LATEST UPDATE

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি, বলছেন চিকিত্সকরা


হার্টের অসুখের ভয়ে ঘি ছেড়েছেন? ভাবছেন, মোটা হয়ে যাবেন? ঘি খেলে কোলেস্টেরল হওয়ার ভয়কেও দূরে সরিয়ে রাখুন। চিকিত্সকরা বলছেন, ঘি খান নিশ্চিন্তে। মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও ঘি-এর উপকারিতা অসীম।
সেই দুধ থেকেই ঘি। দুধ না খেলে যেমন গায়ে লাগে না গত্তি, ঘি-ও তাই। স্বাদ, গন্ধেও অদ্বিতীয়। ঘি-এ ভাতে বাঙালির ষোলোআনা রসনা তৃপ্তি। কিন্তু সেই ঘি-ই একান্নবর্তী সেনশর্মা পরিবারের হেঁশেলে ঘটিয়ে দিয়েছে বিভাজন। কোলেস্টেরল ধরা পড়ায় ঘি খাওয়া মানা বড়ভাইয়ের। তাই তার মনে ভারী দুঃখ।
সেই দুঃখে সামিল ছোটভাইও। বাড়ির সব সদস্যের পাতে ঘি মাস্ট। ঘি-এর গন্ধে ম ম করে গোটা বাড়িটা। ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ, টিফিন হোক বা ডিনার, ঘি ছাড়া সেনশর্মা পরিবার কিচ্ছু ভাবতেই পারে না। কিন্তু বড়ভাইয়ের পাতে ঘি পড়ে না। বাবার কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে দুবছর আগে। ওজন বাড়ছে মেয়েরও। তাই একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আইনের ছাত্রীটি।

ঘি-ময় পরিবারটিতে তাই একটু একটু করে ঢুকে পড়েছে অজানা ভয়। এই ঘি-প্রীতি আবার হার্টের অসুখ ডেকে আনবে না তো? সেনশর্মা পরিবারকে আশ্বস্ত করছেন চিকিত্সকরা। কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখের ভয় ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
১) দুধের চেয়েও ঘি হজমের শক্তি বেশি বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি চিকিত্সকদের।
২) জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর এনার্জি ফিরে পাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
৩) চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঘি খেতে বলছেন চিকিত্সকরা।
৪) সদ্যোজাতদের দুই থেকে পাঁচ ফোঁটা ঘি খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
৫) কেটে গেলে ঘি লাগালে চটজলদি উপকার।
৬) ফাটা ঠোঁট, ফাটা গোড়ালি এবং নতুন মায়েদের স্তনবৃন্তে সমস্যা হলে ঘি-এর মতো ওষুধ নেই।
৭) ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, বাড়ে বুদ্ধিও।
৮) ব্রেকফাস্টের তিরিশ মিনিট আগে নাকে দুফোঁটা ঘি দিলে চুল ওঠার সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, কানে শোনার সমস্যা, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৯) বমির প্রবণতা কমিয়ে দেয় ঘি।
তবে জানতে হবে ঘি ব্যবহারের নিয়ম। যেমন খুশি ঘি খেলে বিপদ। চিকিত্সকরা বলছেন, ব্রেকফাস্টে শক্ত কোনও খাবারের সঙ্গে আধ চামচ ঘি, তারপর নরম খাবার এবং শেষে দই খেতে হবে। ঘি খাওয়ার পর খেতে হবে কোনও গরম পানীয়। অর্থাত্‍ সকালের চা বা কফির আগে পাউরুটিতে ঘি মাখিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।


জানুন ব্রেক-আপ ছেলেদের উপর কতটা প্রভাব ফেলে




আমাদের একটা চিরাচরিত ধারণা আছে যে, সম্পর্ক ভাঙার প্রভাব বুঝি মেয়েদের উপরেই সবথেকে বেশি পড়ে। তারাই বুঝি বেশি দুঃখ পায়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একইরকম প্রভাব পড়ে ছেলেদের উপরেও। সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রণা যতটা একটা মেয়ে পায়, ঠিক ততটাই পায় ছেলেরাও।

একটা সম্পর্ক ভাঙার প্রভাব ছেলেদের মধ্যে ঠিক কতটা পড়ে, তা আমরা শরত্‌চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবদাস' গল্পেই দেখেছি। শুধু তাই নয়, সমীক্ষাও এমনই প্রমাণ দিচ্ছে। ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবিন সিমন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, একটা সম্পর্ক থেকে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক বেশি লাভবান হয়। তাই যখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, তখন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তারাই হয়।

সম্পর্ক ভাঙার ফলে কী কী প্রভাব পড়ে ছেলেদের উপর?

১) সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ছেলেরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক বেশি হিসেবি হয়। তারা ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই বিচার করে। তাই যখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, আর মেয়েটি ছেলেটিকে ছেড়ে এগিয়ে যায়, তখন সেটা তাদের কাছে পরাজয়ের মতো মনে হয়। তাদের অহংয়ে আঘাত লাগে।


২) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, মেয়েরা তাদের আবেগ অনুভূতির কথা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। কিন্তু ছেলেরা পরিবার কিংবা বন্ধুদের কাছে সবসময় তাদের আবেগ শেয়ার করতে পারে না। প্রচলিত আছে যে, হৃদয় নাকি মেয়েদেরই বেশি ভাঙে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ছেলেরা অনেক বেশি আঘাত পায় মেয়েদের তুলনায়। তার কিছু কিছু লক্ষণ হল, ঠিক মতো না খাওয়া, অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, অতিরিক্ত কাজ করা, না ঘুমনো, নেশায় আসক্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি।

একবার সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রনা ভোগ করার পর ছেলেরা আর মন থেকে সম্পর্ক তৈরি করে না। তখন সে মাথা দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে।

৫০ মিনিট বিনামূল্যে কথা, ২ জিবি স্টোরেজের সুবিধা এয়ারটেলে




৫০ মিনিটের জন্য একেবারে বিনামূল্যে কথা বলা যাবে এয়ারটেলের নেটওয়ার্কের ফোনে৷ মাই এয়ারটেল অ্যাপ নামে নতুন অ্যাপটিতে ২ জিবি অনলাইন স্টোরেজের সুবিধাও মিলছে৷
‘এয়ারটেল ক্লাউড’ ও ‘এয়ারটেল ডায়ালার’ নামে দুটি নতুন অ্যাপ এসেছে৷ ক্লাউডের মাধ্যমে বিনামূল্যে ২ জিবি স্টোরেজের সুবিধা মিলবে৷ এয়ারটেল ডায়ালারস অ্যাপের মাধ্যমে এয়ারটেল নেটওয়ার্কের মধ্যে ৫০ মিনিট ধরে বিনামূল্যে কথা বলা যাবে৷

রূপচর্চায় লবঙ্গ তেল




লবঙ্গতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেই আদি যুগ থেকেই। ঠাণ্ডা, কাশি ও দাঁত ব্যথা উপশমে লবঙ্গের জুড়ি নেই। বেশিরভাগ টুথপেস্টেই থাকে উপকারী লবঙ্গ তেল। স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি রূপচর্চাতেও লবঙ্গ তেল খুবই কার্যকরী। এতে থাকা পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ত্বককে করে উজ্জ্বল ও সুন্দর। এছাড়া ব্রণ ও ব্রণের দাগও দূর করতে পারে লবঙ্গ তেল।


জেনে নিন রূপচর্চায় লবঙ্গ তেলের ব্যবহার-

লবঙ্গ তেলের সঙ্গে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে ব্রণ ও ব্রণের কালচে দাগ।
বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে লবঙ্গ তেল।
লবঙ্গ তেলের সঙ্গে যেকোনও একটি তেল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। দূর হবে বলিরেখা।
লবঙ্গ তেলমিশ্রিত ক্রিম অথবা লোশন ত্বকে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করলে দূর হয় ত্বকের ক্লান্তি।
পোকার কামড়ের দাগ দূর করতে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে লোশন অথবা তেল মিশিয়ে আক্রান্ত ত্বকে লাগান।
ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে নিন। ত্বকের জৌলুস বাড়বে।
ত্বকে মেকআপ সহজে বসতে না চাইলে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে নিন।

স্পাইসি থাই স্যুপ রান্নার সহজ উপায়




গরম গরম স্যুপ পেলে অনেকেরই খাবারের দুশ্চিন্তাটা মিটে যায়। রেস্টুরেন্টের থাই স্যুপ হলে তো কথাই নেই। তবে সবসময় তো আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই আজকে শিখে ফেলুন ঝটপট মজাদার স্পাইসি থাই স্যুপ তৈরির সহজ রেসিপিটি-

উপকরণ : ৪-৫ কাপ চিকেন স্টক, ১ টেবিল চামচ তেল, আধা কাপ মুরগির মাংস চিকন লম্বাটে করে কাটা, আধা কাপ খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছ, ২ টি ডিমের কুসুম, ৩-৪ টেবিল চামচ চিলি সস, ২ টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ সয়াসস, ৭-৮ টি কাঁচামরিচ ফালি, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, ৪/৫ টি লেমন গ্রাস/ থাইল গ্রাস, চিনি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : মুরগির মাংসের হাড় নিয়ে ১০-১২ কাপ পানিতে একটু লবণ দিয়ে সিদ্ধ করতে থাকুন। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হলে চিকেন স্টক তৈরি হয়ে যাবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে চিকেন স্টক চুলায় বসিয়ে দিন। চিকেন স্টকে মাংস, চিংড়ি মাছ, লেমন/থাই গ্রাস, সয়াসস, চিলি সস, টমেটো সস, লবণ, চিনি ও টেস্টিং সল্ট দিয়ে দিন ও নেড়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। ডিমের কুসুম একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন এবং স্টকে ডিম দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন যাতে পুরোপুরি মিশে যায়। মাংস ও চিংড়ি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে স্টক জ্বাল দিতে থাকুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে আধা কাপ পানিতে কর্ণ ফ্লাওয়ার গুলিয়ে স্টকে দিয়ে দিন। খুব দ্রুত ও ঘন ঘন নাড়তে নেড়ে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। নয়ত কর্ন ফ্লাওয়ার দলা ধরে যাবে। ২-৩ মিনিট নেড়ে ঘন হয়ে এলে এতে লেবুর রস ও কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে একটু নেড়ে নিন। লবণের স্বাদ বুঝে নিন এবং এরপর চুলা থাকে নামিয়ে নিন। ব্যস, এবার গরম গরম স্পাইসি থাই স্যুপের মজা নিন হালকা এই শীতে।
 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates