
মুসল্লির নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে জামাত নিশ্চিত করার লক্ষে প্রথমবারের মতো বিজিবি মোতায়েন করা হল বলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান জানান।
এবার ঈদুল আজহার জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়। শোলাকিয়ার জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
গত ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়ার ঈদ জামাতের আড়াইশ মিটারের মধ্যে এক পুলিশ চেকপোস্টে কয়েকজন হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পুলিশ নিহত হন।
এরপর গোলাগুলি শুরু হলে এক হামলাকারী নিহত হন; পরে পুলিশ ও হামলাকারীদের গোলাগুলিতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
এসপি জানান, গত ঈদুল ফিতরের দিনে সন্ত্রাসী হামলার পর এবারের জামাতকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
“তাই শোলাকিয়া মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এবারেই প্রথমবারের মতো নামানো হচ্ছে তিন প্লাটুন বিজিবি।”
এছাড়া সহস্রাধিক পুলিশ মাঠ ও এর আশ-পাশে বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবে। তাছাড়া র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরাও বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান তিনি।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাজমুল আরেফিন জানান, ঈদগাহ মাঠ ঘিরে রাখাসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে র্যাব দায়িত্ব পালন করবে এবং মাঠের আশ-পাশে বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েও নজরদারি করবে।
“মাঠে পাহারার পাশাপাশি বিস্ফোরকের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে নিয়মিতভাবে সুইপিং করা হচ্ছে। এছাড়া আশ-পাশের বাড়ি-ঘর তল্লাশিসহ লোকজনের চলাফেরার উপরও নজরদারি করা হচ্ছে।”
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাতলা জায়নামাজ ছাড়া সব ধরনের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গত ঈদে অপ্রত্যাশিত জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভব সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর ফলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত সম্পন্নের আশা করছেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন