটার পর বিকাশে মূল্য পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। ইস্টার্ন ব্যাংকের ডাইনারস ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করলে ১০ শতাংশ ছাড় আর লংকা বাংলার গ্রাহকেরা পাবেন ১২ শতাংশ ছাড়।
ওটু
তিনটি ধাপে পোশাকের ওপর ছাড় দিচ্ছে ফ্যাশন হাউস ওটু। ৩০, ৫০ ও ৭০ শতাংশ ছাড়ে এখানে কেনা যাবে পণ্য। তবে শুধু ঈদুল আজহার জন্য তৈরি নতুন পোশাকে এই ছাড় পাওয়া যাবে না।
ক্যাটস আই
ঈদ উপলক্ষে ক্যাটস আই থেকে কমপক্ষে ২টি পোশাক কিনলেই মিলবে ছাড়। একটি পোশাক কেনার পর দ্বিতীয় পোশাকে ২০ শতাংশ মূল্যছাড় দেবে ক্যাটস আই।
বিশ্বরঙ
বিশ্বরঙের মেম্বারশিপ কার্ডধারীরা কেনাকাটায় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় পান তাদের যেকোনো পণ্যে। তবে এই মেম্বারশিপ কার্ড পেতে হলে গ্রাহককে আগে একসঙ্গে ২০ হাজার টাকার কেনাকাটা করতে হতো। ঈদ ও পূজা উপলক্ষে সেই সুবিধা ক্রেতাদের হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে বিশ্বরঙ। এখন মাত্র দুই হাজার টাকার কেনাকাটা করেই সেই মেম্বারশিপ কার্ড পাওয়া যাবে। এই সুবিধা মিলবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত।
মেনজ ক্লাব
নির্দিষ্ট মূল্যে মেনজ ক্লাব থেকে কেনাকাটার পর বিকাশে সেই টাকা পরিশোধ করলে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক পাওয়া যাবে। এই সুবিধা পাওয়া যাবে মেনজ ক্লাবের সব শো রুমে।
একস্ট্যাসি
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটায় গিফট ভাউচার দিচ্ছে একস্ট্যাসি। ৫ হাজার টাকার কেনাকাটা করলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০০ টাকার একটি গিফট ভাউচার দেবে তারা। যে ভাউচার দিয়ে একস্ট্যাসিতেই পরের কেনাকাটায় ব্যবহার করতে পারবেন।
দেশাল
দেশালের নির্দিষ্ট পণ্যে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় চলছে। তবে এই সুবিধা দেশী দশ বাদে দেশালের একক শো রুমগুলোতে পাওয়া যাবে।
রঙ বাংলাদেশ
ইবিএলের যেকোনো কার্ডধারী রঙ বাংলাদেশ থেকে কেনাকাটায় পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ছাড়। এই সুবিধা মিলবে দেশী দশ ছাড়া তাদের অন্য সব শো রুমে। এ ছাড়া বিকাশে পেমেন্ট করলে এখানে মিলবে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
জেন্টল পার্ক
ঈদ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কেনাকাটার সুবিধা দিচ্ছে জেন্টল পার্ক।
সেইলর
ঈদে সেইলরের নতুন পোশাক ছাড়া বাকি সব পণ্যে ছাড় চলছে। এখানে পোশাক থেকে জুতা বা ব্যাগ যেকোনো পণ্যেই মিলবে ছাড়। ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাবেন সেইলরের আউটলেটে।
অঞ্জনস
অঞ্জনসের পণ্য অনলাইন শপ বাগডুম ডটকম থেকে কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কার্ডধারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ ছাড়।
ইয়েলো
ঈদ উপলক্ষে পোশাক কেনাকাটায় ইয়েলোতেও মিলবে ক্যাশ ব্যাক। বিকাশ ও আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং থেকে টাকা পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক পাওয়া যাবে।
আর্টিস্টি
ফ্যাশন হাউস আর্টিস্টির সব পণ্যে পাওয়া যাবে মূল্যছাড়। সব পোশাকেই ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে তারা।
স্মার্টেক্স
স্মার্টেক্স ছেলে ও মেয়েদের নির্দিষ্ট পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও টপস পাওয়া যাবে।
বাটা
জুতা ও ব্যাগে ছাড় চলছে বাটায়। এখানে বাংলালিংক গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়া বিকাশে কেনাকাটায় ছাড় মিলবে।
অ্যাপেক্স
ঈদ উপলক্ষে অ্যাপেক্সের জুতায় চলছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ছেলে, মেয়ে ও শিশুদের জুতা মিলবে এখানে।

জেনে নিন ঈদের দিন হালকা সাজেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কিছু উপায়!


এই ঈদে আনন্দ তো আছেই, সঙ্গে আছে ভীষণ ব্যস্ততা—কোন দিক দিয়ে যে সারা দিন পার হয়ে যায়, খেয়ালই থাকে না৷ তারপরও বিশেষ একটা দিন বলে কথা৷ এই দিনে সাজপোশাকে উৎসবের ছোঁয়া না থাকলেও চলে না। তাহলে এত ব্যস্ততা সামলে কী করে নিজেকে ঝকঝকে রাখবেন? হেয়ারোবিক্সের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমীন জানালেন হালকা সাজেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কিছু উপায়।
১. দিনে খুব বেশি মেকআপ না নেওয়াই ভালো। এ জন্য মেকআপের বেস খুব হালকা করে নিতে হবে৷
২. সকালের দিকে মুখের সাজ হালকা রেখে চোখজোড়া আকর্ষণীয় করে সাজাতে পারেন। এ জন্য দুই রঙের কাজলের রেখা টানতে পারেন। চোখে কাজল খুব ভালো করে চোখের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে৷ আর কাজলের রং দুটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নিলেই ভালো।
৩. কাজল ব্যবহার করতে না চাইলে মাসকারা অথবা আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। দিনের সাজে মাসকারা ঘন আর আইলাইনার হালকা হতে হবে৷
৪. লিপস্টিক হতে হবে ঠোঁটের রঙের তুলনায় এক শেড গাঢ়। এ জন্য ম্যাট লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন। সকাল বা দুপরের দিকে লিপগ্লস ব্যবহার করবেন না৷
৫. দিনে ফাউন্ডেশন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ব্লাশনের ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি ছাড়া অন্য রং ব্যবহার না করাই ভালো।
৬. সাজ যেহেতু হালকা, তাই গয়না ভারী হলে চেহারায় ছড়িয়ে পড়বে উৎসবের আমেজ৷ সকালের দিকে শাড়ি পরলে তার সঙ্গে সোনার গয়না ভালো মানাবে। সালোয়ার-কামিজ বা অন্য পোশাকের সঙ্গে সোনার গয়না না পরাই ভালো। এর পরিবর্তে রুপা বা মুক্তার গয়না পরতে পারেন।
৭. চুল সাজাতে পারেন নতুন সাজে। যাঁদের সোজা চুল, তাঁরা চুল কার্লার দিয়ে কার্ল করে নিন৷ আবার হালকা কোঁকড়ানো চুল করে নিতে পারেন সোজা৷ যাঁদের চুল একটু লম্বা, তাঁরা একটা মেসি বান করে নিতে পারেন।

ঈদের ছুটিকে আরও আনন্দময় করে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন দেশের কিছু জায়গায়!

যাব যাব করেও যাওয়া হচ্ছিল না। এবার যেহেতু ছুটি পেয়েছেন, বেড়িয়ে আসুন না। দেশের মধ্যেই রয়েছে আয়েশ করে বেড়ানোর মতো অনেক হোটেল ও রিসোর্ট। আশপাশের এলাকা দেখার পাশাপাশি হোটেল বা রিসোর্টগুলোতেও পাবেন ভরপুর বিনোদন। ছবি দেখা, পুল খেলা, গলফ খেলা, সাঁতার, কেব্‌ল কার, কায়াকে রাইড, স্পিডবোট—কী নেই। আপনার ঈদের ছুটিকে আরও আনন্দময় করে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন দেশের এমনই কিছু জায়গায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের কিছু হোটেল ও রিসোর্টের খোঁজ রইল এখানে।
দ্য প্যালেস রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় গড়ে উঠেছে এক আধুনিক পাঁচ তারকা রিসোর্ট—দ্য প্যালেস। পাহাড়চূড়ায় ঘুমিয়ে মেঘের সঙ্গে মিতালি করে আসতে পারেন এই রিসোর্টে গিয়ে। থাকা-খাওয়ার সব সুবিধা থাকছে রিসোর্টেই। আছে বেড়ানো ও খেলাধুলা করে সময় কাটানোর ব্যবস্থাও। যাওয়ার আগে আরও ভালো করে জানতে চাইলে কথা বলে নিতে পারেন। ফোন: ০১৯১০০০১০০০

 
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের ঠিকানা। পাহাড়ি টিলার আঁকেবাঁকে থাকার মজা নিতে পারবেন এখানে। পুলে সাঁতার কাটা, মুভি দেখা বা গলফ খেলার মতো নানা সুবিধা মিলবে এখানে। খেতে পারবেন দেশি-বিদেশি নানা পদের খাবার। ফোন: ০১৭৩০৭৯৩৫৯৬-৭

সায়মন বিচ রিসোর্ট

কক্সবাজারের কলাতলীর মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সায়মন। হোটেলের সুইমিং পুলটি বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়বে আপনার। সমুদ্র সমতলে পুল হওয়ায় মনে হবে আপনি সমুদ্রের একাংশেই সাঁতার কাটছেন। এখানে সম্প্রতি চালু হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি হল। তাই নতুন চলচ্চিত্র দেখতে হলেও এখানে ঘুরে আসতে পারেন। ফোন: ০১৭৫৫৬৯১৯১১
দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা

মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল রোডের নাইটেশ্বরে অবস্থিত এই রিসোর্ট। দুসাইতে পৌঁছানোর পর আপনার মন ভালো হতে সময় লাগবে না। ফোনে রুম বুক করে বেরিয়ে পড়তে পারেন পাহাড়ি এই রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। ফোন: ০১৭৩০৭৯৩৫৯৬

হোটেল সিগাল

কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে অবস্থিত। এটিও পাঁচ তারকা হোটেল। কেনাকাটা করার জন্য হোটেলের মধ্যেই দারুণ সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া হোটেলের সবুজ ঘাসে বারবিকিউ আয়োজন করতে পারেন। ফোন: ০১৭৬৬৬৬৬৫৩০

 মারমেইড বিচ রিসোর্ট

হিমছড়ি আর ইনানি বিচের মাঝামাঝি পথের ধারেই ইশারা দেবে মারমেইড। ভেতরে ঢুকলেই দেখবেন এক নতুন জগৎ! ঈদের ছুটিতে সমুদ্রে পা দুলিয়ে বসা, খাওয়া বা ঘুমানোর মতো নানা ধরনের সুবিধা মিলবে মারমেইডে। তাদের আরও একটি ইকো রিসোর্ট রয়েছে এই রোডের প্যাঁচার দ্বীপে। থাকতে পারেন সেখানেও। ফোন: ০১৮৪১৪১৬৪৬৮৬৯
রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানিতে সমুদ্রের পাশ ঘেঁষে এই পাঁচ তারকা রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। এখানে আধুনিক সেবার রুম ও সুইমিং পুল মিলবে। আছে খেলাধুলা ও বিনোদনের নানা সুবিধা। সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে আপনার সময়টা মন্দ কাটবে না। ফোন: ০১৯৭০৬৬০০৬৬

সাজেক ভ্যালি

খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে গেলেও পাবেন মেঘের দেখা। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিতে পারে আপনার শরীর। মনও ভিজবে। এখানে সেনাবাহিনীর পরিচালনায় বিশেষ একটি রিসোর্ট রয়েছে। তবে যাওয়ার আগে রুম বুক করে না গেলে বোকামি হবে। কারণ, এখানে সব সময় মানুষের ভিড় থাকে।

সাইরু হিল রিসোর্ট

বান্দরবান শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে চিম্বক রোডে পড়বে নতুন এই রিসোর্টটি। মোট ২৪টা রুম আছে এখানে। থাকার পুরো বন্দোবস্ত পাহাড়ের ওপরে। সমুদ্র উপকূল থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে কোমল মেঘ আপনার গা ছুঁয়ে যাবে ক্ষণে ক্ষণে। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় চলছে সাইরুতে। ফোন: ০১৭২০৯৮২৮৩৭

নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকায় এই রিসোর্টের অবস্থান। শালবন, দোলনা, ঝরনা, সুইমিং পুল, শানবাঁধানো ঘাট আর কটেজ—সবই পাবেন এখানে। ফোন: ০১১৯৫৩৫৬১৬৫

অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব

নড়াইলের পানিপাড়া গ্রামের মধ্যে গড়ে উঠেছে চমৎকার এই রিসোর্ট। এখানে কটেজ ছাড়াও আছে বোট হাউস। জলে আর স্থলে সময়টা ভালো কাটবে এখানেও। আছে গলফ খেলার ব্যবস্থাও। ফোন: ০১৭১১৬৯৩৭৮৮


 গ্রিনটেক রিসোর্ট

এই রিসোর্টটাও গাজীপুরে। জেলার ভবানীপুরে শালবনের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা আছে গ্রিনটেক রিসোর্টে। আছে সুইমিং পুল ও আধুনিক সেবাসহ কক্ষ। ফোন: ০১৭৭৭৭৩৭৩৫১
পাকশী রিসোর্ট

পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে এই রিসোর্ট। পদ্মা নাদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টে থেকে দেখতে পারেন পদ্মার ঢেউ। ফোন: ০১৭৩০৭০৬২৫৩
এবার আর দেরি কেন? বেরিয়ে পড়ুন ব্যাগ গুছিয়ে। আর ঈদের ছুটিকে আরও আনন্দময় করে চাঙা হয়ে ফিরুন।


সূত্রঃ প্রথম আলো
 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates