LATEST UPDATE

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঈদের ছুটি শুরুর প্রথম দিন শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই চলছে মানুষের বাড়ি যাওয়ার ছুটাছুটি। প্ল্যাটফর্ম ভর্তি, ট্রেন বোঝাই!


ঈদের বাড়ি যাত্রায় এমন ঝুঁকির মুখে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ছে রংপুর এক্সপ্রেস। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর রেলে যে ভিড় হয় তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। যাত্রী ভিড়ে ভরপুর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। 
রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়বে সকাল ৯টায়। কিন্তু তার আধঘণ্টা আগে ট্রেনে যাত্রীবোঝাই। ভেতরে ঠাসা যাত্রী। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। চলছে ধাক্কাধাক্কি। ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক’শ যাত্রী।
ঈদের বাড়ি যাত্রায় এমন ঝুঁকির মুখে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ছে রংপুর এক্সপ্রেস। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর রেলে যে ভিড় হয় তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। যাত্রী ভিড়ে ভরপুর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।
ঈদের ছুটি শুরুর প্রথম দিন শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই চলছে মানুষের বাড়ি যাওয়ার ছুটাছুটি।  সকাল থেকে যে’কটি ট্রেন ছেড়ে গেছে এর একটিতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
ভেঙে পড়েছে ট্রেনের শিডউলও। ৬‍ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ৮টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে না ট্রেনটি।
দেওয়ানগঞ্জগামী ঈদ স্পেশাল ২ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে পৌনে ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়েনি নির্ধারিত সময়ে।
তিতাস কমিউটার ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আখাউড়ার উদ্দেশ্যে সাড়ে ৯ টায় ছেড়ে যাবার কথা। তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ৩ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবার কথা।
এছাড়া প্ল্যাটফর্মে এখনও আসেনি একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, রাজশাহী এক্সপ্রেস ও ইশা খা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এসব ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই স্টেশনে এসে অপেক্ষা করছেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে এসে অনেকেই প্লাটফমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ঠিকমতো বসার আসন পাচ্ছেন না তারা।
অপেক্ষমান ট্রেন যাত্রীরা জানান, ছুটির দিন হওয়ায় ট্রেন ছাড়ার সময়ের অনেক আগেই পৌঁছেছেন স্টেশনে।

স্টেশন সূত্র জানায়, সময় কাছাকাছি এসে গেলেও প্লাটফর্মে আসতে পারছেনা ট্রেনগুলো। অপেক্ষমান যাত্রী ভিড়ে প্লাটফর্মে বসার আর কোনো খালি জায়গা না থাকায় অনেকেই মেঝেতে বসে পড়ছেন।

প্রতিদিন ৩১টি আন্তঃনগরসহ ৬৯টি ট্রেন ঢাকা থেকে প্রায় অর্ধলাখ লোক নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। তবে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলোর ভেতরে ও ছাদে ও নিচে দাঁড়িয়ে থাক মানুষ দেখে আরো ভিড় বাড়তে পারে বলে ধারনা করেছে স্টেশন সূত্র।
এদিকে ৬ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচলও শুরু করেছে কমলাপুর স্টেশন থেকে। এবারের ঈদুল আজহায় নতুন কোচ নিয়ে চলছে সিলেট রুটের পারাবত এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ রুটের তিস্তা এক্সপ্রেস এবং দিনাজপুর রুটের ব্রডগেজ একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস। গতকাল বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।

জেনে নিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জার্সির নাম্বারের পেছনের রহস্য!


ক্রিকেটে জার্সির প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জার্সি নম্বর ব্যবহারের রীতি চালুই হয়েছে নব্বই দশকের শেষ দিকে। বড় কোনো টুর্নামেন্টে জার্সি নম্বর ব্যবহারের প্রথম উদাহরণ ১৯৯৯ বিশ্বকাপ।
ফুটবলারদের জার্সি নম্বর বুঝিয়ে দেয়, কে কোন পজিশনের খেলোয়াড়। ক্রিকেটে অবশ্য এমন কিছু বোঝার উপায় নেই। এখানে জার্সি নম্বরের অন্য তাৎপর্য, যা একসময় নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের সমার্থক হয়ে যায়। বাংলাদেশে ‘২’ নম্বর জার্সি বললেই যেমন চোখে ভেসে ওঠেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর সাকিব আল হাসান তো নিজের নামের ব্র্যান্ডটি দাঁড় করিয়েছেন ‘৭৫’ নামেই।
নিশ্চয়ই এমন প্রশ্ন বুদ্বুদ করেছে মনে, মাশরাফি-সাকিবদের জার্সি নম্বরের রহস্যটা কী? কেউ নম্বর নিয়েছেন নিজের পছন্দে। আবার বিসিবি থেকে দেওয়া নম্বরটাই ভালোবেসে ফেলেছেন কেউ কেউ। মাশরাফি শুরুতে পেয়েছিলেন ‘২০’ নম্বর। পরে ফেলে দিয়েছেন শেষের শূন্যটা। এখন ‘২’ শুধু সংখ্যাই নয়; অনেকের কাছে তা ভীষণ প্রেরণাদায়ী।
মাশরাফিকে দেখেই তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ‘৩’ আর আল আমিন ‘৪’। ‘আমার জন্মতারিখ ৩ এপ্রিল। এটির সঙ্গে মিলিয়েই জার্সি নম্বর ৩। আরও একটি কারণ আছে, মাশরাফি ভাইকে আমি “গুরু” মানি। গুরুর পরেই তো শিষ্য থাকে! এ কারণে ২-এর পর আসবে ৩’—যুক্তিটা বেশ দিয়েছেন তাসকিন। আল আমিনের যুক্তিটাও কম সরেস নয়, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতাম ১৯ পরে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর দেখি, এই নম্বর আরেকজনের আছে। মাশরাফি ভাই আমার আদর্শ। তাঁর ২ নম্বর আমার ভীষণ প্রিয়। ২ আর ২ গুণ করলে কী হয়? বোঝা গেল আমারটা কেন ৪?’
সাকিবের বিখ্যাত হয়ে যাওয়া ‘৭৫’ নম্বরের অবশ্য তেমন রহস্য নেই। এক সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘যখন জার্সিটা দেওয়া হয়, তেমন কোনো বিশেষ কারণ ছিল না। কিন্তু এখন তো এটা স্পেশাল। বোর্ড থেকে দিয়েছিল। এখন চাইলে পরিবর্তন করা যায়, কিন্তু করি না।’ তামিম শুরুতে ‘২৯’ পরতেন। পরে সেটি বদলে নেন ‘২৮’। বদলের কারণ বললেন বাঁহাতি ওপেনার, ‘সব সময়ই ২৮ নিতে চাইতাম। যখন জাতীয় দলে ঢুকি, তখন এই নম্বরটা আরেকজনের ছিল। অনেক বছর তাই আমার জার্সি ২৯ ছিল। পরে জিজ্ঞেস করি, ২৮ পাওয়া যাবে কি না। তখন পেয়ে যাই।’
মুশফিকুর রহিমের আবার ‘৯’-এর প্রতি ভীষণ দুর্বলতা। তাঁর আদর্শ ব্রায়ান লারা এই নম্বরটাই ব্যবহার করতেন। কিন্তু ‘৯’ না হয়ে কেন মুশফিকের জার্সি হলো ‘১৫’? বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের উত্তর, ‘বোর্ড থেকে ১৫ দিয়েছে, সেটাই রেখে দিয়েছি। লারার “৯” আমার ভীষণ পছন্দ ছিল। কিন্তু তখন ওটা আশরাফুল ভাই পরতেন। আমি অবশ্য কিছুদিনের জন্য ৯ নম্বর পরেছি। পরে আবার ১৫ নম্বরে ফিরে গেছি।’
মুশফিকের কাছে ‘১৫’ যেমনই হোক, ইমরুল কায়েস-শুভাগত হোমের খুব ইচ্ছে ছিল নম্বরটা পাওয়ার। ‘জাতীয় দলে আসার আগে প্রিয় নম্বর ছিল ১৫। কিন্তু মুশফিকের সেটি থাকায় উল্টে “৫১” নিয়েছি’—বলছিলেন শুভাগত। ইমরুল আগে ‘৬২’ ব্যবহার করতেন। পরে যে ‘৪৫’ নিয়েছেন সেটির পেছনে আছে ১৫-এর প্রভাব, ‘গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ৪৫ ব্যবহার করছি। সিরিজটা আমার দারুণ গেছে। মনে হয়েছে ৫ আমার জন্য সৌভাগ্যের নম্বর। যদি পেতাম ১৫-ই নিতাম। কিন্তু ওটা তো মুশফিকের। ৫ সংখ্যাটার প্রতি ভালো লাগা থেকেই ৪৫ নিয়েছি। ৫ তো থাকল।’
পছন্দের জার্সি পাননি মাহমুদউল্লাহও। প্রিয় খেলোয়াড় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ‘৩৯’ তাঁর বেশি ভালো লাগত। কিন্তু পরে ‘৩০’-এর সঙ্গে কীভাবে যেন মাহমুদউল্লাহর বন্ধনটা দৃঢ় হয়ে গেল, ‘আমি চাইনি, জানিও না, ৩০ নম্বর পেলাম। এই জার্সিতে অনেক সাফল্য পেয়েছি। নম্বরটা তাই ভীষণ ভালো লেগে গেছে।’
বিকেএসপিতে পড়ার সময় সৌম্য সরকারের রোল নম্বর ছিল ৪৫৯। প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভালোবাসা থেকেই বাঁহাতি ওপেনারের জার্সি নম্বর ৫৯। অবশ্য এ জন্য তাঁকে ‘৪’ ফেলে দিতে হয়েছে। নিজেকে ‘নম্বর ওয়ান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই কি ‘১’ নিয়েছেন সাব্বির রহমান? একগাল হাসলেন বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, ‘নাম্বার ওয়ান হতে হবে, এমন ভাবনায় ‘১’ নেওয়া নয়। তবে এখন ভাবনায় ঢুকে গেছে, ভবিষ্যতে এক নম্বরই হতে হবে। এটা আমার সৌভাগ্যের জার্সি। এর আগে ৯৯ ও ৬৫ নম্বর পরেছি। তবে ১ নম্বরই বেশি মানিয়ে গেছে।’
নাসির হোসেন মানেই মজার কিছু। তাঁর জার্সি নম্বরেও সেটির প্রতিফলন—৬৯! নাসির জার্সিরহস্য উন্মোচন করলেন এভাবে, ‘৬৯ দেখতে সুন্দর লাগে। তবে আমার পছন্দ ছিল “০০”। হার্শেল গিবস পরত দেখে আমি আর এটা নিইনি। ৬৯ মনে হয় না কেউ পরেছে। আমার অন্তত চোখে পড়েনি।’ বাংলাদেশ দলের ৬৬তম টেস্ট খেলোয়াড় এনামুল হক। সব সংস্করণেই তাঁর জার্সি নম্বর তাই ৬৬।
মুস্তাফিজুর রহমানের ‘৯০’, আরাফাত সানির ‘৬’, মুমিনুল হকের ‘৬৮’, রুবেল হোসেনের ‘৩৪’ নম্বরের অবশ্য বিশেষ কোনো গল্প নেই। বিসিবি থেকে দেওয়া সংখ্যাটাই আপন করে নিয়েছেন তাঁরা।

মহাসড়কে গাড়ি নিয়ে উল্টোপথে চললেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের!


এমপি-মন্ত্রী, ভিআইপি যেই হোক না কেন মহাসড়কে গাড়ি নিয়ে উল্টোপথে চললেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল সংলগ্ন চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে আন্ডারপাসের উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা রাস্তা-ঘাটে শৃঙ্খলার অভাব। কারও ধৈর্য নেই। উল্টো পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলার কারণে মহাসড়কে যানজট আরও বেশি হয়। এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক করতে পারবো- এমন আশ্বাস দিচ্ছি না। তবে তাদের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
এবার ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করতে আনসার, স্কাউট ও কমিউনিটি পুলিশ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ সড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসে। এছাড়া মহাসড়ক দিয়ে ফিটনেসবিহীন পশুবাহী ট্রাক চলাচল করে। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এ কারণে এবার হাইওয়ের পাশে পশুর হাট যেন না বসে তার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ২১৭ টাকা। এর দৈর্ঘ্য ৩৪ মিটার ও প্রস্থ ৩.৫ মিটার। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি ২০১৬। আন্ডরপাসটি দিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গার্মেন্টস শ্রমিকসহ সবাই নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।

এ সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শাহাবউদ্দীন খান, ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সিটিসেল গ্রাহকদের অপারেটর বদলের পরামর্শ দিয়ে বিটিআরসির দুটি বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে হাই কোর্ট!

দেনার দায়ে বন্ধের কাছাকাছি চলে যাওয়া বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর  সিটিসেল।

সিটিসেলের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খোন্দকার রেজা-ই রাকিব, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
সিটিসেলের গ্রাহকদের অপরারেট পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে গত ৩১ জুলাই ও ১৭ অগাস্ট ওই দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি।
মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, আদালত বিজ্ঞপ্তি দুটি স্থগিত করে রুল দিয়েছে। ওই দুই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই আইনজীবী বলেন, আদালতে তারা দুটি যুক্তি তুলে ধরেছেন।
“টেলিকমিউনিকেশন আইন অনুসারে বিটিআরসি এ ধরনের গণবিজ্ঞপ্তি দিতে পারে না। তাদের সে এখতিয়ার নেই। 
“আমরা রিটের ‍যুক্তিতে বলেছি, আমাদের লাইসেন্স এখনো আছে। লাইসেন্স নিয়ে কার্যক্রম চালানো একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তনের কথা বলে তারা কীভাবে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে?”
দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা কমতে কমতে এখন দুই লাখের চেয়ে কম। টু-জি তরঙ্গ ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতে তাদের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
নানাভাবে চেষ্টা করেও পাওনা আদায় করতে না পেরে গত ১৬ অগাস্ট সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
তার আগে সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা বা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পত্রিকায় ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি। এর বিরুদ্ধে সিটিসেল রিট আবেদন করায় বৃহস্পতিবার ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ এল। 
সিটিসেলের তরঙ্গ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে ১৭ অগাস্ট বিটিআরসির পক্ষ থেকে একটি নোটিস পাঠানো হয়। জবাব দেওয়ার জন্য দেওয়া হয় এক মাস সময়।
ওই নোটিস চ‌্যালেঞ্জ করে সিটিসেল হাই কোর্টে গেলে ওই নোটিসের মেয়াদ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় আদালত। 
বিটিআরসি হাই কোর্টের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সিটিসেলকে সরকারের বকেয়া শোধ করার শর্তে দুই মাস সময় দেওয়া হয়।

বরাবরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল ৮টায়।

ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে হবে বলে বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ইমামতি করবেন। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন একই মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদ জামাত যথাক্রমে সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা এবং সকাল পৌনে ১১টায় হবে।
সুষ্ঠুভাবে ঈদুল আজহার নামায আদায় ও মুসল্লির সুবিধায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যাপ্ত পানি ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই ঈদে পশু কোরবানি দেন মুসলিমরা।

'রক অন ২' এর টিজার প্রকাশিত!!

রক অন ২ এর টিজার প্রকাশিত হয়েছে।
ছবিটি  বন্ধুত্ব, প্রেম, সাফল্য, বিচ্ছেদ, পুনর্মিলন এবং তাদের মধ্যে সবকিছু নিয়ে রচিত হয়েছে নতুন কিছু।


যদিও ফারহান, অর্জুন রামপাল, পুরাব কোহলি ও প্রাচী দেশাই ছবিতে তাদের ভূমিকা পালন করবে, 

দেখার বিষয় এটা কি শ্রদ্ধা কাপুর আকর্ষণীয় করে টেবিলে আনতে পারে কি না!
চলচ্চিত্র নভেম্বর ১১ তারিখ বড় পর্দায় আঘাত হানবে বলে জানা গেছে.

দেখে নিন টিজার টি
 

আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠিত তারকাদের পর্দায় ভালো অবস্থানের জন্য অন্তরঙ্গ হওয়ার বিষয়টি!


কাস্টিং কাউচের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেকেই। আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠিত তারকাদের পর্দায় ভালো অবস্থানের জন্য পরিচালক বা সিনেমা সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী কারো সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার বিষয়টিও। সেই তালিকায় এবার ভারতের কন্নড় সিনেমার এক নায়িকা।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা এম জৈন নামের ওই অভিনেত্রী জানিয়েছেন সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা। পরিচালকের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় পরপর তিনটি সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। প্রযোজক তার সঙ্গে ‘প্যাকেজ ডিল’-এ যেতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই পর পর তিনটি ছবির অফার ছাড়তে হয়েছিল। এ নিয়েই এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা।
'গোলি সোডা' ছবি দিয়ে লাইমলাইটে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তার আগেও তার কাছে অফার এসেছিল। শুধু অভিনয় নয়, বরং তার কাছে 'সেক্সুয়াল ফেভার' চাওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ এই অভিনেত্রীর।
প্রিয়াঙ্কার কথায়, কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে আমি লিড রোলের অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু তার জন্য ডিরেক্টর এবং প্রোডিউসারের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে হত। যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব এসেছিল।
তিনি বলেন, আসলে অনেকে ভেবেছিল মুম্বাই থেকে এসেছে মেয়েটা। তাই সফট টার্গেট। কোনও রোল পাওয়ার জন্য যা খুশি তাই করতে পারে।
প্রিয়াঙ্কার ভাষায়, কিন্তু আমার কিছু নীতি আছে। যেটা আমি বাবা-মার কাছ থেকে শিখেছি। ফলে পর পর অফার ছেড়ে দিয়েছিলাম ভাল টিম পাওয়ার জন্য। আমি একা নই, অনেক মেয়েকেই কাজের জায়গায় এই সমস্যা ফেস করতে হয়।
তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে যারা নতুন তাদের এই সমস্যায় পরতে হয়। একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে আর কেউ কম্প্রোমাইজ করতে বলবেন না। মাত্র ১৮ বছরেই অনেক কঠিন সময় পেরিয়েছেন জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা বলেন, তবে কোনও ভাবেই আপোষে রাজি নন তিনি। -আনন্দবাজার পত্রিকা

মমতাজের 'লোকাল বাস' গানটির ভিডিও রীতিমতো ঝড় তুলেছে ইউটিউবে!


ইউটিউবে আপলোডের পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই গানের ভিডিও দেখা হয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বার।

নাচ, গল্প, নাটকীয়তা ও র‌্যাপের চমৎকার সমন্বয়- সবই আছে মাত্র ৭ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ভিডিওতে। 

'লোকাল বাস' শিরোনামের গানটির ভিডিও গানচিলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয় ২ সেপ্টেম্বর রাতে। এতে মমতাজের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম।

ইউটিউবে প্রকাশের পরপরই গানটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। বিশেষ করে ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে 'লোকাল বাস' এর ভিডিও।
 

ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ডগলাস কস্তার বিশ্বাস ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের সব সম্ভাবনাই তাঁর দেশের আছে


অলিম্পিক-সোনা বদলে দিয়েছে ব্রাজিলের মানসিকতা। বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আসরে প্রথমবারের মতো ফুটবল-শ্রেষ্ঠত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে হারানো আত্মবিশ্বাসটাও। দলটি এখন বিশ্বাস করা শুরু করেছে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ জিততে পারে তারা।
ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ডগলাস কস্তার বিশ্বাস ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের সব সম্ভাবনাই তাঁর দেশের আছে। নতুন কোচ তিতের অধীনে বিশ্বকাপ জিততেও পারে তারা।
দলে নেইমার, কুতিনহোদের মতো খেলোয়াড়েরাই এই বিশ্বাসে রসদ জোগাচ্ছে। জার্মান পত্রিকা আবেনজেইতাংকে কস্তা বলেন, ‘দলে নেইমার ও কুতিনহোদের মতো খেলোয়াড় আছে। আছে তিতের মতো কোচ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো সবকিছুই আমাদের আছে। ব্রাজিলের হয়ে আমি ২০১৮ বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পেতেও পারি।’
ব্রাজিল সত্যিই গত কিছুদিন ধরে অসাধারণ খেলছে। তরুণ দলটার ওপর ভরসা রাখাই যায়। বিশ্বের করে অলিম্পিক আর ইকুয়েডর ধাঁধা যেভাবে মিলিয়ে দিল, এই ব্রাজিলের মানসিক শ​ক্তি বেশ ধারালো। কস্তাও বললেন, ‘আমরা নিজেদের ফিরে পেয়েছি।’
অলিম্পিকে অবশ্য চোটের কারণে খেলতে পারেননি কস্তা। যে কয়টি কারণে ব্রাজিল সত্যি সত্যি ২০১৮-তে কাঁপিয়ে দিতে পারে, তাঁর একটি কারণ হতে পারেন কস্তা নিজেই। যদিও বিশ্বকাপ এখন দূর হনুস্ত।

রোনালদিনহো অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় ঘোষণা করছেন!


রাজপুত্রের মতো এসেছিলেন। রাজার মুকুট পরেছিলেন। কিন্তু শেষটা হলো কী বিবর্ণ! গত কয়েক বছর ধরে কোনোমতে নিজের ক্যারিয়ারটা টেনেটুনে নিয়ে চলা রোনালদিনহো অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় ঘোষণা করছেন। বার্সেলোনার সাবেক এই জাদুকর এই মৌসুমের শেষে আর পেশাদার ফুটবলে খেলোয়াড় হিসেবে আর থাকবেন না। তবে নতুন ভূমিকায় শিগগিরই বার্সেলোনার হয়েই আবারও কাজ করতে দেখা যাবে তাঁকে।

উত্তর আমেরিকায় নিজেদের প্রচারণার কাজে রোনালদিনহোকে চাইছে বার্সা। এ খবর কদিন আগের। বিষয়টি পাকাপাকি হয়ে গেছে দেখেই হয়তো এবার ব্রাজিলের সাবেক এই তারকা নিজেও ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তবে সেটি তাঁর সার্বক্ষণিক দায়িত্ব হবে না। রোনালদিনহো অখণ্ড অবসর পাবেন। সেটিও কাজে লাগাবেন জানালেন।

রোনালদিনহো বলেছেন, ‘আমি এখন বুড়ো হয়ে গেছি। ৩৬ বছর বয়স চলছে। এখন তো আর ২৬ বছর বয়সীদের মতো খেলতে পারি না। কীভাবে শেষটা টেনে দেওয়া যায় ভাবছি। আর এক বছরের মতো খেলার ইচ্ছা আছে।’

এরপর কী করবেন প্রশ্নে নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি সংগীত আর ফুটবলের দারুণ কিছু প্রকল্পে জড়িয়ে আছি। আপনারা তো জানেন, এই দুটিই আমার সব ভালোবাসা। করতে ভালো লাগে এমন নতুন যেকোনো কিছুই আমি করতে মুখিয়ে ছিলাম। দেখা যাক এ বছরে কী করতে পারি।’
 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates