পদ্মা সেতু প্রকল্পে বাংলাদেশি আর চীনা
কর্মীরা মিলেমিশে কাজ করছেন। বাংলাদেশি কর্মীরা যেমন বাংলা কথা বলছেন,
চীনারা বলে যাচ্ছেন তাঁদের নিজের ভাষা। কিন্তু পারস্পরিক সম্প্রীতি ও কাজের
প্রতি একাগ্রতা এই ভাষার ব্যবধার দূর করেছে। দেখা যাচ্ছে, চীনা প্রকৌশলী
বা কারিগর নিজ ভাষায় কিছু বললে বুঝে নিচ্ছেন বাংলাদেশিরা। আবার বাংলাদেশি
কর্মীদের কথাও বুঝতে পারছেন চীনারা। কাজে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
পদ্মা নদীর দুই পারে সেতু প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশ ও চীনের নাগরিকদের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়। তাঁরা জানান, প্রথম দিকে পরস্পরের ভাষা ও ভাব বুঝতে অসুবিধা হতো। এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশিরা চীনা ভাষা বুঝতে পারছেন। টুকটাক বলছেনও। আর চীনারাও কম যাচ্ছেন না।
মো. হাসিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনেই আমরা চীনা ভাষা কিছুটা শিখে ফেলেছি।’
শাকিল নামে আরেক শ্রমিক বলেন, চীনারা কাজ ছাড়া কিছু বোঝেন না। কাজের ক্ষেত্রে কিছু না বুঝলে দোভাষীরা তো আছেনই।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে দারুণ উৎসাহে তাঁরা চীনা ভাষায় নিজ নিজ কারিশমা দেখান।
এক শ্রমিকের ভাষ্য, তার কাটার বা জোড়া দেওয়ার প্লাসকে চীনারা ‘সেনজে’ বলেন। এই শব্দের সঙ্গে এখন বাংলাদেশিরা খুবই পরিচিত।
চীনাদের কাছ থেকে শিখে খেতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি শ্রমিকেরা হরহামেশা বলেন, ‘সো ফান’। চীনারা বুঝে যান, শ্রমিকদের খেতে যাওয়ার সময় হয়েছে।
শাকিল জানালেন, আগামীকাল কোনো নতুন কাজ করতে হলে চীনারা বলেন ‘মিন ফেন’। বাংলাদেশি শ্রমিকেরা মুহূর্তেই এই শব্দের অর্থ বুঝে নেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাওয়া ঘাটে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে দোভাষীর কাজ করেন এস এম মনির হোসেন। মধ্যবয়সী মনির চীনা ভাষায় বেশ পটু। তিনি বলেন, চীনা ভাষার সঙ্গে বাংলার কোনো মিল নেই। তবে একটু চেষ্টা করলে অল্প সময়ে এই ভাষায় কথা বলা সম্ভব।
চীনা ভাষা বেশ মজার উল্লেখ করে মনির জানালেন, ‘কোকা-কোলা’ একটি কোমল পানীয়। ‘কোকা’ বাদ দিয়ে চীনারা ‘কোলা কোলা’ বললে তার অর্থ হয় ‘বড় ভাই’। বাংলাদেশে মুরগিকে অনেকে ‘তিতি’ বলে। চীনা ভাষায় ‘তিতি’ মানে ‘ছোট ভাই’। চীনা ‘সাম পান’ মানে ‘কাজ কর’।
পদ্মার শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে চীনা প্রকৌশলী ছেন মিংঝির সঙ্গে দেখা। অল্প বয়সী এই মানুষটি বেশ চটপটে। কাজের সময় গম্ভীর থাকেন। অবসর পেলে একেবারে বদলে যান। হাসিমুখে গল্প করেন।
ছেন মিংঝি জানালেন, বাংলাদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের ভাব-ভাষা কিছুটা হলেও রপ্ত করেছেন তিনি। বাংলা মোটামুটি বুঝতে পারেন। কিছু কিছু বলতেও পারেন।
পদ্মা নদীর দুই পারে সেতু প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশ ও চীনের নাগরিকদের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়। তাঁরা জানান, প্রথম দিকে পরস্পরের ভাষা ও ভাব বুঝতে অসুবিধা হতো। এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশিরা চীনা ভাষা বুঝতে পারছেন। টুকটাক বলছেনও। আর চীনারাও কম যাচ্ছেন না।
মো. হাসিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনেই আমরা চীনা ভাষা কিছুটা শিখে ফেলেছি।’
শাকিল নামে আরেক শ্রমিক বলেন, চীনারা কাজ ছাড়া কিছু বোঝেন না। কাজের ক্ষেত্রে কিছু না বুঝলে দোভাষীরা তো আছেনই।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে দারুণ উৎসাহে তাঁরা চীনা ভাষায় নিজ নিজ কারিশমা দেখান।
এক শ্রমিকের ভাষ্য, তার কাটার বা জোড়া দেওয়ার প্লাসকে চীনারা ‘সেনজে’ বলেন। এই শব্দের সঙ্গে এখন বাংলাদেশিরা খুবই পরিচিত।
চীনাদের কাছ থেকে শিখে খেতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি শ্রমিকেরা হরহামেশা বলেন, ‘সো ফান’। চীনারা বুঝে যান, শ্রমিকদের খেতে যাওয়ার সময় হয়েছে।
শাকিল জানালেন, আগামীকাল কোনো নতুন কাজ করতে হলে চীনারা বলেন ‘মিন ফেন’। বাংলাদেশি শ্রমিকেরা মুহূর্তেই এই শব্দের অর্থ বুঝে নেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাওয়া ঘাটে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে দোভাষীর কাজ করেন এস এম মনির হোসেন। মধ্যবয়সী মনির চীনা ভাষায় বেশ পটু। তিনি বলেন, চীনা ভাষার সঙ্গে বাংলার কোনো মিল নেই। তবে একটু চেষ্টা করলে অল্প সময়ে এই ভাষায় কথা বলা সম্ভব।
চীনা ভাষা বেশ মজার উল্লেখ করে মনির জানালেন, ‘কোকা-কোলা’ একটি কোমল পানীয়। ‘কোকা’ বাদ দিয়ে চীনারা ‘কোলা কোলা’ বললে তার অর্থ হয় ‘বড় ভাই’। বাংলাদেশে মুরগিকে অনেকে ‘তিতি’ বলে। চীনা ভাষায় ‘তিতি’ মানে ‘ছোট ভাই’। চীনা ‘সাম পান’ মানে ‘কাজ কর’।
পদ্মার শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে চীনা প্রকৌশলী ছেন মিংঝির সঙ্গে দেখা। অল্প বয়সী এই মানুষটি বেশ চটপটে। কাজের সময় গম্ভীর থাকেন। অবসর পেলে একেবারে বদলে যান। হাসিমুখে গল্প করেন।
ছেন মিংঝি জানালেন, বাংলাদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের ভাব-ভাষা কিছুটা হলেও রপ্ত করেছেন তিনি। বাংলা মোটামুটি বুঝতে পারেন। কিছু কিছু বলতেও পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন