
মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য অধীর অপেক্ষায় সবাই। কবে তিনি ফিরবেন। আপাতত নিউজিল্যান্ড সফরের প্রাথমিক দলে আছেন। নিউজিল্যান্ড সফরকে পাখির চোখ করেই চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি। কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর এরই মধ্যে বোলিং করা শুরু করেছেন তিনি। তবে পুরো শক্তিতে নয়। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ কাজ করছেন তাঁর সঙ্গে। বলেছেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁর যত্নটা যেন ঠিকমতো নেওয়া হয়।’
সুস্থ হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের ‘কাটার-মাস্টার।’ তাঁর শারীরিক অবস্থার একটা বিবরণ দিয়েছেন ওয়ালশ, ‘এখনো পর্যন্ত যা উন্নতি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। কাঁধে যদিও একটু জড়তা রয়ে গেছে, তবে এটি খুব বড় কিছু নয়। প্রতিটি দিনই তার কাঁধের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হবে। আগামীকাল আবার তার বোলিং দেখব। তবে আমি মনে করি, সে ভালোভাবেই সুস্থ হয়ে উঠছে। যখন সে পুরো শক্তিতে বল করবে, তখনই সবকিছু বোঝা যাবে। তবে এই মুহূর্তে সে বোলিংটা কেবল শুরু করেছে। শক্তির ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ দিয়ে বোলিং করেছে সে। আগামীকাল খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কাল বল করলে সে পরপর দুই দিন বল করবে। তবে কাল অবশ্যই বোলিংয়ের পরিমাণটা খুব বেশি হবে না। এ মাসের ৯ অথবা ১১ তারিখে আমরা আবার পরীক্ষা করে দেখব, সে শারীরিকভাবে কেমন সুস্থ থাকে।’
ওয়ালশও জানেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মোস্তাফিজ। গুরুত্বের বিচারেই বাংলাদেশ দল চাইবে যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফেরাতে। তবে এ নিয়ে দল, কোচ, ফিজিও কেউই তাড়াহুড়ো করবেন না, ‘আমরা ওকে অবশ্যই খেলাতে চাইব। তবে খেলা নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। পুরো ফিটনেস ফিরে পাওয়ার পরই ওকে খেলাব আমরা। এই মুহূর্তে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো মোস্তাফিজের পুনর্বাসনটা যেন ঠিকমতো হয়।’
নিউজিল্যান্ড সফরকে নিজের পরীক্ষাই মনে করেন ওয়ালশ, ‘ইংল্যান্ড সিরিজে ফাস্ট বোলারদের তেমন একটা ব্যবহার করা হয়নি। নিউজিল্যান্ড সফর তাই পরীক্ষারই। বাংলাদেশে প্রচুর ফাস্ট বোলিং প্রতিভা আছে, আমি এই প্রতিভাদের নিয়ে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
সূত্রঃ প্রথম আলো
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন