LATEST UPDATE

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঠোঁট থাকুক কোমল!



সূর্যের তাপ, ধূমপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা ইত্যাদি কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঠোঁট কোমল ও গোলাপি করার কিছু টিপস উল্লেখ করা হয়।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে সহজলভ্য ও ঘরোয়া উপাদানে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার কিছু পন্থা এখানে দেওয়া হল।

গোলাপ: আর্দ্রতা এনে ত্বকের সাধারণ সমস্যা উপশমের মাধ্যমে শীতলতা জোগায় গোলাপ। তাছাড়া ঠোঁটে গোলাপি আভাযুক্ত করে এই ফুল। তাই গোলাপ দিয়ে ঘরেই লিপবাম তৈরি করা যায়।

কয়েক ফোঁটা মধুর সঙ্গে এক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এটি দিনে তিন বার ব্যবহার করা যাবে। এতে ঠোঁট কোমল থাকবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে গোলাপি আভা আসবে।

বিট: প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদানে ভরপুর। তাই ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে এটি বেশ উপকারী।

রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে খানিকটা তাজা বিটের রস লাগিয়ে নিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। বিটের লালচে রং ঠোঁটের কালচেভাব দূর করে আলাদা গোলাপিভাব যুক্ত করবে।

বেদানা: শুষ্ক ও মলিন ঠোঁটে পুষ্টি জুগিয়ে আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে বেদানা। পাশাপাশি ঠোঁটে গোলাপি আভা যুক্ত করে।

এক টেবিল-চামচ বেদানার দানা থেঁতলে খানিকটা ক্রিম ও গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই মিশ্রণ স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আলতো করে ঘষে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শসা: ত্বকের যত্নে শসা কতটা উপকারী তা নতুন করে বলার কিছু নেই। চোখের কালচে দাগ বা কালি দূর করতে এটি দারুণ উপকারী। তেমনি ঠোঁটের যত্নেও এটি সমানভাবে ব্যবহার উপযোগী।

এক টুকরা শসা ঠোঁটের উপর হালকা করে ঘষতে হবে। রস পুরোপুরি ত্বক শুষে নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করুন এই কাজে, উপকার পাবেন।

কাঠবাদামের তেল: প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করতেও এই তেল বেশ উপকারী।

পাঁচ থেকে ছয় ফোঁটা কাঠবাদামের তেলের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে যখনই ঠোঁট শুষ্ক মনে হবে ত্বকে লাগিয়ে নিন। কয়েক দিন নিয়ম করে ব্যবহারে নিজেই পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন।

Share this:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Copyright © 2014 VIGOROUS MEDIA. Designed by NaYeM | Distributed By Gooyaabi Templates