ঈদুল আজহা আর কয়েক দিন পরেই। এই ঈদে পশু কোরবানি দেওয়া হয়, তাই মাংস কোথায়, কীভাবে সংরক্ষণ করবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হয়৷ আগে থেকে কাজ এগিয়ে রাখলে ঈদের দিন ঝামেলা অনেকটাই কমে যায়৷ কোরবানির মাংস কীভাবে সংরক্ষণ করবেন সেই বিষয়ে কিছু টিপস দিয়েছেন রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা আখতার৷
* ঈদের কয়েক দিন আগেই আপনার ডিপ ফ্রিজের বরফ পরিষ্কার করে নিন৷ এতে কোরবানির দিন ঝামেলায় পড়তে হবে না৷
* সাধারণত ঈদের দিন সবার আগে আসে কলিজা। সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা রান্না করবেন না, তাঁরা ভালো করে কলিজা জ্বাল দিন৷ এবার পছন্দমতো কেটে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন৷ এভাবে অনেক দিন ভালো থাকবে।
* মাংস সংরক্ষণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব তা ফ্রিজে রাখুন। এদিকে মাংস কাটার স্থান, বঁটি-ছুরি পরিষ্কার করে মুছে নিন।
* মাংসের বাড়তি চর্বি কেটে নিন।
* কাবাব, স্টেক এবং সাধারণ রান্নার মাংস আলাদা করে রাখুন৷ এতে করে রান্নার সুবিধা হবে।
* মাংসের কিমা তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যায়। বড় করে কাটা টুকরোগুলো ছয় মাস ভালো থাকে। এর চেয়ে বেশি দিন না রাখা ভালো।
* কাটা মাংসগুলো টিস্যু পেপার বা কাগজ দিয়ে যতটুকু সম্ভব শুকিয়ে নিয়ে বায়ুরোধী পলিথিন ব্যাগে ভরে নিন।
* ব্যাকটেরিয়া ৪০ ডিগ্রি থেকে ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে জন্মায়। তাই ফ্রিজের তাপমাত্রা অবশ্যই এর নিচে রাখতে হবে।
* রান্না করা মাংস তিন দিন নরমাল ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়। এর থেকে বেশি দিন রাখলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই নষ্ট হবে।
* অনেকে কোরবানির মাংস শুঁটকি করে রাখেন। এ ক্ষেত্রে মাংস পাতলা করে কেটে লবণ মেখে তারে ঢুকিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। মাংস কাটার সময়ে লক্ষ রাখতে হবে যেন টুকরাগুলো থেঁতলে না যায়। এতে মাংস দ্রুত পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* হাড়ছাড়া মাংসের বড় টুকরা অনেক দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।
* মাংস ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে নরমাল পলিথিন ব্যবহার না করে জিপার ব্যাগ বা ভালো প্লাস্টিকের বয়াম ব্যবহার করতে হবে।
* এ ছাড়া অল্প পানি ও লবণ দিয়ে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখলে তা অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।
* গ্রন্থনা: ফাবিহা ফাইজা হক
সূত্রঃ প্রথম আলো
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন