দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সরকারি সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে যে কর আদায় করা হয়েছে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট ৪৬টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসেন, সঙ্গে ছিলেন শাহ মোহাম্মদ আশিকুল মুর্শেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর।
পরে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীকে পড়াশুনার সুযোগ দিতে পারছে না। সেখানে নিজ উদ্যোগে কয়েকগুণ বেশি টিউশন ফি দিয়ে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছে। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এই কর আরোপ করা হলে তার বোঝা শিক্ষার্থীদের ওপরই বর্তাবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কর আরোপ সংবিধানের ১৫, ১৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। তাছাড়া যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে তা আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৪৪ ধারার পরিপন্থি। আদালত আমাদের যুক্তির প্রেক্ষিতে এই কর আরোপ সংবিধান পরিপন্থি হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তাছাড়া আদালত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর আরোপ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে এতোদিন যে টাকা তারা আয়কর দিয়েছেন তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৭ সালে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ৪৪(৪) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয় যারা পাবলিক নয়, তাদের উদ্ভুত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনঃনির্ধারণ করল।
পরে ২০১০ সালে পূর্বের প্রজ্ঞাপন রহিত করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বা কেবল তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ এর উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর হ্রাস করিয়া ১৫ শতাংশ করা হল।
সরকারের জারি করা ২০০৭ সালের প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। সেই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত একই বছর ২ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও মোট ৪৬টি রিট দায়ের করে। সবগুলো আবেদন একত্রে শুনানি শেষে সোমবার আদালত এই রায় দেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট ৪৬টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসেন, সঙ্গে ছিলেন শাহ মোহাম্মদ আশিকুল মুর্শেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর।
পরে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীকে পড়াশুনার সুযোগ দিতে পারছে না। সেখানে নিজ উদ্যোগে কয়েকগুণ বেশি টিউশন ফি দিয়ে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছে। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এই কর আরোপ করা হলে তার বোঝা শিক্ষার্থীদের ওপরই বর্তাবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কর আরোপ সংবিধানের ১৫, ১৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। তাছাড়া যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে তা আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৪৪ ধারার পরিপন্থি। আদালত আমাদের যুক্তির প্রেক্ষিতে এই কর আরোপ সংবিধান পরিপন্থি হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তাছাড়া আদালত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর আরোপ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে এতোদিন যে টাকা তারা আয়কর দিয়েছেন তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৭ সালে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ৪৪(৪) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয় যারা পাবলিক নয়, তাদের উদ্ভুত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনঃনির্ধারণ করল।
পরে ২০১০ সালে পূর্বের প্রজ্ঞাপন রহিত করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বা কেবল তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ এর উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর হ্রাস করিয়া ১৫ শতাংশ করা হল।
সরকারের জারি করা ২০০৭ সালের প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। সেই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত একই বছর ২ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও মোট ৪৬টি রিট দায়ের করে। সবগুলো আবেদন একত্রে শুনানি শেষে সোমবার আদালত এই রায় দেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন