LATEST UPDATE

শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে যা করবেন!


উচ্চশিক্ষার জন্য ভিনদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা আর প্রস্তুতিকৌশল না জানার কারণে সুযোগ হারান অনেকেই। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে এই ফিচার।
১. পড়ার বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন
বিদেশে পড়ার আগ্রহ থাকলে এসএসসি/ও-লেভেল পরীক্ষার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। সে ক্ষেত্রে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী, তা ঠিক করে নেওয়া জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য সহজ ভাষায় লেখা থাকে। তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নির্ধারণ করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
২. যোগ্যতা প্রমাণের কিছু পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য যোগ্যতা যাচাইয়ের কিছু পরীক্ষায় অংশ নিন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে জিআরই, জিম্যাট বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য টোফেল বা আইইএলটিএস। জিআরই বা জিম্যাটে ভালো করলে ভর্তি বা ভর্তির সঙ্গে স্কলারশিপ পেতে সুবিধা হয়। স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। প্রধানত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস অপরিহার্য ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আমেরিকা, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ পরীক্ষার স্কোর চাইছে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইইএলটিএস চায়।
৩. পরীক্ষার প্রস্তুতি
স্যাট পরীক্ষায় গণিত, ক্রিটিক্যাল রিডিং ও রাইটিং বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়। স্যাটে গণিত একটু সহজ হলেও ইংরেজির অংশ কিছুটা কঠিন। ইংরেজিতে ভালো করতে নিয়মিত ইংরেজি অনুশীলন, প্রচুর শব্দ শেখা আর ইংরেজি বই পড়তে হবে। পরীক্ষার নিবন্ধনের জন্য স্যাটের অফিশিয়াল সাইটে নাম নিবন্ধন করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যায়।
টোফেলের সব তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যায়। প্রতি মাসেই টোফেল পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ পরীক্ষায় চারটি ভাগ আছে: রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিং।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপির আয়োজনে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রতি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
৪. কোন সেশনে আবেদন করবেন
কোন সময়টায় ভর্তির জন্য আবেদন করবেন, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ দেশে ফল সেশন শুরু হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। এই সময়ই বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে। আবার এই সেশনেই শিক্ষাবৃত্তি বা অর্থায়নের সুযোগও পাওয়া যায় বেশি। আর অন্যটা হলো গ্রীষ্মকালীন সেশন। এ সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বেশি সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
৫. আবেদনের জন্য কাগজপত্র তৈরি
স্কুল/কলেজ থেকে প্রশংসাপত্র, সনদ ও নম্বরপত্র তুলতে হবে। অল্প কথায় নিজেকে নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখতে হবে। আপনার লেখা নিবন্ধ পড়ে যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোঝে যে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন। আপনার যদি ছবি আঁকতে, ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে, সেটাও নিবন্ধে লিখবেন। সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দারুণ গুরুত্ব দেয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়। এমআইটির জন্য MyMit (https://my.mit.edu/uaweb/login.htm)–এ একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় আর যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এই ঠিকানায়: Common Application (www.commonapp.org/Login)। কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির জন্য (www.ucas.comকরতে হয় আলাদা আলাদা আবেদন।


সূত্রঃ প্রথম আলো

তানজীবের নতুন গান ‘কসম’


‘মিথ্যা শিখালি’ গানটির মাধ্যমে সম্প্রতি বেশ আলোচনায় এসেছেন নতুন প্রজন্মের গায়ক ও সংগীত পরিচালক তানজীব সারোয়ার। ঈদ উপলক্ষে নতুন আরেকটি গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হলেন তিনি। তাঁর এবারের গান ‘কসম’। ফয়সাল রাব্বিকীনের লেখা এই গানের সুরও করেছেন তানজীব। আর সংগীতায়োজন করেছেন বিবেক।
‘একবার কাছে আয় তোর রূপেরও কসম, আরে মন দেখে যা তোর অন্তরের কসম’—এমন কথার গানটিতে প্রেমিকার রূপ–সৌন্দর্যের কসম নিয়ে কথা বললেন তানজীব। ঈগল মিউজিকের ব্যানারে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে তানজীবের এই নতুন গান।
‘কসম’ এরই মধ্যে জিপি মিউজিকে এক্সক্লুসিভ গান হিসেবে শোনা যাচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই ঈগল মিউজিক গানটি প্রকাশ করবে তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে।
তানজীব বলেন, ‘দারুণ একটি ভাবনা নিয়ে গানটি করেছি। এমন ভাবনার একটি গান করার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সময়–সুযোগ হয়ে উঠছিল না। সবকিছু মিলিয়ে বলতে চাই, ভিন্নধর্মী একটি গান হয়েছে। যাঁরাই শুনেছেন, প্রশংসা করেছেন। আমার বিশ্বাস শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’
প্রসঙ্গত, গত রোজার তানজীবের গাওয়া ‘হৃদমোহিনী’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এর আগে তানজীবের গাওয়া ‘মেঘমিলন’ ও ‘দিল আমার’ শিরোনামের দুটি গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। শিল্পী বলেছেন, শিগগিরই ‘কসম’ গানটি ভিডিও আকারে প্রকাশ পাবে।

"মানি ইজ প্রবলেম" নামের ছয় পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটক নিয়ে আসছেন মাসুদ সেজান!


বেশি টাকাও কখনো কখনো সমস্যা হয়ে যায়। এই সমস্যাটাই দেখানো হবে ছয় পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটকে। নাম ‘মানি ইজ প্রবলেম’।
এটি নির্মাণ করেছেন মাসুদ সেজান। রচনাও তাঁরই।
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘কোটিপতি বাবার মৃত্যুর পর ছেলে হুট করে দার্শনিক হয়ে যায়। তার মনে হয়, এক জীবনে এত টাকার কোনো দরকার নেই। এ কারণে ছেলেটি নানান মাধ্যমে টাকা বিলানো শুরু করে। এ নিয়েই ঘটতে থাকে মজার মজার সব ঘটনা। টাকা বিলানো বন্ধ করতে প্রেমিকার আর তার ভাই মিলে ঘটায় নানা ধরনের কাণ্ড।’
নাটকটি অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, তিশা, এজাজুল ইসলাম, শামীমা নাজনীন, মিশু সাব্বির, রিফাত চৌধুরী, মুনিয়া ইসলাম, হায়দার মিথুন প্রমুখ। এটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন রাত রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আরটিভিতে।

গত দুই বছরের পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ!


ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। তবে গত দুই বছরের পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ডের চেয়ে ঢের এগিয়ে মাশরাফিরা। শুধু ইংলিশরাই নয়, বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজও।
২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ৩৬ ওয়ানডে। এর মধ্যে ১৮ জয়, ১৭ পরাজয়। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ১.০৬। বাংলাদেশের ব্যাটিং গড় ৩১.৪৭, রান রেট ৫.৩১। বোলিং গড় ২৮.৮৪, ইকোনমি ৫.০৮। এই সময়ে ইংল্যান্ড ৬৬ ম্যাচের ৩০টি জিতেছে, হার ৩৩। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ০.৯১। ইংলিশদের ব্যাটিং গড় ৩৩.৯৬, রান রেট ৫.৭৩। বোলিং গড় ৩৪.৪২ আর ইকোনমি ৫.৫৯।
এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ওপরে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সবার ওপরে থাকা অস্ট্রেলিয়া ৫৭ ম্যাচের ৪১টিতে জিতেছে, হার ১৪। স্মিথদের জয়-পরাজয়ের অনুপাত ২.৯৩।
ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে গত দেড় বছরে বাংলাদেশ দুর্দান্ত সফল এক দল। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে দেশের মাটিতে একটি ওয়ানডে সিরিজও হারেনি মাশরাফির দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সাফল্যও আশাবাদী করতে পারে বাংলাদেশকে। ওয়ানডেতে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে দুবারই হেরেছে ইংলিশরা। সর্বশেষ চার সাক্ষাতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে মাশরাফি-সাকিবরা।
পরিসংখ্যান তো আছেই, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারলে টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামতে পারবে বাংলাদেশ।
  জানুয়ারি ২০১৪ থেকে শুরু করে দলগুলোর পারফরম্যান্স

 দল   ওয়ানডে  জয়  পরাজয়  জয়-পরাজয়ের অনুপাত
 অস্ট্রেলিয়া  ৫৭  ৪১  ১৪  ২.৯৩
 নিউজিল্যান্ড  ৫৫  ৩৫  ১৬  ২.১৯
 দক্ষিণ আফ্রিকা  ৫৪  ৩২  ২০  ১.৬০
 ভারত  ৫৫  ৩১  ২১  ১.৪৮
 শ্রীলঙ্কা  ৭১  ৩৫  ৩২  ১.০৯
বাংলাদেশ   ৩৬  ১৮  ১৭  ১.০৬
 ইংল্যান্ড  ৬৬  ৩০  ৩৩  ০.৯১
 আফগানিস্তান  ৪০  ১৮  ২১  ০.৮৬
 পাকিস্তান  ৫১  ২০  ৩০  ০.৬৭
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ  ৩৫  ১৪  ২১  ০.৬৭
 জিম্বাবুয়ে  ৫৩  ১২  ৪০  ০.৩০


তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গের একটি পোস্ট মুছে দিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক!


নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গের একটি পোস্ট মুছে দিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক। প্রধানমন্ত্রী সলবার্গ ভিয়েতনাম যুদ্ধের একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিলেন। নগ্নতার অভিযোগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই ছবি মুছে দেয়।
যুদ্ধ-বাস্তবতার অনন্য উদাহরণ ওই ছবিটি মুছে দেওয়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিৎ​জার পুরস্কার পাওয়া ওই ছবিটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের। যুদ্ধের সময় নাপলাম হামলা থেকে বাঁচতে পালাচ্ছিল নয় বছরের একটি মেয়েশিশু। বলা হয়, পরনের কাপড়ে আগুন ধরে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে কাপড় ফেলে দিয়ে খালি গায়ে দৌড়াচ্ছিল সে। সেই ছবি ফেসবুকে দিয়েছিলেন লেখক টম এগল্যান্ড। নগ্নতার অভিযোগ তুলে সেই ছবি সরিয়ে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দেশটির দৈনিক আফটেনপোস্টেন। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সেই ছবিটি যুক্ত করা হয়, যা ফেসবুকেও দেওয়া হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেই পত্রিকাকে ছবিটি সরিয়ে নিতে চাপ দেয়। শুধু তাই নয়, ওই পত্রিকার প্রতিবেদকের অ্যাকাউন্টও স্থগিত করে।
ফেসবুকের এই পদক্ষেপে অসন্তোষ জানিয়ে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেন, ফেসবুক ও অন্যান্য গণমাধ্যম নেতিবাচক ছবি প্রকাশ থেকে বিরত থাকে—এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি আমি। কিন্তু এই ছবিটি মুছে ফেলার ক্ষেত্রে ফেসবুক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, এই ছবি মুছে ফেলা ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’। তবে ফেসবুক বলছে, সাংস্কৃতিক কারণেই তারা নগ্নতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
সূত্র: গার্ডিয়ান, এএফপি ও বিবিসি।
 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates