LATEST UPDATE

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সিটিসেল গ্রাহকদের অপারেটর বদলের পরামর্শ দিয়ে বিটিআরসির দুটি বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে হাই কোর্ট!

দেনার দায়ে বন্ধের কাছাকাছি চলে যাওয়া বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর  সিটিসেল।

সিটিসেলের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খোন্দকার রেজা-ই রাকিব, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
সিটিসেলের গ্রাহকদের অপরারেট পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে গত ৩১ জুলাই ও ১৭ অগাস্ট ওই দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি।
মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, আদালত বিজ্ঞপ্তি দুটি স্থগিত করে রুল দিয়েছে। ওই দুই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই আইনজীবী বলেন, আদালতে তারা দুটি যুক্তি তুলে ধরেছেন।
“টেলিকমিউনিকেশন আইন অনুসারে বিটিআরসি এ ধরনের গণবিজ্ঞপ্তি দিতে পারে না। তাদের সে এখতিয়ার নেই। 
“আমরা রিটের ‍যুক্তিতে বলেছি, আমাদের লাইসেন্স এখনো আছে। লাইসেন্স নিয়ে কার্যক্রম চালানো একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তনের কথা বলে তারা কীভাবে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে?”
দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা কমতে কমতে এখন দুই লাখের চেয়ে কম। টু-জি তরঙ্গ ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতে তাদের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
নানাভাবে চেষ্টা করেও পাওনা আদায় করতে না পেরে গত ১৬ অগাস্ট সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
তার আগে সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা বা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পত্রিকায় ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি। এর বিরুদ্ধে সিটিসেল রিট আবেদন করায় বৃহস্পতিবার ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ এল। 
সিটিসেলের তরঙ্গ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে ১৭ অগাস্ট বিটিআরসির পক্ষ থেকে একটি নোটিস পাঠানো হয়। জবাব দেওয়ার জন্য দেওয়া হয় এক মাস সময়।
ওই নোটিস চ‌্যালেঞ্জ করে সিটিসেল হাই কোর্টে গেলে ওই নোটিসের মেয়াদ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় আদালত। 
বিটিআরসি হাই কোর্টের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সিটিসেলকে সরকারের বকেয়া শোধ করার শর্তে দুই মাস সময় দেওয়া হয়।

Share this:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates